السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

গীবত থেকে বিরত থাকার ফজিলত

| comments

গীবত বা পরচর্চা অত্যন্ত নিন্দনীয় অপরাধ। এর জন্য একদিকে সমাজে একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুতা বা হিংসা- বিদ্বেষ বাড়ে তেমনি সৃষ্টি হয় অশান্তি। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) নবী করীম (স.) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, তোমরা কি জান গীবত কি? সাহাবীরা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূল (স.) সমধিক জ্ঞাত। রাসূলূল্লাহ (স.) বললেন, তুমি তোমার ভাইয়ের অপছন্দীয় কিছু আলোচনা কর। তখন জনৈক সাহাবী জিজ্ঞাস করলেন আমি যা বললাম, তা যদি বাস্তবেও আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, তবুও কি তা গীবত হবে? রাসূল (স.) বললেন, তুমি যা বললে তা যদি তার মাঝে থাকে, তবেইতো তুমি গীবত করলে। আর তুমি যা বললে, তা যদি তার মাঝে না থাকে তাহলে তুমি মিথ্যা অপবাদ দিলে। (মুসলিম তিরমিজি, আবু দাউদ) হযরত ইবনে আবী নুজাইহ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা শুনেছি, এক বেঁটে মহিলা নবী করিম (স.) এর নিকট এলো, তারপর সে চলে গেলে আয়েশা (রা.) বললেন, মহিলাটি কত খাটো। তখন নবী করিম (স.) বললেন, তুমি তার গীবত করলে।

আয়েশা (রা.) বললেন, যা বাস্তব আমিতো শুধু তাই বললাম। রাসূল (স.) বললেন, তুমিতো তার ত্রুটির দিকটা উলেস্নখ করেছ। (মুসনাহদ আহমদ)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত নবী (স.) বলেছেন, মেরাজের রাতে যখন আমাকে ঊধর্্ব আকাশে উঠানো হল, আমি তখন কিছু লোককে অতিক্রম করে গেলাম। দেখলাম, তাদের পার্শ দেশের গোশত কেটে লোকমা বানিয়ে তাদের বলা হচ্ছে খাও। যেমন তোমরা তোমাদের ভাইদের গোশত খেতে। আমি তখন জিব্রাইলকে (আ.) বললাম, এরা কারা? জিব্রাইল (আ.) বললেন, এরা আপনার গীবতকারী উম্মত। (মুসনাদে আহমদ) হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন। রাসূল (স.) এর যুগে দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু প্রবাহ শুরু হল। তখন রাসূল(স.) বললেন, মুনাফিকরা মুসলমানদের গীবত করেছে। তাই দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে।

হযরত হাসান বসরী থেকে বর্ণিত জনৈক ব্যক্তি এসে তাকে বললো, অমুক ব্যক্তি আপনার গীবত করছে। তখন তিনি গীবতকারীর নিকটে এই বলে এক ঝুড়ি সদ্য পাড়া খেজুর পাঠিয়ে দিলেন যে, আমি শুনতে পেলাম আপনার কিছু পুণ্য আমাকে উপহার দিয়েছেন। তাই আমি আপনাকে এর বিনিময়ে কিছু উপহার দিতে চাইলাম। কিন্তু এর চেয়ে ভাল কিছু দিতে পারলাম না। তাই ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

হযরত আবু উমামা বাহেলী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কেয়ামত দিবসে যখন বান্দাকে আমলনামা দেয়া হবে, তখন সে তাতে এমনসব পুণ্য দেখতে পাবে, যা সে করেনি। তখন বিস্মিত হয়ে বলবে, হে আমার রব! এত সোয়াব কোথা থেকে এল! আল্লাহতায়ালা বলবেন, তোমার অজান্তে মানুষ তোমার যে গীবত করেছে, এগুলো তার সওয়াব।

-অধ্যাপক এনায়েত আলী বিশ্বাস
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template