কবির ভাষায় বলতে হয়- "তুমি যে নূরের রবি/নিখিলের ধ্যানের ছবি/ তুমি না এলে দুনিয়ায়/ অাঁধারে ডুবিত সবাই।" কথাটি শত ভাগ সত্যি। হযরত মুহাম্মদ (স.) জন্মগ্রহণ না করলে ধরণীবাসী হয়তো অাঁধারেই ডুবত। তখন মিসরীয় সভ্যতা বিলুপ্ত, ব্যবিলনীয় সভ্যতা ধ্বংস, হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো সভ্যতা নিশ্চিহ্ন, গ্রীক সভ্যতা পর্যবসিত। বিশ্ববাসী যখন নানা সমস্যায় জর্জরিত ঠিক তখনই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার আরবের কোরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন সত্যের প্রবর্তক। তাঁর জন্মের পূর্বেই পিতা আবদুলস্নাহ মারা যান। জন্মের ছয় বছর বয়সে মাতা আমিনাও মারা যান। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) ছোটবেলা থেকেই সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততার জন্য আল আমিন উপাধি লাভ করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) ২৫ বছর বয়সে হযরত খাদিজা (র.)কে বিয়ে করেন। তাঁর বিয়ের খুৎবা পাঠ করেন চাচা আবু তালিব। মহানবী (স.) এর বয়স যখন ৪০ হলো তখন আলস্নাহ রাব্বুল আলামিন জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে হেরা গুহায় সর্বপ্রথম ঐশীবার্তা পাঠান। নবুয়তপ্রাপ্ত হয়ে মহানবী (স.) আরব সমাজ সংস্কারে মনোনিবেশ করেন। মহানবী (স.) এর হাতে প্রথম মুসলমান হলেন হযরত খাদিজা (রা.)। পরিপূর্ণ পুরুষদের মধ্যে হযরত আবু বকর (রা.), কিশোরদের মধ্যে হযরত আলী (রা.), ইবনে হারিস (রা.), উম্মে আইমান (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেন। বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (স.)। তিনি একাধারে ছিলেন দূরদশর্ী, সংস্কারক, বীর যোদ্ধা, নিপুণ সেনানায়ক, সফল ব্যবসায়ী, নিরপেক্ষ বিচারক, মহৎ রাজনীতিক, প্রেমময় স্বামী, স্নেহময় পিতা, বিশ্বস্ত বন্ধু, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, অভিজ্ঞ কূটনৈতিক ও বিচরক্ষণ অর্থনীতিবিদ। বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ (স.) আরব থেকে জীবন্ত কন্যা সন্তান মাটি দেয়ার মতো গর্হিত কাজ উচ্ছেদে আন্দোলন করলেন এবং সফল হলেন। পবিত্র কুরআন শরীফে বলা হয়েছে, "পুরুষের উপর নারীর অধিকার রয়েছে, নারীর উপরও পুরুষের অধিকার রয়েছে।" আলস্নাহর কথা মোতাবেক ইসলামই সর্বপ্রথম নারীর অধিকার সুসংহত করে। যার বাস্তব রূপ দেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)।
- গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল
Post a Comment