السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

জ্ঞান চর্চার ফজিলত

| comments

(হে নবী!) পড়ুন আপনার রবের নামে, যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট বাঁধা রক্ত হতে। পাঠ করুন আপনার পালনকর্তা মহাদয়ালু। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন সে সমস্ত বিষয় যা সে জানতো না। (সূরা আলাক ১-৫ আয়াত)
আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি (জ্ঞানী লোকদের) দল থাকা উচিত যারা সৎ কাজের দিকে আহ্বান জানাবে, ভাল কাজের নির্দেশ দিবে এবং অন্যায় কাজ হতে বারণ করবে আর তারাই হলো সফলকাম। (সূরা ইমরান ১০৪ আয়াত)

(হে নবী!) আপনি বলুন, অন্ধ আর চক্ষুষ্মান কি সমান হয়? অথবা কোথাও কি অাঁধার ও আলো সমান হয়? (সূরা রাদ -১৬ আয়াত)

যে ব্যক্তি জানে যে, যা কিছু পালন কর্তার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা সত্য। সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে অন্ধ, মূর্খ? কেবল বোধ শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরাই বোঝে। (সূরা রাদ-১৯ আয়াত)

অতঃপর তারা (মুসা ও তার সঙ্গী) আমার বান্দাদের মধ্যে এমন একজনের (খিজিরের) সাক্ষাৎ পেলেন, যাকে আমার পক্ষ থেকে রহমত দান করেছিলাম ও আমার পক্ষ থেকে দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান। হযরত মুসা তাঁকে (খিজিরকে) বললেন, আমি কি এ শর্তে আপনার অনুসরণ করতে পারি যে,সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে শিখানো হয়েছে তা থেকে আমাকে কিছু শিক্ষা দিবেন। (সুরা কাহফ- ৬৫-৬৬ আয়াত)

প্রকৃত মালিক আলস্নাহতায়ালা। (হে নবী) আপনার ওপর ওহি সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কুরআন গ্রহণের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করবেন না এবং আপনি বলুন, "হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।" (সূরা ত্বোয়াহা ১১৪ আয়াত)

আমি অবশ্যই দাউদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছিলাম। তারা বলেছিলেন, আলস্নাহর প্রশংসা যিনি আমাদেরকে তাঁর অনেক মোমিন বান্দার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। (সূরা নমল ১৫ আয়াত)

হে রসুল! আপনি বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান হয়? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে যারা বুদ্ধিমান। (সূরা আল যুমার ৯ আয়াত)

করুণাময় আলস্নাহ শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন, সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তাকে শিখিয়েছেন কথা বলা। (সূরা আর রহমান ১-৪ আয়াত)

হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, হযরত রসুল (স.) বলেছেন, এলেম বা জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ বা অবধারিত। (ইবনে মাজাহ)।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রসুল (স.) বলেছেন, তোমরা (আমার কাছ থেকে তাড়াতাড়ি) ফরায়েজ ও কুরআন শিক্ষা করে নাও এবং লোকদের তা শিক্ষা দিতে থাকো। কেননা, অতঃপর আমাকে তোমাদের মাঝ থেকে উঠিয়ে নেয়া হবে। (তিরমিজি)

হযরত রসুল (স.) বলেছেন, আলস্নাহতায়ালা যাকে কল্যাণ করতে চান, তিনি তাকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করেন। আর অবশ্যই আমি (জ্ঞান) বণ্টনকারী এবং আলস্নাহই তা দান করেন। (বুখারী ও মুসলিম)

হযরত আনাস (রা.) বলেন, হযরত নবী (সাঃ) বলেছেন, দুই পিপাসু ব্যক্তি কখনো তৃপ্তি লাভ করে না- জ্ঞানের পিপাসু, সে তা হতে কখনো তৃপ্তি লাভ করে না। (অর্থাৎ জ্ঞান তালাশ করতেই থাকে)। দুনিয়ার পিপাসু, সেও দুনিয়ার ব্যাপারে কখনো তৃপ্তি লাভ করে না, (অথর্াৎ কবরে যাওয়া পর্যন্ত দুনিয়াদারীতেই ব্যস্ত থাকে। (বায়হাকী)

হয়রত আব্দুলস্নাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রসুল (স.) বলেছেন, একজন জ্ঞানী ব্যক্তি শয়তানের কাছে এক হাজার আবেদের বা ইবাদতকারীর চেয়েও বেশি ভয়াবহ। (তিরমিজি)

সংকলনে :আব্দুলস্নাহ আল বাকী
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template