Home
রাসূল(সাঃ)
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী
| comments
১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। মানব জাতিকে সত্য সুন্দর কল্যাণের পথে পরিচালিত করতে এই দিন আবির্ভূত হয়েছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এদিনেই তার ওফাত হয়। আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণকারী মহানবী (সা.) কে বলা হয় আদর্শ মানব। তিনি ছিলেন মানবতার প্রতীক। সহনশীলতার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এমন এক সময় তিনি পৃথিবীতে আবির্ভূত হন যখন আল্লাহর শিক্ষা ভুলে মানব জাতি বিপথে প্রচলিত হচ্ছিল। হানাহানি আরব জাতিসহ সারাবিশ্বের মানব সমাজের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। নারীর সম্মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পেঁৗছেছিল সে সময়ে। পবিত্র ভূমি মক্কাতে মহানবী (সা.) যে সময়ে জন্মগ্রহণ করেন সে সময় আরবের অবস্থা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। মহানবী (সা.) ছোট বেলা থেকেই ছিলেন শুদ্ধচারী মনোভাবের অধিকারী। যা কিছু অসত্য, যা কিছু অন্যায়, যা কিছু অকল্যাণকর তা থেকে তিনি থাকতেন শত যোজনা দূরে। এই পবিত্র পুরুষের ওপর সর্ব শক্তিমান আল্লাহর ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। মানব জাতিকে অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেছে এই ঐশীগ্রন্থ। একটি ন্যায়ভিত্তিক শান্তির সমাজ গঠনে পবিত্র কোরআন এবং মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা সর্বযুগেই নন্দিত হয়েছে। মহানবী (সা.) আরবের মদিনায় দুনিয়ার প্রথম কল্যাণ রাষ্ট্রের সূচনা করেন। সর্ব ধর্মের মানুষের অধিকার স্বীকৃত হয় এ রাষ্ট্র ব্যবস্থায়। মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর তার রেখে যাওয়া জীবনব্যবস্থা ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে দেশ থেকে দেশে। মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে মুসলমানরা বিশ্ব শক্তিতে পরিণত হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্ব জুড়ে ঈদে মিলাদুন্নবী ধর্মীয় মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা বাণী দিয়েছেন। এই পবিত্র দিনে আমরা মহানবী (সা.)-এর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই। হানাহানি ও অশান্তিতে ভরা এই বিশ্বে শান্তি স্থাপনে তার রেখে যাওয়া আদর্শ মানব জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে। মানব জাতির জন্য যার প্রয়োজন আজ সবচেয়ে বেশি।
Post a Comment