আরব তখন ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন। মানুষে মানুষে চরম শত্রুতা। মানবজাতি আল্লাহকে ভুলে দেব দেবীর পূজায় লিপ্ত। নারী তখন যৌন পণ্য। কন্যা সন্তান যখন হত্যা হচ্ছে। চুরি-ডাকাতি রাহজানি, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, ব্যভিচার যখন আরব, পারস্য, রোম, তুরস্ক, মিশর, গ্রীস, সভ্যতাকে গিলে ফেলেছিল তখনই আল্লাহ তায়ালা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে প্রেরণ করলেন রহমত স্বরূপ। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে ১২ রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আব্দুল্লাহ ও মাতা আমিনার ঘরে জন্ম নিলেন মহানবী মুহাম্মদ (সা:)। শিশু মুহাম্মদকে (সা:) আরবের প্রথা অনুযায়ী দুধ মা হালিমার নিকট প্রেরণ করা হলো।
আচার, আচরণ, কথার মাধুর্যতা আদব কায়দায় শিশু মুহাম্মদ (সা:) সকলের প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন। শিশু মুহাম্মদের সততা ও বিশ্বস্ততায় আরব জাতি তাঁকে ‘আল আমিন উপাধী প্রদান করে। মহান আল্লাহ মেহেরবানী করে হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে ওহী প্রদান করেন। তিনি সাম্য ভ্রাতৃত্ত্ব ও সার্বজনীন ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করলেন। পৌত্তলিক ইহুদী, খ্রিষ্টানরা মহানবী (সা:)-এর বিরোধিতা করতে শুরু করলো। তার পরও তিনি থামেননি। ইসলাম প্রচার করতে লাগলেন। ইসলাম প্রচার করতে যেয়ে গায়ের রক্ত ঝরালেন তায়েফ বাসীর আঘাতে। ওহুদের ময়দানে নিজের পবিত্র দাঁত মোবারক শহীদ হলো মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর। কিন্তু মহানবী রাগ বা অভিশাপ না দিয়ে ক্ষমা করে দিলেন স্বজাতিকে। তিনি আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন, “হে আল্লাহ- আমার জাতিকে ক্ষমা করে দিন। কারণ তারা বুঝতে পারেনি। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এরকম ক্ষমার উদাহরণ তার সমগ্র জীবন ভরে। পবিত্র কুরআন পাকে মহানবীকে বলা হয়েছে “হে রাসুল আল্লাহর অনুগ্রহে আপনি তাদের জন্য অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের অধিকারী হয়েছেন। আর আপনি যদি কঠোর হতেন, তা হলে এসব লোক আপনার চারপাশ থেকে সড়ে যেতো”।
Post a Comment