বিশ্বমানবতার জন্য, বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য রাসূল (সা.) এক সর্বোত্তম আদর্শ ও রহমতস্বরূপ। তাঁর ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় জীবন যেমন আমাদের জন্য আদর্শ, তেমনি তাঁর পারিবারিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক, সৈনিক তথা সংগ্রামী জীবনও আমাদের জন্য আদর্শ। বর্তমানে আমরা তাঁর সমগ্র আদর্শকে গ্রহণ না করে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা, প্রয়োজন আর মর্জি-মাফিক তাঁর আংশিক আদর্শকে মেনে চলছি। সহজ-সরল সুন্নতের আংশিক অনুসরণ করে, কঠিন সুন্নতগুলো বাদ দিয়ে রাসূলের (সা.) খাঁটি উম্মতের দাবিদার সেজে তাঁর সাফায়াতের আশায় বসে আছি আর কল্পনার রথে জান্নাতে পাড়ি জমাচ্ছি। অথচ আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে, 'তাদের মধ্যে এমন অনেক আছে, যারা মূর্খ ও নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্ক্ষা ছাড়া আল্লাহর কিতাবের (কোরআন ও হাদিসের) কিছুই জানে না, তারা বাজে কল্পনার মধ্যে ডুবে আছে' (সূরা বাকারা, ৭৮ আয়াত)। ধর্মের কিছু আদেশ-নিষেধ মেনে ও কিছু বর্জন-অমান্য করে আর রাসূলকে (সা.) কিছু অনুসরণ করে এবং রাসূলের (সা.) কিছু সুন্নতকে অমান্য করে অথবা কিছু সুন্নতের ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে কি আল্লাহর সন্তুষ্টি, দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের মুক্তি পাওয়া যাবে? না, কখনও না। কারণ আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে, 'তবে কি তোমরা কিতাবের (রাসূল সা.-এর হাদিসের/সুন্নতেরও) কিয়দংশ বিশ্বাস কর_ মান্য কর আর কিছু অংশ অবিশ্বাস_ অমান্য কর? যারা এরূপ করবে পার্থিব জীবনে দুর্গতি ছাড়া তাদের আর কোনো পথ নেই আর কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পেঁৗছে দেওয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে বেখবর নন' (সূরা বাকারা, ৮৫ আয়াত)। কাজেই আসুন, সবার শুভ কামনায় ও সফলতায় বক্তৃতা, বিবৃতি আর কথাবার্তায় রাসূল (সা.) প্রেমিক না সেজে আল্লাহ সন্তুষ্টির মাধ্যমে দুনিয়ার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি আর পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে কোরআনে বর্ণিত বিধিবিধানের পাশাপাশি রাসূলের (সা.) ওসওয়াতুন হাসানার_ সর্বোত্তম আদর্শের তথা সমগ্র সুন্নতের অনুসরণ-অনুকরণে সচেষ্ট হই, পরিবার-পরিজন, বল্পুব্দ-বান্ধব ও অধীনস্থদেরও এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করি।
-আবদুল্লাহ আলম
+ comments + 1 comments
ইসলাম মানুষকে সুবিধা দিয়েছে কিন্তু স্বাধীনতা নহে। তাই যা ইচ্ছা মর্জি এটা হবে না।
Post a Comment