~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কালেমা তাইয়্যেবা
----------------------------------------
لَا اِلَهَ اِلاَّ اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْ لُ اللهউচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ।
অনুবাদঃ আল্লাহ ভিন্ন ইবাদত বন্দেগীর উপযুক্ত আর কেহই নাই। হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম তাঁহার প্রেরিত রসূল।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কালেমা-ই শাহাদত
---------------------------------------------------
اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَاشَرِيْكَ لَهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهউচ্চারনঃ আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওহদাহু লা-শারীকালাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাছুলুহু ।
অনুবাদঃ আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে , অল্লাহ ভিন্ন আর কেহই ইবাদতের উপযুক্ত নাই তিনি এক তাঁহার কোন অংশীদার নাই । আমি আরও সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বান্দা এবং তাঁহার প্রেরিত নবী ।
হযরত আমর ইবনে আস (রাঃ) বলেন যে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)- এরশাদ করেছেনঃ কিয়ামত দিবসে এক ব্যক্তিকে আমল ওজন করা মীজানের কাছে আনা হবে এবং তার গুনাহের নিরান্নব্বইটি দফতর মীজানের এক পাল্লায় রেখে দেয়া হবে (প্রতিটি দফার দৃষ্টিসম সীমা দীর্ঘ হবে) অতঃপর কাগজের একটি ছোট্ট টুকরো বের করে অপর পাল্লায় রাখা হেব ।
তখন এ কাগজের টুকরোটি তার গুনাহের নিরান্নব্বই দফতর থেকেও প্রভাবিত ও ভারী প্রমানিত হয়ে যাবে। কাগজের এ টুকরোতে লিখা থাকবে _
“আশহাদু আনলা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাছুলূহু”।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কালেমা-ই তাওহীদ
--------------------------------------------------
لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ وَاحِدَ لَّاثَانِىَ لَكَ مُحَمَّدُرَّ سُوْلُ اللهِ اِمَامُ الْمُتَّقِيْنَ رَسُوْ لُرَبِّ الْعَلَمِيْنَউচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহেদাল্লা ছানীয়ালাকা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা ইমামুল মোত্তাকীনা রাছুলুরাবি্বল আলামীন।
অনুবাদঃ আল্লাহ ভিন্ন কেহ এবাদতের যোগ্য নাই। তিনি এক তাঁহার অংশীদার নাই মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সোত্তাকীনদের (ধর্মভীরুগণের) ইমাম এবং বিশ্বপালকের প্রেরিত।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কালেমা-ই তামজীদ
---------------------------------------------------
لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ نُوْرَ يَّهْدِىَ اللهُ لِنُوْرِهِ مَنْ يَّشَاءُ مُحَمَّدُ رَّسَوْ لُ اللهِ اِمَامُ الْمُرْسَلِيْنَ خَا تَمُ النَّبِيِّنَউচ্চারনঃ লা-ইলাহা ইল্লা আনতা নুরাইইয়াহ দিয়াল্লাহু লিনুরিহী মাইয়্যাশাউ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ইমামূল মুরছালীনা খাতামুন-নাবিয়্যীন।
অনুবাদঃ হে খোদা! তুমি ব্যতীত কেহই উপাস্য নাই, তুমি জ্যোতিময় । তুমি যাহাকে ইচ্ছা আপন জ্যোতিঃ প্রদর্শন কর । মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) প্রেরিত পয়গম্বরগণের ইমাম এবং শেষ নবী।
ঈমানের আসল বস্তু তাওহীদ। এক কথায় তাওহীদ শব্দের অর্থ একাত্ব-বাদ । কিন্তু ইহার ব্যাপক ও ব্যবহারিক অর্থ কয়েক প্রকারে বিভক্ত । প্রথমতঃ ইহার অর্থ আল্লাহপাকের সর্বত ভাবে এক জানা, কাহাকেও তাঁহার সমকক্ষ মনে না করা । তাঁহার সাথে কাহাকেও চিন্তায়, কল্পনায় বা কর্মে অংশীদার স্থাপন না করা এবং ‘আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই’ এই কথার উপর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করিয়া একমাত্র তাঁহারই উপর উপাসনায় রত হওয়া ।
এই সম্পর্কে আল্লাহপাকের একটি পবিত্র কালাম এই যে__
وَمَا اُمِرُوْا اِلاَّلِيَعْبُدُ اللهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ حُنَفَاءَ
►কিয়ামতের দিনে বান্দার উপকারে আসবে এমন ২ টি কালেমা◄
আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, দুটি কালেমা এমন যা যবানে (উচ্চারন করতে) সহজ, (কিয়ামত দিবসে) ওজনে ভারী এবং তা করুনাময় আল্লাহর নিকট প্রিয়। কালেমা দুটি হচ্ছে ,"সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আযীম"
... অর্থ- আল্লাহর প্রশংসা করার সাথে তাঁর পবিত্রতা বর্ননা করছি, তাঁর প্রশংসা বড়ই মহৎ।
[বুখারী -৭ /১৬৮ মুসলিম- ৪/ ২০৭২]