হযরত আনাস (রা.) বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, ‘‘ যে ব্যক্তি ইলম অনুসন্ধানে বের হয়েছে, সে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছে; যে পর্যন্ত না সে প্রত্যাবর্তন করবে।”- (তিরমিজি ও দারেমী)
হযরত সাখবারা আযদী (রা.) বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, ‘ যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করবে, তার জন্য তা তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহের কাফ্ফারা হয়ে যাবে।”(তিরমিজি ও দারেমী)। মুয়াবিয়া (রা.) বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, ‘‘আল্লাহপাক যার কল্যাণ কামনা করেন, তাকে দ্বীনের সুষ্ঠু জ্ঞান দান করেন এবং আমি শুধুমাত্র বন্টনকারী; আর আল্লাহ-ই দান করেন।”-(বুখারী ও মুসলিম)।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার জানা ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়ে তা গোপন করেছে, কেয়ামতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরিয়ে দেয়া হবে।’’ (আহমদ, আবু দাউদ ও তিরমিজি)।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, তোমরা ফারায়েজ ও কুরআন শিক্ষা করে নাও এবং লোকদের এটা শিক্ষা দিতে থাকো। কেননা, আমাকে উঠিয়ে নেয়া হবে। (তিরমিজি)
হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘‘রাতের কিছু সময় ইলমের আলোচনা করা পূর্ণ রাত্রি জাগরণ অপেক্ষা উত্তম।”-(দারেমী)।
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রসূল (স.) একদিন আমাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা বলতে পার কি দানের দিক দিয়ে সর্বাপেক্ষা বড় দাতা কে? সাহাবীগণ উত্তর করলেন, আল্লাহ ও তার রসূলই অধিক অবগত। রসূল (স.) বললেন, দানের দিক দিয়ে আল্লাহ-ই হচ্ছেন সর্বাপেক্ষা বড়। তারপর বনী আদমের মধ্যে আমিই সর্বাপেক্ষা বড় দাতা। আর আমার পর বড় দাতা হচ্ছে, সেই ব্যক্তি যে ইলম শিক্ষা করবে এবং তা বিস্তার করতে থাকবে, কেয়ামতের দিন সে একাই একজন নেতা এবং উম্মত হয়ে উঠবে।”(বায়হাকী) হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রসূল (স.) বলেছেন, দুই পিপাসু ব্যক্তি পরিতৃপ্তি লাভ করে না। একজন ইলমের পিপাসু সে এ থেকে কখনও তৃপ্তি লাভ করে না এবং অন্যজন দুনিয়ার পিপাসু সেও দুনিয়ার ব্যাপারে কখনও তৃপ্তি লাভ করে না।- (বায়হাকী)
সংকলনে
সায়মা রহমান কাশ্মীর
Post a Comment