০০ যারা আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করে তাদের উদাহরণ একটি বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। আবার প্রত্যেকটি শীষে একশো করে দানা থাকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আর আল্লাহ অতীব প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ (সূরা বাকারা-২৬১ আয়াত)
০০ আল্লাহর পথে ব্যয় করো, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর তোমরা মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করো। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদের ভালবাসেন (সূরা বাকারা ১৯৬ আয়াত)।
০০ যারা নিজেদের ধনসম্পদ ব্যয় করে রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাদের প্রতিদান রয়েছে তাদের পালনকর্তার কাছে। সুতরাং তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না (সূরা বাকারা ২৭৪ আয়াত)।
০০ হে বিশ্বাসীরা! তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি তোমাদেরকে যেন আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। যারা এ কারণে উদাসীন, তারাই তো হবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা হতে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় করো। অন্যথায় বলবে হে আমার পালনকর্তা আমাকে আরো কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন, তাহলে আমি দান করতাম? এবং সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হতাম (সূরা-মুনাফিকুন)।
০০ অধিক (সম্পদ) লাভের প্রতিযোগিতা তোমারদেরকে (আল্লাহর স্মরণ হতে) উদাসীন করে রেখেছে। এমনি করেই (ধীরে ধীরে) তোমরা কবরের কাছে হাজির হবে (সূরা তাকাসুর ১-২ আয়াত)।
০০ হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা মানব সন্তানকে লক্ষ্য করে বলেন, তুমি (নিঃস্ব কাঙ্গালদের জন্য) খরচ করো তাহলে (আল্লাহও) তোমার জন্য খরচ করবেন (বুখারী ও মুসলিম)
০০ রসুল (সা.) বলেছেন, যখনই আল্লাহর বান্দারা সকাল বেলা বিছানা ত্যাগ করে, তখনই দু’জন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়। তাদের মধ্যে একজন বলতে থাকেন, আল্লাহ! তুমি দাতা ব্যক্তিকে প্রতিদান দাও। অন্যজন বলতে থাকেন, হে আল্লাহ! কৃপণ ব্যক্তিকে তুমি লোকসান দাও (বুখারী-মুসলিম)।
০০ রসুল (সা.) বলেছেন, দানকারী ব্যক্তি আল্লাহর নিকটতম, বেহেশতের নিকটতম ও সৎ মানুষদের নিকটতম হয়ে থাকে। আর দূরে থাকে দোযখ থেকে। পক্ষান্তরে কৃপণ ব্যক্তি অবস্থান করে আল্লাহ হতে, বেহেশত হতে এবং সৎ মানুষ হতে অনেক দূরে ও দোযখের নিকটে। অবশ্যই একজন অজ্ঞ দাতা একজন কৃপণ আবেদ বা ইবাদতকারীর চেয়ে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় (তিরমিযি)।
০০ হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত রসুল (সা.) বলেছেন, যদি কোন মুসলমান ব্যক্তি একটি বৃক্ষরোপণ করে কিংবা শস্য বপন করে। অতঃপর তা হতে কোন মানুষ, পাখি কিংবা কোন প্রাণী ভক্ষণ করে, তবে অবশ্যই তা তার জন্যে দানরূপে গণ্য হবে (বুখারী-মুসলিম)।
০০ আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রসুল (সা.) বলেন, আমার কাছে যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকে। তাহলে তিন রাত অতিবাহিত হওয়ার পরও তার সামান্য অংশ আমার কাছে অতিরিক্ত থাকুক তা আমি পছন্দ করি না। তবে হ্যাঁ! দেনা পরিশোধের জন্য যতটুকু প্রয়োজন (এবং জীবন ধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তাছাড়া সবই দান করে দিব) (বুখারী)।
সংকলনে- হোসাইন আল খালদুন
Post a Comment