০০ আর তোমরা সেদিনের ভয় কর, যখন কেউ কারো সামান্য উপকারে আসবে না এবং তার পক্ষে কোন সুপারিশও কবুল হবে না, কারো নিকট থেকে ক্ষতিপূরণও নেয়া হবে না এবং তারা কোন রকম সাহায্যও পাবে না (সুরা বাকারা-৪৮ আয়াত)।
০০ কেয়ামতের দিন তাদের সবাই তাঁর (আল্লাহর) কাছে নিঃসঙ্গ অবস্থায় একাকী আসবে (সুরা মারইয়াম ৯৫ আয়াত)।
০০ অবিশ্বাসীরা দাবি করে যে, তারা কখনো পুনরুত্থিত হবে না। বলুন হে রসুল (স.)! অবশ্যই হবে। আমার পালনকর্তার কসম তোমরা নিশ্চয়ই পুনরুত্থিত হবে। অত:পর তোমাদেরকে অবহিত করা হবে যা তোমরা করতে। এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ (সুরা তাবাগুন-৭ আয়াত)।
০০ যখন দেহে আত্মাসমূহকে পুনঃসংযোজিত হবে, যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল? যখন আমলনামা খোলা হবে, যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে, যখন জাহান্নামের আগুন প্রজ্বলিত করা হবে এবং যখন জান্নাতকে নিকটবর্তী করা হবে, তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি নিয়ে হাজির হয়েছে। (সুরা তাকভীর-৭-১৫ আয়াত)।
০০ আর যখন কবরসমূহ খুলে দেয়া হবে তখন প্রত্যেকে তার আগের ও পরের কৃতকর্ম জানতে পারবে (সুরা ইনফিতার ৪, ৫ আয়াত)।
০০ যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উঠাবো। সে বলবে: হে আমার পালনকর্তা-আমাকে কেন অন্ধ করে উঠালেন? আমিতো (দুনিয়ায়) চক্ষুষ্মান ছিলাম। আল্লাহ বলবেন, যেমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ এসেছিল তা তুমি ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ আমিও তোমাকে ভুলে যাব (সুরা ত্বহা-১২৪-১২৬ আয়াত)।
০০ অত:পর যার (নেকীর) পাল্লা ভারী হবে, সে সুখী জীবন-যাপন করবে। আর যার (নেকীর) পাল্লা হাল্কা হবে, তার ঠিকানা হবে হাবিয়াহ্ (দোযখ)। আপনি জানেন, তা কি? তা হলো জ্বলন্ত আগুন (সুরা কারিয়াহ ৬-১১ আয়াত)।
০০ রসুল (স.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন মানব জাতিকে মথিত আটার ন্যায় লালিমাযুক্ত শ্বেতবর্ণ -যমীনে একত্রিত করা হবে, যেখানে কারো কোন ঘরবাড়ির চিহ্ন থাকবে না (বুখারী-মুসলিম)।
০০ রসুল (স.) বলেন, “হে মোহাম্মদের কন্যা ফাতিমা! আমার ধন-সম্পদ থেকে তোমার যা ইচ্ছা তা চেয়ে নিতে পার। কিন্তু পরকালীন আজাব থেকে (আমার কন্যা হবার কারণে) তোমাকে রক্ষা করতে পারবো না (বুখারী)।
সংকলনে :
হোসাইন আল খালদুন
Post a Comment