রমজানের দোয়া
| comments
১ম রমজানের দোয়া
اليوم الاوّل : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِيامي فيهِ صِيامَ الصّائِمينَ، وَقِيامي فيهِ قيامَ الْقائِمينَ، وَنَبِّهْني فيهِ عَنْ نَوْمَةِ الْغافِلينَ، وَهَبْ لى جُرْمي فيهِ يا اِلـهَ الْعالَمينَ، وَاعْفُ عَنّي يا عافِياً عَنْ الُْمجْرِمينَ .
হে আল্লাহ ! আমার আজকের রোজাকে প্রকৃত রোজাদারদের রোজা হিসেবে গ্রহণ কর। আমার নামাজকে কবুল কর প্রকৃত নামাজীদের নামাজ হিসেবে। আমাকে জাগিয়ে তোলো গাফিলতির ঘুম থেকে। হে জগত সমূহের প্রতিপালক! এদিনে আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। ক্ষমা করে দাও আমার যাবতীয় অপরাধ। হে অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমাকারী।
২য় রমজানের দোয়া
اليوم الثّاني : اَللّـهُمَّ قَرِّبْني فيهِ اِلى مَرْضاتِكَ، وَجَنِّبْني فيهِ مِنْ سَخَطِكَ وَنَقِماتِكَ، وَوَفِّقْني فيهِ لِقِرآءَةِ ايـاتِكَ بِرَحْمَتِكَ يا اَرْحَمَ الرّاحِمينَ .
হে আল্লাহ! তোমার রহমতের উসিলায় আজ আমাকে তোমার সন্তুষ্টির কাছাকাছি নিয়ে যাও। দূরে সরিয়ে দাও তোমার ক্রোধ আর গজব থেকে । আমাকে তৌফিক দাও তোমার পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করার । হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াময়।
৩য় রমজানের দোয়া
اليوم الثّالث : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ الذِّهْنَ وَالتَّنْبيهَ، وَباعِدْني فيهِ مِنَ السَّفاهَةِ وَالَّتمْويهِ، وَاجْعَلْ لى نَصيباً مِنْ كُلِّ خَيْر تُنْزِلُ فيهِ، بِجُودِكَ يا اَجْوَدَ الاَْجْوَدينَ .
হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর। আমাকে দূরে রাখ অজ্ঞতা , নির্বুদ্ধিতা ও ভ্রান্ত কাজ-কর্ম থেকে। এ দিনে যত ধরণের কল্যাণ দান করবে তার প্রত্যেকটি থেকে তোমার দয়ার উসিলায় আমাকে উপকৃত কর। হে দানশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম দানশীল।
৪র্থ রমজানের দোয়া
اليوم الرّابع : اَللّـهُمَّ قَوِّني فيهِ عَلى اِقامَةِ اَمْرِكَ، وَاَذِقْني فيهِ حَلاوَةَ ذِكْرِكَ، وَاَوْزِعْني فيهِ لاَِداءِ شُكْرِكَ بِكَرَمِكَ، وَاحْفَظْني فيهِ بِحِفْظِكَ وَسَتْرِكَ، يا اَبْصَرَ النّاظِرينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার নির্দেশ পালনের শক্তি দাও। তোমার জিকিরের মাধুর্য আমাকে আস্বাদন করাও। তোমার অপার করুণার মাধ্যমে আমাকে তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত কর । হে দৃষ্টিমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিমান। আমাকে এ দিনে তোমারই আশ্রয় ও হেফাজতে রক্ষা কর।
৫ম রমজানের দোয়া
اليوم الخامس : اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مِنْ الْمُسْتَغْفِرينَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنْ عِبادِكَ الصّالِحينَ اْلقانِتينَ، وَاجْعَلني فيهِ مِنْ اَوْلِيائِكَ الْمُقَرَّبينَ، بِرَأْفَتِكَ يا اَرْحَمَ الرّاحِمينَ .
হে আল্লাহ ! এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে । হে আল্লাহ ! মেহেরবানী করে আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান ।
৬ষ্ঠ রমজানের দোয়া
اليوم السّادس : اَللّـهُمَّ لا تَخْذُلْني فيهِ لِتَعَرُّضِ مَعْصِيَتِكَ، وَلاتَضْرِبْني بِسِياطِ نَقِمَتِكَ، وَزَحْزِحْني فيهِ مِنْ مُوجِباتِ سَخَطِكَ، بِمَنِّكَ وَاَياديكَ يا مُنْتَهى رَغْبَةِ الرّاغِبينَ .
হে আল্লাহ ! তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এ দিনে আমায় লাঞ্চিত ও অপদস্থ করোনা । তোমার ক্রোধের চাবুক দিয়ে আমাকে শাস্তি দিওনা । সৃষ্টির প্রতি তোমার অসীম অনুগ্রহ আর নিয়ামতের শপথ করে বলছি তোমার ক্রোধ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখো । হে আবেদনকারীদের আবেদন কবুলের চূড়ান্ত উৎস ।
৭ম রমজানের দোয়া
اليوم السّابع : اَللّـهُمَّ اَعِنّي فِيهِ عَلى صِيامِهِ وَقِيامِهِ، وَجَنِّبْني فيهِ مِنْ هَفَواتِهِ وَآثامِهِ، وَارْزُقْني فيهِ ذِكْرَكَ بِدَوامِهِ، بِتَوْفيقِكَ يا هادِيَ الْمُضِلّينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে রোজা পালন ও নামাজ কায়েমে সাহায্য কর । আমাকে অন্যায় কাজ ও সব গুনাহ থেকে রক্ষা করো । তোমার তৌফিক ও শক্তিতে সবসময় আমাকে তোমার স্মরণে থাকার সুযোগ দাও । হে পথ হারাদের পথ প্রদর্শনকারী ।
৮ম রমজানের দোয়া
اليوم الثّامن : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ رَحْمَةَ الاَْيْتامِ، وَاِطْعامَ اَلطَّعامِ، وَاِفْشاءَ السَّلامِ، وَصُحْبَةَ الْكِرامِ، بِطَولِكَ يا مَلْجَاَ الاْمِلينَ .
হে আল্লাহ ! তোমার উদারতার উসিলায় এ দিনে আমাকে এতিমদের প্রতি দয়া করার, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ও সৎ ব্যক্তিদের সাহায্য লাভ করার তৌফিক দাও । হে আকাঙ্খাকারীদের আশ্রয়স্থল ।
৯ম রমজানের দোয়া
اليوم التّاسع : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لي فيهِ نَصيباً مِنْ رَحْمَتِكَ الْواسِعَةِ، وَاهْدِني فيهِ لِبَراهينِكَ السّاطِعَةِ، وَخُذْ بِناصِيَتي اِلى مَرْضاتِكَ الْجامِعَةِ، بِمَحَبَّتِكَ يا اَمَلَ الْمُشْتاقينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর । আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে । হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল । তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও ।
১০ম রমজানের দোয়া
اليوم العاشر : اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مِنَ الْمُتَوَكِّلينَ عَلَيْكَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنَ الْفائِزينَ لَدَيْكَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنَ الْمُقَرَّبينَ اِلَيْكَ، بِاِحْسانِكَ يا غايَةَ الطّالِبينَ .
হে আল্লাহ ! তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর । তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করো সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নাও । হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য ।
১১তম রমজানের দোয়া
اليوم الحادي عشر : اَللّـهُمَّ حَبِّبْ اِلَيَّ فيهِ الاِْحْسانَ، وَكَرِّهْ اِلَيَّ فيهِ الْفُسُوقَ وَالْعِصْيانَ، وَحَرِّمْ عَلَيَّ فيهِ السَّخَطَ وَالنّيرانَ بِعَوْنِكَ يا غِياثَ الْمُسْتَغيثينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে সৎ কাজকে আমার কাছে প্রিয় করে দাও আর অন্যায় ও নাফরমানীকে অপছন্দনীয় কর । তোমার অনুগ্রহের উসিলায় আমার জন্য তোমার ক্রোধ ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হারাম করে দাও । হে আবেদনকারীদের আবেদন শ্রবণকারী ।
১২ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّاني عشر : اَللّـهُمَّ زَيِّنّي فيهِ بِالسِّتْرِ وَالْعَفافِ، وَاسْتُرْني فيهِ بِلِباسِ الْقُنُوعِ وَالْكَفافِ، وَاحْمِلْني فيهِ عَلَى الْعَدْلِ وَالاِْنْصافِ، وَآمِنّي فيهِ مِنْ كُلِّ ما اَخافُ، بِعِصْمَتِكَ يا عِصْمَةَ الْخائِفينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে আত্মিক পবিত্রতার অলঙ্কারে ভূষিত কর । অল্পে তুষ্টি ও পরিতৃপ্তির পোশাকে আবৃত্ত কর । ন্যায় ও ইনসাফে আমাকে সুসজ্জিত কর । তোমার পবিত্রতার উসিলায় আমাকে ভীতিকর সবকিছু থেকে নিরাপদে রাখ । হে খোদা ভীরুদের রক্ষাকারী ।
১৩ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّالث عشر : اَللّـهُمَّ طَهِّرْني فيهِ مِنَ الدَّنَسِ وَالاَْقْذارِ، وَصَبِّرْني فيهِ عَلى كائِناتِ الاَْقْدارِ، وَوَفِّقْني فيهِ لِلتُّقى وَصُحْبَةِ الاَْبْرارِ، بِعَوْنِكَ يا قُرَّةَ عَيْنِ الْمَساكينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে কলুষতা ও অপবিত্রতা থেকে পবিত্র কর । যা কিছু তকদীর অনুযায়ী হয় তা মেনে চলার ধৈর্য আমাকে দান কর । তোমার বিশেষ অনুগ্রহে আমাকে তাকওয়া অর্জন এবং সৎ কর্মশীলদের সাহচর্যে থাকার তৌফিক দাও । হে অসহায়দের আশ্রয়দাতা ।
১৪ তম রমজানের দোয়া
اليوم الرّابع عشر : اَللّـهُمَّ لا تُؤاخِذْني فيهِ بِالْعَثَراتِ، وَاَقِلْني فيهِ مِنَ الْخَطايا وَالْهَفَواتِ، وَلا تَجْعَلْني فيهِ غَرَضاً لِلْبَلايا وَالاْفاتِ، بِعِزَّتِكَ يا عِزَّ الْمُسْلِمينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে আমার ভ্রান্তির জন্যে জিজ্ঞাসাবাদ করো না । আমার দোষ-ত্রুটিকে হিসেবের মধ্যে ধরো না ।তোমার মর্যাদার উসিলায় আমাকে বিপদ-আপদ ও দুর্যোগের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করো না । হে মুসলমানদের মর্যাদা দানকারী।
১৫ তম রমজানের দোয়া
اليوم الخامس عشر : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ طاعَةَ الْخاشِعينَ، وَاشْرَحْ فيهِ صَدْري بِاِنابَةِ الُْمخْبِتينَ، بِاَمانِكَ يا اَمانَ الْخائِفينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে তোমার বিনয়ী বান্দাদের মতো আনুগত্য করার তৌফিক দাও । তোমার আশ্রয় ও হেফাজতের উসিলায় আমার অন্তরকে প্রশস্ত করে খোদাভীরু ও বিনয়ী বান্দাদের অন্তরে পরিণত কর । হে খোদাভীরু মুত্তাকীদের আশ্রয়দাতা ।
১৬ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّادس عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّقْني فيهِ لِمُوافَقَةِ الاَْبْرارِ، وَجَنِّبْني فيهِ مُرافَقَةَ الاَْشْرارِ، وَآوِني فيهِ بِرَحْمَتِكَ اِلى دارِ الْقَـرارِ، بِاِلهِيَّتِكَ يا اِلـهَ الْعالَمينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার সৎবান্দাদের সাহচর্য লাভের তৌফিক দাও। আমাকে মন্দ লোকদের সাথে বন্ধুত্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখো। তোমার খোদায়ীত্বের শপথ করে বলছি, আমাকে তোমার রহমতের বেহেশতে স্থান দাও। হে জগতসমূহের প্রতিপালক।
১৭ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّابع عشر : اَللّـهُمَّ اهْدِني فيهِ لِصالِحِ الاَْعْمالِ، وَاقْضِ لي فيهِ الْحَوائِجَ وَالاْمالَ، يا مَنْ لا يَحْتاجُ اِلَى التَّفْسيرِ وَالسُّؤالِ، يا عالِماً بِما في صُدُورِ الْعالَمينَ، صَلِّ عَلى مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে সৎকাজের দিকে পরিচালিত কর। হে মহান সত্ত্বা যার কাছে প্রয়োজনের কথা বলার ও ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার হয় না । আমার সব প্রয়োজন ও আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে দাও। হে তাবত দুনিয়ার রহস্যজ্ঞানী ! হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং তাঁর পবিত্র বংশধরদের ওপর রহমত বষর্ণ কর।
১৮ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّامن عشر : اَللّـهُمَّ نَبِّهْني فيهِ لِبَرَكاتِ اَسْحارِهِ، وَنَوِّرْ فيهِ قَلْبي بِضياءِ اَنْوارِهِ، وَخُذْ بِكُلِّ اَعْضائي اِلَى اتِّباعِ آثارِهِ، بِنُورِكَ يا مُنَوِّرَ قُلُوبِ الْعارِفينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে সেহরীর বরকতের উসিলায় সচেতন ও জাগ্রত করে তোল। সেহরীর নূরের ঔজ্জ্বল্যে আমার অন্তরকে আলোকিত করে দাও। তোমার নূরের উসিলায় আমার প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে তোমার নূরের প্রভাব বিকশিত কর। হে সাধকদের অন্তর আলোকিতকারী !
১৯ তম রমজানের দোয়া
اليوم التّاسع عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ فيهِ حَظّي مِنْ بَرَكاتِهِ، وَسَهِّلْ سَبيلي اِلى خَيْراتِهِ، وَلا تَحْرِمْني قَبُولَ حَسَناتِهِ، يا هادِياً اِلَى الْحَقِّ الْمُبينِ .
হে আল্লাহ ! আমাকে এ মাসের বরকতের অধিকারী কর। এর কল্যাণ অজর্নের পথ আমার জন্য সহজ করে দাও। এ মাসের কল্যাণ লাভ থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না। হে স্পষ্ট সত্যের দিকে পথো নির্দেশকারী।
২০ তম রমজানের দোয়া
اليوم العشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لي فيهِ اَبْوابَ الْجِنانِ، وَاَغْلِقْ عَنّي فيهِ اَبْوابَ النّيرانِ، وَوَفِّقْني فيهِ لِتِلاوَةِ الْقُرْآنِ، يا مُنْزِلَ السَّكينَةِ فى قُلُوبِ الْمُؤْمِنينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার জন্যে বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দাও এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দাও। আমাকে কোরআন তেলাওয়াতের তৌফিক দান কর। হে ঈমানদারদের অন্তরে প্রশান্তি দানকারী।
২১ তম রমজানের দোয়া
اليوم الحادي والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لى فيهِ اِلى مَرْضاتِكَ دَليلاً، وَلا تَجْعَلْ لِلشَّيْطانِ فيهِ عَلَيَّ سَبيلاً، وَاجْعَلِ الْجَنَّةَ لى مَنْزِلاً وَمَقيلاً، يا قاضِيَ حَوائِجِ الطّالِبينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত কর। শয়তানদের আমার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে দিওনা। জান্নাতকে আমার গন্তব্যে পরিণত কর। হে প্রার্থনাকারীদের অভাব মোচনকারী ।
২২ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّاني والعشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لى فيهِ اَبْوابَ فَضْلِكَ، وَاَنْزِلْ عَلَيَّ فيهِ بَرَكاتِكَ، وَوَفِّقْني فيهِ لِمُوجِباتِ مَرْضاتِكَ، وَاَسْكِنّي فيهِ بُحْبُوحاتِ جَنّاتِكَ، يا مُجيبَ دَعْوَةِ الْمُضْطَرّينَ .
হে আল্লাহ ! আজ তোমার করুণা ও রহমতের দরজা আমার সামনে খুলে দাও এবং বরকত নাজিল কর । আমাকে তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের তৌফিক দাও। তোমার বেহেশতের বাগানের মাঝে আমাকে স্থান করে দাও। হে অসহায়দের দোয়া কবুলকারী।
২৩ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّالث والعشرون : اَللّـهُمَّ اغْسِلْني فيهِ مِنَ الذُّنُوبِ، وَطَهِّرْني فيهِ مِنَ الْعُيُوبِ، وَامْتَحِنْ قَلْبي فيهِ بِتَقْوَى الْقُلُوبِ، يا مُقيلَ عَثَراتِ الْمُذْنِبينَ .
হে আল্লাহ ! আমার সকল গুনাহ ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে দাও। আমাকে সব দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র কর। তাকওয়া ও খোদাভীতির মাধ্যমে আমার অন্তরকে সকল পরিক্ষায় উত্তীর্ণ কর। হে অপরাধীদের ভুল-ত্রুটি মার্জনাকারী।
২৪ তম রমজানের দোয়া
اليوم الرّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ اِنّي اَسْأَلُكَ فيهِ ما يُرْضيكَ، وَاَعُوذُبِكَ مِمّا يُؤْذيكَ، وَاَسْأَلُكَ التَّوْفيقَ فيهِ لاَِنْ اُطيعَكَ وَلا اَعْصيْكَ، يا جَوادَ السّائِلينَ .
হে আল্লাহ ! আজ তোমার কাছে ঐসব আবেদন করছি যার মধ্যে তোমার সন্তুষ্টি রয়েছে। যা কিছু তোমার কাছে অপছন্দনীয় তা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। তোমারই আনুগত্য করার এবং তোমার নাফরমানী থেকে বিরত থাকার তৌফিক দাও। হে প্রার্থীদের প্রতি দানশীল।
২৫ তম রমজানের দোয়া
اليوم الخامس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مُحِبَّاً لاَِوْلِيائِكَ، وَمُعادِياً لاَِعْدائِكَ، مُسْتَنّاً بِسُنَّةِ خاتَمِ اَنْبِيائِكَ، يا عاصِمَ قُلُوبِ النَّبِيّينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার বন্ধুদের বন্ধু এবং তোমার শত্রুদের শত্রু করে দাও। তোমার আখেরী নবীর সুন্নত ও পথ অনুযায়ী চলার তৌফিক আমাকে দান কর। হে নবীদের অন্তরের পবিত্রতা রক্ষাকারী।
২৬ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّادس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ سَعْيي فيهِ مَشْكُوراً، وَذَنْبي فيهِ مَغْفُوراً وَعَمَلي فيهِ مَقْبُولاً، وَعَيْبي فيهِ مَسْتُوراً، يا اَسْمَعَ السّامِعينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার প্রচেষ্টাকে গ্রহণ করে নাও। আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। আমার সব আমল কাজ কবুল করো এবং সব দোষ-ত্রু টি ঢেকে রাখ। হে সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রোতা।
২৭ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ فَضْلَ لَيْلَةِ الْقَدْرِ، وَصَيِّرْ اُمُوري فيهِ مِنَ الْعُسْرِ اِلَى الْيُسْرِ، وَاقْبَلْ مَعاذيري، وَحُطَّ عَنّيِ الذَّنْبَ وَالْوِزْرَ، يا رَؤوفاً بِعِبادِهِ الصّالِحينَ
হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে শবেকদরের ফজিলত দান কর। আমার কাজ কর্মকে কঠিন থেকে সহজের দিকে নিয়ে যাও। আমার অক্ষমতা কবুল কর এবং ক্ষমা করে দাও আমার সব অপরাধ। হে যোগ্য বান্দাদের প্রতি মেহেরবান।
২৮ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّامن والعشرون : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ حَظّي فيهِ مِنَ النَّوافِلِ، وَاَكْرِمْني فيهِ بِاِحْضارِ الْمَسائِلِ، وَقَرِّبْ فيهِ وَسيلَتى اِلَيْكَ مِنْ بَيْنِ الْوَسائِلِ، يا مَنْ لا يَشْغَلُهُ اِلْحـاحُ الْمُلِحّينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে নফল এবাদতের পর্যাপ্ত সুযোগ দাও। ধর্মীয় শিক্ষার মর্যাদায় আমাকে ভূষিত কর। তোমার নৈকট্য লাভের পথকে আমার জন্যে সহজ করে দাও। হে পবিত্র সত্ত্বা ! যাকে, অনুরোধকারীদের কোন আবেদন নিবেদন , ন্যায়বিচার থেকে টলাতে পারে না।
২৯ তম রমজানের দোয়া
اليوم التّاسع والعشرون : اَللّـهُمَّ غَشِّني فيهِ بِالرَّحْمَةِ، وَارْزُقْني فيهِ التَّوْفيقَ وَالْعِصْمَةَ، وَطَهِّرْ قَلْبي مِنْ غَياهِبِ التُّهْمَةِ، يا رَحيماً بِعِبادِهِ الْمُؤْمِنينَ .
হে আল্লাহ ! আজ আমাকে তোমার রহমত দিয়ে ঢেকে দাও। গুনাহ থেকে মুক্তিসহ আমাকে সাফল্য দান কর। আমার অন্তরকে মুক্ত কর অভিযোগ ও সন্দেহের কালিমা থেকে । হে ঈমানদার বান্দাদের প্রতি দয়াবান।
৩০ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثلاثون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِيامى فيهِ بِالشُّكْرِ وَالْقَبُولِ عَلى ما تَرْضاهُ وَيَرْضاهُ الرَّسُولُ، مُحْكَمَةً فُرُوعُهُ بِالاُْصُولِ، بِحَقِّ سَيِّدِنا مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرينَ، وَالْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعالَمينَ .
হে আল্লাহ ! তুমি ও তোমার রাসুল ঠিক যেমনিভাবে খুশি হবে তেমনি করে আমার রোজাকে পুরস্কৃত কর এবং কবুল করে নাও। আমাদের নেতা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও তার পবিত্র বংশধরদের উসিলায় আমার সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমলকে মূল এবাদতের সাথে যোগ করে শক্তিশালী কর। আর সব প্রশংসা ও স্তুতি জগতসমূহের প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহর।
اليوم الاوّل : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِيامي فيهِ صِيامَ الصّائِمينَ، وَقِيامي فيهِ قيامَ الْقائِمينَ، وَنَبِّهْني فيهِ عَنْ نَوْمَةِ الْغافِلينَ، وَهَبْ لى جُرْمي فيهِ يا اِلـهَ الْعالَمينَ، وَاعْفُ عَنّي يا عافِياً عَنْ الُْمجْرِمينَ .
হে আল্লাহ ! আমার আজকের রোজাকে প্রকৃত রোজাদারদের রোজা হিসেবে গ্রহণ কর। আমার নামাজকে কবুল কর প্রকৃত নামাজীদের নামাজ হিসেবে। আমাকে জাগিয়ে তোলো গাফিলতির ঘুম থেকে। হে জগত সমূহের প্রতিপালক! এদিনে আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। ক্ষমা করে দাও আমার যাবতীয় অপরাধ। হে অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমাকারী।
২য় রমজানের দোয়া
اليوم الثّاني : اَللّـهُمَّ قَرِّبْني فيهِ اِلى مَرْضاتِكَ، وَجَنِّبْني فيهِ مِنْ سَخَطِكَ وَنَقِماتِكَ، وَوَفِّقْني فيهِ لِقِرآءَةِ ايـاتِكَ بِرَحْمَتِكَ يا اَرْحَمَ الرّاحِمينَ .
হে আল্লাহ! তোমার রহমতের উসিলায় আজ আমাকে তোমার সন্তুষ্টির কাছাকাছি নিয়ে যাও। দূরে সরিয়ে দাও তোমার ক্রোধ আর গজব থেকে । আমাকে তৌফিক দাও তোমার পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করার । হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াময়।
৩য় রমজানের দোয়া
اليوم الثّالث : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ الذِّهْنَ وَالتَّنْبيهَ، وَباعِدْني فيهِ مِنَ السَّفاهَةِ وَالَّتمْويهِ، وَاجْعَلْ لى نَصيباً مِنْ كُلِّ خَيْر تُنْزِلُ فيهِ، بِجُودِكَ يا اَجْوَدَ الاَْجْوَدينَ .
হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর। আমাকে দূরে রাখ অজ্ঞতা , নির্বুদ্ধিতা ও ভ্রান্ত কাজ-কর্ম থেকে। এ দিনে যত ধরণের কল্যাণ দান করবে তার প্রত্যেকটি থেকে তোমার দয়ার উসিলায় আমাকে উপকৃত কর। হে দানশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম দানশীল।
৪র্থ রমজানের দোয়া
اليوم الرّابع : اَللّـهُمَّ قَوِّني فيهِ عَلى اِقامَةِ اَمْرِكَ، وَاَذِقْني فيهِ حَلاوَةَ ذِكْرِكَ، وَاَوْزِعْني فيهِ لاَِداءِ شُكْرِكَ بِكَرَمِكَ، وَاحْفَظْني فيهِ بِحِفْظِكَ وَسَتْرِكَ، يا اَبْصَرَ النّاظِرينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার নির্দেশ পালনের শক্তি দাও। তোমার জিকিরের মাধুর্য আমাকে আস্বাদন করাও। তোমার অপার করুণার মাধ্যমে আমাকে তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত কর । হে দৃষ্টিমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিমান। আমাকে এ দিনে তোমারই আশ্রয় ও হেফাজতে রক্ষা কর।
৫ম রমজানের দোয়া
اليوم الخامس : اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مِنْ الْمُسْتَغْفِرينَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنْ عِبادِكَ الصّالِحينَ اْلقانِتينَ، وَاجْعَلني فيهِ مِنْ اَوْلِيائِكَ الْمُقَرَّبينَ، بِرَأْفَتِكَ يا اَرْحَمَ الرّاحِمينَ .
হে আল্লাহ ! এই দিনে আমাকে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। আমাকে শামিল কর তোমার সৎ ও অনুগত বান্দাদের কাতারে । হে আল্লাহ ! মেহেরবানী করে আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর। হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান ।
৬ষ্ঠ রমজানের দোয়া
اليوم السّادس : اَللّـهُمَّ لا تَخْذُلْني فيهِ لِتَعَرُّضِ مَعْصِيَتِكَ، وَلاتَضْرِبْني بِسِياطِ نَقِمَتِكَ، وَزَحْزِحْني فيهِ مِنْ مُوجِباتِ سَخَطِكَ، بِمَنِّكَ وَاَياديكَ يا مُنْتَهى رَغْبَةِ الرّاغِبينَ .
হে আল্লাহ ! তোমার নির্দেশ অমান্য করার কারণে এ দিনে আমায় লাঞ্চিত ও অপদস্থ করোনা । তোমার ক্রোধের চাবুক দিয়ে আমাকে শাস্তি দিওনা । সৃষ্টির প্রতি তোমার অসীম অনুগ্রহ আর নিয়ামতের শপথ করে বলছি তোমার ক্রোধ সৃষ্টিকারী কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখো । হে আবেদনকারীদের আবেদন কবুলের চূড়ান্ত উৎস ।
৭ম রমজানের দোয়া
اليوم السّابع : اَللّـهُمَّ اَعِنّي فِيهِ عَلى صِيامِهِ وَقِيامِهِ، وَجَنِّبْني فيهِ مِنْ هَفَواتِهِ وَآثامِهِ، وَارْزُقْني فيهِ ذِكْرَكَ بِدَوامِهِ، بِتَوْفيقِكَ يا هادِيَ الْمُضِلّينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে রোজা পালন ও নামাজ কায়েমে সাহায্য কর । আমাকে অন্যায় কাজ ও সব গুনাহ থেকে রক্ষা করো । তোমার তৌফিক ও শক্তিতে সবসময় আমাকে তোমার স্মরণে থাকার সুযোগ দাও । হে পথ হারাদের পথ প্রদর্শনকারী ।
৮ম রমজানের দোয়া
اليوم الثّامن : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ رَحْمَةَ الاَْيْتامِ، وَاِطْعامَ اَلطَّعامِ، وَاِفْشاءَ السَّلامِ، وَصُحْبَةَ الْكِرامِ، بِطَولِكَ يا مَلْجَاَ الاْمِلينَ .
হে আল্লাহ ! তোমার উদারতার উসিলায় এ দিনে আমাকে এতিমদের প্রতি দয়া করার, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ও সৎ ব্যক্তিদের সাহায্য লাভ করার তৌফিক দাও । হে আকাঙ্খাকারীদের আশ্রয়স্থল ।
৯ম রমজানের দোয়া
اليوم التّاسع : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لي فيهِ نَصيباً مِنْ رَحْمَتِكَ الْواسِعَةِ، وَاهْدِني فيهِ لِبَراهينِكَ السّاطِعَةِ، وَخُذْ بِناصِيَتي اِلى مَرْضاتِكَ الْجامِعَةِ، بِمَحَبَّتِكَ يا اَمَلَ الْمُشْتاقينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর । আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে । হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল । তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও ।
১০ম রমজানের দোয়া
اليوم العاشر : اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مِنَ الْمُتَوَكِّلينَ عَلَيْكَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنَ الْفائِزينَ لَدَيْكَ، وَاجْعَلْني فيهِ مِنَ الْمُقَرَّبينَ اِلَيْكَ، بِاِحْسانِكَ يا غايَةَ الطّالِبينَ .
হে আল্লাহ ! তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর । তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করো সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নাও । হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য ।
১১তম রমজানের দোয়া
اليوم الحادي عشر : اَللّـهُمَّ حَبِّبْ اِلَيَّ فيهِ الاِْحْسانَ، وَكَرِّهْ اِلَيَّ فيهِ الْفُسُوقَ وَالْعِصْيانَ، وَحَرِّمْ عَلَيَّ فيهِ السَّخَطَ وَالنّيرانَ بِعَوْنِكَ يا غِياثَ الْمُسْتَغيثينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে সৎ কাজকে আমার কাছে প্রিয় করে দাও আর অন্যায় ও নাফরমানীকে অপছন্দনীয় কর । তোমার অনুগ্রহের উসিলায় আমার জন্য তোমার ক্রোধ ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হারাম করে দাও । হে আবেদনকারীদের আবেদন শ্রবণকারী ।
১২ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّاني عشر : اَللّـهُمَّ زَيِّنّي فيهِ بِالسِّتْرِ وَالْعَفافِ، وَاسْتُرْني فيهِ بِلِباسِ الْقُنُوعِ وَالْكَفافِ، وَاحْمِلْني فيهِ عَلَى الْعَدْلِ وَالاِْنْصافِ، وَآمِنّي فيهِ مِنْ كُلِّ ما اَخافُ، بِعِصْمَتِكَ يا عِصْمَةَ الْخائِفينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে আত্মিক পবিত্রতার অলঙ্কারে ভূষিত কর । অল্পে তুষ্টি ও পরিতৃপ্তির পোশাকে আবৃত্ত কর । ন্যায় ও ইনসাফে আমাকে সুসজ্জিত কর । তোমার পবিত্রতার উসিলায় আমাকে ভীতিকর সবকিছু থেকে নিরাপদে রাখ । হে খোদা ভীরুদের রক্ষাকারী ।
১৩ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّالث عشر : اَللّـهُمَّ طَهِّرْني فيهِ مِنَ الدَّنَسِ وَالاَْقْذارِ، وَصَبِّرْني فيهِ عَلى كائِناتِ الاَْقْدارِ، وَوَفِّقْني فيهِ لِلتُّقى وَصُحْبَةِ الاَْبْرارِ، بِعَوْنِكَ يا قُرَّةَ عَيْنِ الْمَساكينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে কলুষতা ও অপবিত্রতা থেকে পবিত্র কর । যা কিছু তকদীর অনুযায়ী হয় তা মেনে চলার ধৈর্য আমাকে দান কর । তোমার বিশেষ অনুগ্রহে আমাকে তাকওয়া অর্জন এবং সৎ কর্মশীলদের সাহচর্যে থাকার তৌফিক দাও । হে অসহায়দের আশ্রয়দাতা ।
১৪ তম রমজানের দোয়া
اليوم الرّابع عشر : اَللّـهُمَّ لا تُؤاخِذْني فيهِ بِالْعَثَراتِ، وَاَقِلْني فيهِ مِنَ الْخَطايا وَالْهَفَواتِ، وَلا تَجْعَلْني فيهِ غَرَضاً لِلْبَلايا وَالاْفاتِ، بِعِزَّتِكَ يا عِزَّ الْمُسْلِمينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে আমার ভ্রান্তির জন্যে জিজ্ঞাসাবাদ করো না । আমার দোষ-ত্রুটিকে হিসেবের মধ্যে ধরো না ।তোমার মর্যাদার উসিলায় আমাকে বিপদ-আপদ ও দুর্যোগের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করো না । হে মুসলমানদের মর্যাদা দানকারী।
১৫ তম রমজানের দোয়া
اليوم الخامس عشر : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ طاعَةَ الْخاشِعينَ، وَاشْرَحْ فيهِ صَدْري بِاِنابَةِ الُْمخْبِتينَ، بِاَمانِكَ يا اَمانَ الْخائِفينَ .
হে আল্লাহ ! এদিনে আমাকে তোমার বিনয়ী বান্দাদের মতো আনুগত্য করার তৌফিক দাও । তোমার আশ্রয় ও হেফাজতের উসিলায় আমার অন্তরকে প্রশস্ত করে খোদাভীরু ও বিনয়ী বান্দাদের অন্তরে পরিণত কর । হে খোদাভীরু মুত্তাকীদের আশ্রয়দাতা ।
১৬ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّادس عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّقْني فيهِ لِمُوافَقَةِ الاَْبْرارِ، وَجَنِّبْني فيهِ مُرافَقَةَ الاَْشْرارِ، وَآوِني فيهِ بِرَحْمَتِكَ اِلى دارِ الْقَـرارِ، بِاِلهِيَّتِكَ يا اِلـهَ الْعالَمينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার সৎবান্দাদের সাহচর্য লাভের তৌফিক দাও। আমাকে মন্দ লোকদের সাথে বন্ধুত্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখো। তোমার খোদায়ীত্বের শপথ করে বলছি, আমাকে তোমার রহমতের বেহেশতে স্থান দাও। হে জগতসমূহের প্রতিপালক।
১৭ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّابع عشر : اَللّـهُمَّ اهْدِني فيهِ لِصالِحِ الاَْعْمالِ، وَاقْضِ لي فيهِ الْحَوائِجَ وَالاْمالَ، يا مَنْ لا يَحْتاجُ اِلَى التَّفْسيرِ وَالسُّؤالِ، يا عالِماً بِما في صُدُورِ الْعالَمينَ، صَلِّ عَلى مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে সৎকাজের দিকে পরিচালিত কর। হে মহান সত্ত্বা যার কাছে প্রয়োজনের কথা বলার ও ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার হয় না । আমার সব প্রয়োজন ও আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে দাও। হে তাবত দুনিয়ার রহস্যজ্ঞানী ! হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং তাঁর পবিত্র বংশধরদের ওপর রহমত বষর্ণ কর।
১৮ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّامن عشر : اَللّـهُمَّ نَبِّهْني فيهِ لِبَرَكاتِ اَسْحارِهِ، وَنَوِّرْ فيهِ قَلْبي بِضياءِ اَنْوارِهِ، وَخُذْ بِكُلِّ اَعْضائي اِلَى اتِّباعِ آثارِهِ، بِنُورِكَ يا مُنَوِّرَ قُلُوبِ الْعارِفينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে সেহরীর বরকতের উসিলায় সচেতন ও জাগ্রত করে তোল। সেহরীর নূরের ঔজ্জ্বল্যে আমার অন্তরকে আলোকিত করে দাও। তোমার নূরের উসিলায় আমার প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে তোমার নূরের প্রভাব বিকশিত কর। হে সাধকদের অন্তর আলোকিতকারী !
১৯ তম রমজানের দোয়া
اليوم التّاسع عشر : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ فيهِ حَظّي مِنْ بَرَكاتِهِ، وَسَهِّلْ سَبيلي اِلى خَيْراتِهِ، وَلا تَحْرِمْني قَبُولَ حَسَناتِهِ، يا هادِياً اِلَى الْحَقِّ الْمُبينِ .
হে আল্লাহ ! আমাকে এ মাসের বরকতের অধিকারী কর। এর কল্যাণ অজর্নের পথ আমার জন্য সহজ করে দাও। এ মাসের কল্যাণ লাভ থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না। হে স্পষ্ট সত্যের দিকে পথো নির্দেশকারী।
২০ তম রমজানের দোয়া
اليوم العشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لي فيهِ اَبْوابَ الْجِنانِ، وَاَغْلِقْ عَنّي فيهِ اَبْوابَ النّيرانِ، وَوَفِّقْني فيهِ لِتِلاوَةِ الْقُرْآنِ، يا مُنْزِلَ السَّكينَةِ فى قُلُوبِ الْمُؤْمِنينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার জন্যে বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দাও এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দাও। আমাকে কোরআন তেলাওয়াতের তৌফিক দান কর। হে ঈমানদারদের অন্তরে প্রশান্তি দানকারী।
২১ তম রমজানের দোয়া
اليوم الحادي والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لى فيهِ اِلى مَرْضاتِكَ دَليلاً، وَلا تَجْعَلْ لِلشَّيْطانِ فيهِ عَلَيَّ سَبيلاً، وَاجْعَلِ الْجَنَّةَ لى مَنْزِلاً وَمَقيلاً، يا قاضِيَ حَوائِجِ الطّالِبينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত কর। শয়তানদের আমার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে দিওনা। জান্নাতকে আমার গন্তব্যে পরিণত কর। হে প্রার্থনাকারীদের অভাব মোচনকারী ।
২২ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّاني والعشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لى فيهِ اَبْوابَ فَضْلِكَ، وَاَنْزِلْ عَلَيَّ فيهِ بَرَكاتِكَ، وَوَفِّقْني فيهِ لِمُوجِباتِ مَرْضاتِكَ، وَاَسْكِنّي فيهِ بُحْبُوحاتِ جَنّاتِكَ، يا مُجيبَ دَعْوَةِ الْمُضْطَرّينَ .
হে আল্লাহ ! আজ তোমার করুণা ও রহমতের দরজা আমার সামনে খুলে দাও এবং বরকত নাজিল কর । আমাকে তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের তৌফিক দাও। তোমার বেহেশতের বাগানের মাঝে আমাকে স্থান করে দাও। হে অসহায়দের দোয়া কবুলকারী।
২৩ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّالث والعشرون : اَللّـهُمَّ اغْسِلْني فيهِ مِنَ الذُّنُوبِ، وَطَهِّرْني فيهِ مِنَ الْعُيُوبِ، وَامْتَحِنْ قَلْبي فيهِ بِتَقْوَى الْقُلُوبِ، يا مُقيلَ عَثَراتِ الْمُذْنِبينَ .
হে আল্লাহ ! আমার সকল গুনাহ ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে দাও। আমাকে সব দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র কর। তাকওয়া ও খোদাভীতির মাধ্যমে আমার অন্তরকে সকল পরিক্ষায় উত্তীর্ণ কর। হে অপরাধীদের ভুল-ত্রুটি মার্জনাকারী।
২৪ তম রমজানের দোয়া
اليوم الرّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ اِنّي اَسْأَلُكَ فيهِ ما يُرْضيكَ، وَاَعُوذُبِكَ مِمّا يُؤْذيكَ، وَاَسْأَلُكَ التَّوْفيقَ فيهِ لاَِنْ اُطيعَكَ وَلا اَعْصيْكَ، يا جَوادَ السّائِلينَ .
হে আল্লাহ ! আজ তোমার কাছে ঐসব আবেদন করছি যার মধ্যে তোমার সন্তুষ্টি রয়েছে। যা কিছু তোমার কাছে অপছন্দনীয় তা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। তোমারই আনুগত্য করার এবং তোমার নাফরমানী থেকে বিরত থাকার তৌফিক দাও। হে প্রার্থীদের প্রতি দানশীল।
২৫ তম রমজানের দোয়া
اليوم الخامس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْني فيهِ مُحِبَّاً لاَِوْلِيائِكَ، وَمُعادِياً لاَِعْدائِكَ، مُسْتَنّاً بِسُنَّةِ خاتَمِ اَنْبِيائِكَ، يا عاصِمَ قُلُوبِ النَّبِيّينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে তোমার বন্ধুদের বন্ধু এবং তোমার শত্রুদের শত্রু করে দাও। তোমার আখেরী নবীর সুন্নত ও পথ অনুযায়ী চলার তৌফিক আমাকে দান কর। হে নবীদের অন্তরের পবিত্রতা রক্ষাকারী।
২৬ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّادس والعشرون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ سَعْيي فيهِ مَشْكُوراً، وَذَنْبي فيهِ مَغْفُوراً وَعَمَلي فيهِ مَقْبُولاً، وَعَيْبي فيهِ مَسْتُوراً، يا اَسْمَعَ السّامِعينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমার প্রচেষ্টাকে গ্রহণ করে নাও। আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও। আমার সব আমল কাজ কবুল করো এবং সব দোষ-ত্রু টি ঢেকে রাখ। হে সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রোতা।
২৭ তম রমজানের দোয়া
اليوم السّابع والعشرون : اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ فَضْلَ لَيْلَةِ الْقَدْرِ، وَصَيِّرْ اُمُوري فيهِ مِنَ الْعُسْرِ اِلَى الْيُسْرِ، وَاقْبَلْ مَعاذيري، وَحُطَّ عَنّيِ الذَّنْبَ وَالْوِزْرَ، يا رَؤوفاً بِعِبادِهِ الصّالِحينَ
হে আল্লাহ ! আজকের দিনে আমাকে শবেকদরের ফজিলত দান কর। আমার কাজ কর্মকে কঠিন থেকে সহজের দিকে নিয়ে যাও। আমার অক্ষমতা কবুল কর এবং ক্ষমা করে দাও আমার সব অপরাধ। হে যোগ্য বান্দাদের প্রতি মেহেরবান।
২৮ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثّامن والعشرون : اَللّـهُمَّ وَفِّرْ حَظّي فيهِ مِنَ النَّوافِلِ، وَاَكْرِمْني فيهِ بِاِحْضارِ الْمَسائِلِ، وَقَرِّبْ فيهِ وَسيلَتى اِلَيْكَ مِنْ بَيْنِ الْوَسائِلِ، يا مَنْ لا يَشْغَلُهُ اِلْحـاحُ الْمُلِحّينَ .
হে আল্লাহ ! এ দিনে আমাকে নফল এবাদতের পর্যাপ্ত সুযোগ দাও। ধর্মীয় শিক্ষার মর্যাদায় আমাকে ভূষিত কর। তোমার নৈকট্য লাভের পথকে আমার জন্যে সহজ করে দাও। হে পবিত্র সত্ত্বা ! যাকে, অনুরোধকারীদের কোন আবেদন নিবেদন , ন্যায়বিচার থেকে টলাতে পারে না।
২৯ তম রমজানের দোয়া
اليوم التّاسع والعشرون : اَللّـهُمَّ غَشِّني فيهِ بِالرَّحْمَةِ، وَارْزُقْني فيهِ التَّوْفيقَ وَالْعِصْمَةَ، وَطَهِّرْ قَلْبي مِنْ غَياهِبِ التُّهْمَةِ، يا رَحيماً بِعِبادِهِ الْمُؤْمِنينَ .
হে আল্লাহ ! আজ আমাকে তোমার রহমত দিয়ে ঢেকে দাও। গুনাহ থেকে মুক্তিসহ আমাকে সাফল্য দান কর। আমার অন্তরকে মুক্ত কর অভিযোগ ও সন্দেহের কালিমা থেকে । হে ঈমানদার বান্দাদের প্রতি দয়াবান।
৩০ তম রমজানের দোয়া
اليوم الثلاثون : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِيامى فيهِ بِالشُّكْرِ وَالْقَبُولِ عَلى ما تَرْضاهُ وَيَرْضاهُ الرَّسُولُ، مُحْكَمَةً فُرُوعُهُ بِالاُْصُولِ، بِحَقِّ سَيِّدِنا مُحَمَّد وَآلِهِ الطّاهِرينَ، وَالْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعالَمينَ .
হে আল্লাহ ! তুমি ও তোমার রাসুল ঠিক যেমনিভাবে খুশি হবে তেমনি করে আমার রোজাকে পুরস্কৃত কর এবং কবুল করে নাও। আমাদের নেতা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও তার পবিত্র বংশধরদের উসিলায় আমার সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমলকে মূল এবাদতের সাথে যোগ করে শক্তিশালী কর। আর সব প্রশংসা ও স্তুতি জগতসমূহের প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহর।
চলাফেরায় উঠা বসায় সুন্নতি স্মরণ
| comments
১. কোনো কিছু আরম্ভ করার পূর্বে = বিসমিল্লাহ
২. কোনো কিছু করার উদ্দেশ্য = ইনশাল্লাহ
৩. কোনো বিস্ময়কর বিষয় দেখলে = সুবহানাল্লাহ
৪. কষ্টে ও যন্ত্রণায় = ইয়া আল্লাহ
৫. প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ = মাশাআল্লাহ
৬. ধন্যবাদ জ্ঞাপনে = যাজাকাল্লাহ
৭. ঘুম থেকে জাগ্রত হবার পর = লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ
৮. শপথ নেয়ার সময় = ওয়াল্লাহি বিল্লাহ
৯. হাঁচি দেয়ার পর = আলহামদু লিল্লাহ
১০. অন্য কেউ হাঁচি দিলে = ইয়ার হামুকাল্লাহ
১১. জিজ্ঞাসার জবাবে = আলহামদু লিল্লাহ
১২. পাপের অনুশোচনায় = আসতাগফিরুল্লাহ
১৩. পরপোকার করার সময় = ফিসাবিলিল্লাহ
১৪. কাউকে ভালোবাসলে = লিহুব্বিল্লাহ
১৫. বিদায়ের সময় = ফিআমানিল্লাহ
১৬. সমস্যা দেখা দিলে = তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ
১৭. অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে = নাওযুবিল্লাহ
১৮. আনন্দদায়ক কিছু দেখলে = ফাতাবারাকাল্লাহ
১৯. প্রার্থনায় অংশগ্রহণ শেষে = আমীন
২০. মৃত্যু সংবাদ শুনলে = ইন্নালিল্লাহি-ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন
২. কোনো কিছু করার উদ্দেশ্য = ইনশাল্লাহ
৩. কোনো বিস্ময়কর বিষয় দেখলে = সুবহানাল্লাহ
৪. কষ্টে ও যন্ত্রণায় = ইয়া আল্লাহ
৫. প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ = মাশাআল্লাহ
৬. ধন্যবাদ জ্ঞাপনে = যাজাকাল্লাহ
৭. ঘুম থেকে জাগ্রত হবার পর = লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ
৮. শপথ নেয়ার সময় = ওয়াল্লাহি বিল্লাহ
৯. হাঁচি দেয়ার পর = আলহামদু লিল্লাহ
১০. অন্য কেউ হাঁচি দিলে = ইয়ার হামুকাল্লাহ
১১. জিজ্ঞাসার জবাবে = আলহামদু লিল্লাহ
১২. পাপের অনুশোচনায় = আসতাগফিরুল্লাহ
১৩. পরপোকার করার সময় = ফিসাবিলিল্লাহ
১৪. কাউকে ভালোবাসলে = লিহুব্বিল্লাহ
১৫. বিদায়ের সময় = ফিআমানিল্লাহ
১৬. সমস্যা দেখা দিলে = তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ
১৭. অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে = নাওযুবিল্লাহ
১৮. আনন্দদায়ক কিছু দেখলে = ফাতাবারাকাল্লাহ
১৯. প্রার্থনায় অংশগ্রহণ শেষে = আমীন
২০. মৃত্যু সংবাদ শুনলে = ইন্নালিল্লাহি-ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন
দোয়া-ই-কুমাইল: ইতিবৃত্ত ও ফজিলত
| comments
কুমাইল ইবনে জিয়াদ নাখাঈ ছিলেন আমিরুল মোমিনীন হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (আঃ) এর একজন ঘনিষ্ঠ সহচর। এই অসাধারণ দোয়াটি প্রথম উচ্চারিত হয়েছিল হযরত আলী (আঃ) এর সমধুর অথচ যন্ত্রণাকাতর কণ্ঠে। আল্লামা মজলিসী (রহঃ) এর বর্ণনা অনুসারে বসরার মসজিদের যে মজলিসে হযরত আলী (আঃ) তাঁর ভাষণে ১৫ই শাবান রাতের তাৎপর্য সম্পর্কে বলছিলেন, সে মজলিসে উপস্থিত ছিলেন কুমাইল। হযরত আলী (আঃ) বলেছিলেন, " যে ব্যক্তি এই রাত জেগে এবাদত করবে এবং নবী খিজিরের দোয়া পড়বে নিঃসন্দেহে ঐ ব্যক্তির দোয়া কবুল হবে। "
মজলিস শেষে কুমাইল হযরত আলীর ঘরে এসে তাঁকে হযরত খিজিরের দোয়া শিখিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। হযরত আলী (আঃ) কুমাইলকে বসিয়ে দোয়াটি আবৃত্তি করেন এবং সেটা লিখে মুখস্থ করে রাখার নির্দেশ দেন।
তারপর হযরত আলী কুমাইলকে পরামর্শ দিলেন, প্রতি শুক্রবারের শুরুতে (অর্থাৎ আগের রাতে ) একবার করে কিংবা অন্ততঃ বছরে একবার এই দোয়াটি পড়তে যাতে করে "আল্লাহ তা'লা শত্রুর অনিষ্ট হতে এবং মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র হতে রক্ষা করেন।" তিনি আরও বলেন, হে কুমাইল! তোমার সাহচর্য এবং উপলব্ধির সম্মানে আমি এই দোয়াটি তোমার হেফাজতে উৎসর্গ করলাম।"
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আল্লাহুমা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মদ।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আকুতি জানাই তোমার ‘রহমত'-এর উসিলায় যা সমস্ত কিছুকে পরিবৃত করে রেখেছে।
وَ بِقُوَّتِكَ الَّتِي قَهَرْتَ بِهَا كُلَّ شَيْءٍ
আর তোমার পরাক্রমের উসিলায় যা দিয়ে তুমি সমস্ত কিছুকে পদানত করো।
وَ خَضَعَ لَهَا كُلُّ شَيْءٍ وَ ذَلَّ لَهَا كُلُّ شَيْءٍ
এবং যার কাছে সমস্ত বস্তুনিচয় আনত হয় ও আনুগত্য প্রদর্শন করে।
وَ بِجَبَرُوتِكَ الَّتِي غَلَبْتَ بِهَا كُلَّ شَيْءٍ
এবং তোমার প্রতাপের উসিলায় যা দিয়ে তুমি সমস্ত কিছুকে বিজিত করেছো।
وَ بِعِزَّتِكَ الَّتِي لا يَقُومُ لَهَا شَيْءٌ
এবং তোমার মহামর্যাদার উসিলায় যার সম্মুখে কোন কিছুই দাঁড়াতে পারে না।
وَ بِعَظَمَتِكَ الَّتِي مَلَأَتْ كُلَّ شَيْءٍ
এবং তোমার অপার মহিমার উসিলায় যা সমস্ত কিছুর উপর প্রাধান্য বিস্তার করে আছে।
وَ بِسُلْطَانِكَ الَّذِي عَلا كُلَّ شَيْءٍ
এবং তোমার শাসনের উসিলায় যা সমস্ত কিছুর উপর কর্তৃত্বশীল।
وَ بِوَجْهِكَ الْبَاقِي بَعْدَ فَنَاءِ كُلِّ شَيْءٍ
এবং তোমার আপন সত্তার উসিলায় যা সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাবার পরও স্থায়ী থাকবে।
وَ بِأَسْمَائِكَ الَّتِي مَلَأَتْ [غَلَبَتْ] أَرْكَانَ كُلِّ شَيْءٍ
এবং তোমার নামসমূহের উসিলায় যা সমস্ত কিছুর উপর তোমার ক্ষমতা প্রকাশ করে।
وَ بِعِلْمِكَ الَّذِي أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ
এবং তোমার মহাজ্ঞানের উসিলায় যা সৃষ্টিজগতকে পরিবৃত করে রেখেছে।
وَ بِنُورِ وَجْهِكَ الَّذِي أَضَاءَ لَهُ كُلُّ شَيْء
এবং তোমার পবিত্র সত্তার নূরের উসিলায় যা সমস্ত কিছুকে আলোকিত করেছে।
يَا نُورُ يَا قُدُّوسُ يَا أَوَّلَ الْأَوَّلِينَ وَ يَا آخِرَ الْآخِرِينَ
হে নুর! হে পবিত্রময়! হে তুমি যে অনাদিকাল হতে বিরাজমান। হে তুমি যিনি সবকিছুর পরিসমাপ্তি।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تَهْتِكُ الْعِصَم
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা (গোনাহ থেকে) সংযমের বাঁধ ভেঙ্গে দেয়।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تُنْزِلُ النِّقَمَ
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা দুর্যোগ ডেকে আনে।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تُغَيِّرُ النِّعَمَ
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা তোমার নেয়ামতসমূহকে (গজবে) পরিবর্তন করে দেয়।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تَحْبِسُ الدُّعَاءَ
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা দোয়া কবুল হওয়ার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تُنْزِلُ الْبَلاءَ
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা বিপদ (বা কষ্ট) ডেকে আনে।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي كُلَّ ذَنْبٍ أَذْنَبْتُهُ
হে আল্লাহ! আমি যত গোনাহ করেছি সব ক্ষমা করে দাও।
وَ كُلَّ خَطِيئَةٍ أَخْطَأْتُهَا
এবং ভুল বশত: করা সকল ত্রুটি ক্ষমা করে দাও।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَتَقَرَّبُ إِلَيْكَ بِذِكْرِكَ
হে আল্লাহ! আমি তোমাকে স্মরণের (জিক্র) মাধ্যমে তোমার নৈকট্য লাভের সাধনা করি।
وَ أَسْتَشْفِعُ بِكَ إِلَى نَفْسِكَ
আমি তোমাকেই তোমার কাছে শাফায়াতের জন্য উপস্থিত করছি।
وَ أَسْأَلُكَ بِجُودِكَ أَنْ تُدْنِيَنِي مِنْ قُرْبِكَ
এবং আমি তোমার অনুগ্রহ নিয়ে তোমার কাছেই প্রার্থনা করছি আমাকে তোমার নৈকট্যেরও নিকটবর্তী করে নাও।
وَ أَنْ تُوزِعَنِي شُكْرَكَ وَ أَنْ تُلْهِمَنِي ذِكْرَكَ
এবং তোমাকে কিভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবো আমাকে শিখিয়ে দাও এবং তোমার প্রতি মনোযোগ ও স্মরণকে আমার অন্তরে উদ্ভাসিত করো।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ سُؤَالَ خَاضِعٍ مُتَذَلِّلٍ خَاشِعٍ
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে নিবেদন জানাই পূর্ণ আনুগত্যে, বিনয়াবনত চিত্তে ও ভীত-বিহ্বল অন্তরে ।
أَنْ تُسَامِحَنِي وَ تَرْحَمَنِي وَ تَجْعَلَنِي بِقِسْمِكَ رَاضِيا قَانِعا
যেন আমার প্রতি তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ার্দ্র হও এবং তোমার দেয়া বরাদ্দে খুশী ও পরিতৃপ্ত রাখো।
وَ فِي جَمِيعِ الْأَحْوَالِ مُتَوَاضِعا
এবং আমাকে যে কোন পরিস্থিতিতে বিনম্র ও বিনয়ী রাখো।
اللَّهُمَّ وَ أَسْأَلُكَ سُؤَالَ مَنِ اشْتَدَّتْ فَاقَتُهُ
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা জানাই এমন এক ব্যক্তির মতো যে চরম সংকটে নিপতিত হয়েছে।
وَ أَنْزَلَ بِكَ عِنْدَ الشَّدَائِدِ حَاجَتَهُ
এবং একমাত্র তোমার দরবারে তার যন্ত্রণা নিবারণের জন্য ভিক্ষা চাচ্ছে।
وَ عَظُمَ فِيمَا عِنْدَكَ رَغْبَتُهُ
এবং তোমার কাছে যে অনন্তকালীন নেয়ামত আছে তা তার আশাকে বহুগুণ বর্ধিত করেছে।
اللَّهُمَّ عَظُمَ سُلْطَانُكَ وَ عَلا مَكَانُكَ وَ خَفِيَ مَكْرُكَ
হে আল্লাহ! বিশাল তোমার সাম্রাজ্য এবং মহিমান্বিত তোমার মর্যাদা এবং তোমার পরিকল্পনা দৃশ্যাতীত।
وَ ظَهَرَ أَمْرُكَ وَ غَلَبَ قَهْرُكَ وَ جَرَتْ قُدْرَتُكَ
অস্তিত্বজগতে তোমার ক্ষমতা স্পষ্ট, তোমার শক্তি সবকিছুর উপর বিজয়ী, তোমার কর্তৃত্ব সর্বব্যাপী।
وَ لا يُمْكِنُ الْفِرَارُ مِنْ حُكُومَتِكَ
এবং অসম্ভব তোমার সাম্রাজ্য থেকে পলায়ন।
اللَّهُمَّ لا أَجِدُ لِذُنُوبِي غَافِرا وَ لا لِقَبَائِحِي سَاتِرا
হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আমার পাপ ক্ষমা করার কিংবা আমার ঘৃণ্য কাজগুলো গোপন করে রাখার আর কেউ নেই।
وَ لا لِشَيْءٍ مِنْ عَمَلِيَ الْقَبِيحِ بِالْحَسَنِ مُبَدِّلا غَيْرَكَ
এবং আমার মন্দ কর্মগুলোকে সদ্গুণে রূপান্তরিত করার জন্যেও তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই।
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ وَ بِحَمْدِكَ
তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই তুমি অতিশয় পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা তোমারই।
ظَلَمْتُ نَفْسِي وَ تَجَرَّأْتُ بِجَهْلِي
আমি আমার নিজের উপর জুলুম করেছি এবং আমার এ ধৃষ্টতা জন্মেছে আমার অজ্ঞতার কারণে ।
وَ سَكَنْتُ إِلَى قَدِيمِ ذِكْرِكَ لِي وَ مَنِّكَ عَلَيَّ
(পাপ করতে গিয়ে) আমি নির্ভর করেছিলাম আমার প্রতি তোমার অতীত দয়া এবং তোমার অনুগ্রহের উপর।
اللَّهُمَّ مَوْلايَ كَمْ مِنْ قَبِيحٍ سَتَرْتَهُ
হে আল্লাহ! আমার কত জঘন্য পাপকে তুমি গোপন করেছো।
وَ كَمْ مِنْ فَادِحٍ مِنَ الْبَلاءِ أَقَلْتَهُ [أَمَلْتَهُ]
এবং আমার কত কঠিন বিপদকে তুমি সহনীয় করে দিয়েছো।
وَ كَمْ مِنْ عِثَارٍ وَقَيْتَهُ وَ كَمْ مِنْ مَكْرُوهٍ دَفَعْتَهُ
এবং কত বিচ্যুতি হতে আমাকে তুমি রক্ষা করেছো, কত নোংরা কাজ হতে আমাকে দুরে রেখেছো।
وَ كَمْ مِنْ ثَنَاءٍ جَمِيلٍ لَسْتُ أَهْلا لَهُ نَشَرْتَهُ
এবং আমার অসংখ্য সুন্দর প্রশংসা তুমি চতুর্দিকে ছড়িয়েছো যার উপযুক্ত আমি ছিলাম না।
اللَّهُمَّ عَظُمَ بَلائِي وَ أَفْرَطَ بِي سُوءُ حَالِي وَ قَصُرَتْ [قَصَّرَتْ] بِي أَعْمَالِي
হে আল্লাহ! আমার যাতনা হয়েছে অসহনীয় এবং দুর্দশা অপরিমেয়, অপরাধপ্রবণতা তীব্র অথচ সৎকর্ম নগণ্য
أَعْمَالِي وَ قَعَدَتْ بِي أَغْلالِي وَ حَبَسَنِي عَنْ نَفْعِي بُعْدُ أَمَلِي [آمَالِي]
এবং [পার্থিব আসক্তির] শিকল আমাকে ধরাশায়ী করে রেখেছে। আর মিথ্যে আশার মরীচিকা আমাকে আমার কল্যাণ থেকে দুরে রেখেছে।
وَ خَدَعَتْنِي الدُّنْيَا بِغُرُورِهَا
এবং দুনিয়া তার মোহন মায়ায় আমাকে আবিষ্ট করেছে।
وَ نَفْسِي بِجِنَايَتِهَا [بِخِيَانَتِهَا] وَ مِطَالِي يَا سَيِّدِي
এবং আমার আপন সত্তা পরিণত হয়েছে বিশ্বাসঘাতকতা ও ছলনাপ্রবণতার শিকারে, হে আমার প্রভু!
فَأَسْأَلُكَ بِعِزَّتِكَ
তোমার মহত্ত্বের নামে আমি কাতর মিনতি জানাই।
أَنْ لا يَحْجُبَ عَنْكَ دُعَائِي سُوءُ عَمَلِي وَ فِعَالِي
আমার পাপ ও অপকর্মগুলো যেন আমার দোয়াকে তোমার দুয়ারে পৌঁছুতে বাধাগ্রস্ত না করে।
وَ لا تَفْضَحْنِي بِخَفِيِّ مَا اطَّلَعْتَ عَلَيْهِ مِنْ سِرِّي
এবং তুমি কিছুতেই তোমার জানা আমার গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ করে দিয়ে আমাকে অপমানিত করো না ।
وَ لا تُعَاجِلْنِي بِالْعُقُوبَةِ عَلَى مَا عَمِلْتُهُ فِي خَلَوَاتِي مِنْ سُوءِ فِعْلِي
এবং সেসব গোপন অপকর্মের কারণে আমার শাস্তি ত্বরান্বিত করো না।
وَ إِسَاءَتِي وَ دَوَامِ تَفْرِيطِي وَ جَهَالَتِي
আমার ঐসব অপরাধ, পাপাচার, মহা অন্যায় ও অজ্ঞাতবশত: কর্মসমূহ।
وَ كَثْرَةِ شَهَوَاتِي وَ غَفْلَتِي
অতিরিক্ত লালসা ও গাফিলতির কারণে।
وَ كُنِ اللَّهُمَّ بِعِزَّتِكَ لِي فِي كُلِّ الْأَحْوَالِ [فِي الْأَحْوَالِ كُلِّهَا] رَءُوفا
হে আল্লাহ! আমি তোমার মহত্ত্বের উসিলায় তোমার কাছে নিবেদন জানাই সর্বাবস্থায় আমার প্রতি করুণাময় হতে।
وَ عَلَيَّ فِي جَمِيعِ الْأُمُورِ عَطُوفا
এবং প্রতিটি বিষয়ে আমার প্রতি সদয় দৃষ্টি দিতে।
إِلَهِي وَ رَبِّي مَنْ لِي غَيْرُكَ
হে আমার প্রভু! হে আমার প্রতিপালক! তুমি ছাড়া কি আর কেউ আছে
أَسْأَلُهُ كَشْفَ ضُرِّي وَ النَّظَرَ فِي أَمْرِي
যার কাছে আমি বিপদ মুক্তির আবেদন করতে কিংবা আমার সমস্যা অনুধাবনের প্রার্থনা জানাতে পারি ?
إِلَهِي وَ مَوْلايَ أَجْرَيْتَ عَلَيَّ حُكْما
হে আমার উপাস্য! হে আমার অভিভাবক! তুমি আমার (জীবনে চলার) জন্য বিধান নির্ধারণ করেছো
اتَّبَعْتُ فِيهِ هَوَى نَفْسِي
কিন্তু তার পরিবর্তে আমি আমার হীন কামনার দাসত্ব করেছি
وَ لَمْ أَحْتَرِسْ فِيهِ مِنْ تَزْيِينِ عَدُوِّي
এবং আমি শত্রুর প্ররোচনার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকিনি।
فَغَرَّنِي بِمَا أَهْوَى وَ أَسْعَدَهُ عَلَى ذَلِكَ الْقَضَاءُ
সে আমাকে নিরর্থক আশার মায়াজালে বেঁধে নিয়েছে যা আমাকে টেনে নিয়েছে অধঃপাতে এবং নিয়তি তাকে সহায়তা দিয়েছে এ কর্মে ।
فَتَجَاوَزْتُ بِمَا جَرَى عَلَيَّ مِنْ ذَلِكَ بَعْضَ [مِنْ نَقْضِ] حُدُودِكَ
এইভাবে আমি তোমার দেয়া ঐবিধানসমূহের কিছু কিছু বিষয়ে সীমালংঘন করেছি ।
وَ خَالَفْتُ بَعْضَ أَوَامِرِكَ
এবং তোমার কিছু কিছু আদেশ অমান্য করেছি ;
فَلَكَ الْحَمْدُ [الْحُجَّةُ] عَلَيَّ فِي جَمِيعِ ذَلِكَ
অতএব ঐ সমস্ত বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে তোমার (যথার্থ) অভিযোগ রয়েছে
وَ لا حُجَّةَ لِي فِيمَا جَرَى عَلَيَّ فِيهِ قَضَاؤُكَ
এবং আমার প্রতি তোমার রায়ের বিরুদ্ধে কোন অজুহাত আমার নেই
وَ أَلْزَمَنِي حُكْمُكَ وَ بَلاؤُكَ
তাই আমি (যথার্থভাবেই) তোমার বিচারের যোগ্য হয়েছি এবং শাস্তির উপযুক্ততা অর্জন করেছি ।
وَ قَدْ أَتَيْتُكَ يَا إِلَهِي بَعْدَ تَقْصِيرِي
এখন আমি অপরাধে অপরাধী হওয়ার পর তোমার দরবারে এসেছি, হে আমার প্রভু!
وَ إِسْرَافِي عَلَى نَفْسِي
আমি আমার উপর জুলুম করেছি।
مُعْتَذِرا نَادِما مُنْكَسِرا مُسْتَقِيلا مُسْتَغْفِرا مُنِيبا
ক্ষমাপ্রার্থী ও অনুতপ্ত হয়ে ভগ্ন হৃদয়ে নত হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি ।
مُقِرّا مُذْعِنا مُعْتَرِفا
তোমার কাছে প্রত্যাবর্তন করছি নতশিরে অপরাধ স্বীকার করে
لا أَجِدُ مَفَرّا مِمَّا كَانَ مِنِّي وَ لا مَفْزَعا
কেননা আমার কৃতকর্মের প্রতিফল ভোগ হতে মুক্তির কোন উপায় আমি দেখছি না । না কোন আশ্রয়স্থল দেখছি
أَتَوَجَّهُ إِلَيْهِ فِي أَمْرِي غَيْرَ قَبُولِكَ عُذْرِي
যেখানে আশ্রয় নেবো। একমাত্র তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না করো
وَ إِدْخَالِكَ إِيَّايَ فِي سَعَةِ [سَعَةٍ مِنْ] رَحْمَتِكَ
এবং তোমার অনন্ত করুণার রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি ব্যতিরেকে আমার কোন পথও নেই।
اللَّهُمَّ [إِلَهِي] فَاقْبَلْ عُذْرِي وَ ارْحَمْ شِدَّةَ ضُرِّي وَ فُكَّنِي مِنْ شَدِّ وَثَاقِي
হে আল্লাহ! আমার তওবা কবুল করো এবং আমার তীব্র যাতনার উপর দয়ার্দ্র হও এবং আমাকে আমার (পাপকাজের) ভারী শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করো।
يَا رَبِّ ارْحَمْ ضَعْفَ بَدَنِي وَ رِقَّةَ جِلْدِي وَ دِقَّةَ عَظْمِي
হে পালনকর্তা! আমার দুর্বল শরীরের উপর দয়ার্দ্র হও এবং আমার কোমল ত্বক ও ভঙ্গুর হাড়গুলোর উপর করুণা করো।
يَا مَنْ بَدَأَ خَلْقِي وَ ذِكْرِي وَ تَرْبِيَتِي وَ بِرِّي وَ تَغْذِيَتِي
যে তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো, আমাকে ব্যক্তিত্ব দিয়েছো এবং আমার সুষ্ঠ প্রতিপালন নিশ্চিত করেছো এবং আমাকে জীবিকা দিয়েছো
هَبْنِي لابْتِدَاءِ كَرَمِكَ وَ سَالِفِ بِرِّكَ بِي
দয়া করে আমার উপর তোমার সেই পরিমাণ রহমত ও বরকত বর্ষণ পুনরারম্ভ করো, যে পরিমাণ ছিলো আমার জীবনের সূচনালগ্নে ।
يَا إِلَهِي وَ سَيِّدِي وَ رَبِّي
হে আমার ইলাহ্! হে আমার মালিক! হে আমার প্রভু!
أَ تُرَاكَ مُعَذِّبِي بِنَارِكَ بَعْدَ تَوْحِيدِكَ
তুমি কি প্রজ্জ্বলিত অগ্নিতে আমাকে দগ্ধ হয়ে শাস্তি পেতে দেখবে যদিও আমি তোমার একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করেছি?
وَ بَعْدَ مَا انْطَوَى عَلَيْهِ قَلْبِي مِنْ مَعْرِفَتِكَ
যদিও আমার অন্তর পরিপূর্ণ তোমার (পবিত্র) জ্ঞানে
وَ لَهِجَ بِهِ لِسَانِي مِنْ ذِكْرِكَ
এবং আমার জিহ্বা বারংবার তোমাকে যিকির করেছে
وَ اعْتَقَدَهُ ضَمِيرِي مِنْ حُبِّكَ
তোমার ভালবাসায় আমার অন্তর হয়েছে প্রেমার্ত ?
وَ بَعْدَ صِدْقِ اعْتِرَافِي
এবং যখন আমি তোমার কর্তৃত্বের কাছে একান্ত হৃদয়ে ভুল স্বীকার করেছি
وَ دُعَائِي خَاضِعا لِرُبُوبِيَّتِكَ
এবং বিনয়ের সাথে আকুল হৃদয়ে তোমাকে প্রতিপালক স্বীকার করেছি
هَيْهَاتَ أَنْتَ أَكْرَمُ مِنْ أَنْ تُضَيِّعَ مَنْ رَبَّيْتَهُ
না, যাকে তুমি নিজেই লালন-পালন করেছো তাকে ধ্বংস করা থেকে তুমি অনেক মহান
أَوْ تُبْعِدَ [تُبَعِّدَ] مَنْ أَدْنَيْتَهُ أَوْ تُشَرِّدَ مَنْ آوَيْتَهُ
কিংবা যাকে তুমি নিজেই রক্ষণাবেক্ষণ করেছো তাকে তোমার থেকে দুরে তাড়িয়ে দেয়া থেকে তুমি অনেক মহান
أَوْ تُسَلِّمَ إِلَى الْبَلاءِ مَنْ كَفَيْتَهُ وَ رَحِمْتَهُ
কিংবা যাকে তুমি আদর-যত্ম করেছো এবং যার প্রতি তুমি দয়ার্দ্র থেকেছো, তাকে যন্ত্রণার মাঝে ত্যাগ করে ফেলে রাখার মতো তুমি নও ।
وَ لَيْتَ شِعْرِي يَا سَيِّدِي وَ إِلَهِي وَ مَوْلايَ
হে আমার মালিক! আমার ইলাহ্ ! আমার প্রভু !
أَ تُسَلِّطُ النَّارَ عَلَى وُجُوهٍ خَرَّتْ لِعَظَمَتِكَ سَاجِدَةً
আমার জানতে ইচ্ছে করে তুমি কি ঐসব মুখকে অগ্নিতে প্রজ্জ্বলিত করবে যেসব মুখ তোমার মহত্ত্বের সম্মুখে সিজদাবনত হয়েছে
وَ عَلَى أَلْسُنٍ نَطَقَتْ بِتَوْحِيدِكَ صَادِقَةً
কিংবা ঐসব জিহ্বাকে যেগুলো একনিষ্ঠভাবে তোমার একত্ব ঘোষণা করেছে
وَ بِشُكْرِكَ مَادِحَةً وَ عَلَى قُلُوبٍ اعْتَرَفَتْ بِإِلَهِيَّتِكَ مُحَقِّقَةً
এবং সব সময় তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে অথবা ঐ সব হৃদয়কে দগ্ধ-বিদগ্ধ করবে যেগুলো দৃঢ়তার সঙ্গে তোমার প্রভুত্বকে মেনে নিয়েছে
وَ عَلَى ضَمَائِرَ حَوَتْ مِنَ الْعِلْمِ بِكَ حَتَّى صَارَتْ خَاشِعَةً
কিংবা ঐ অন্তরসমূহ আগুনে ফেলবে, যেগুলো জ্ঞান ও পরিচিতির কারণে তোমার প্রতি অনুগত হয়েছে
وَ عَلَى جَوَارِحَ سَعَتْ إِلَى أَوْطَانِ تَعَبُّدِكَ طَائِعَةً
কিংবা ঐসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে প্রজ্জ্বলিত করবে যেগুলো তোমার ইবাদতের স্থানগুলোয় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আনুগত্যের জন্য যেতো
وَ أَشَارَتْ بِاسْتِغْفَارِكَ مُذْعِنَةً
এবং তোমার প্রতি আস্থা রেখে তোমার ক্ষমা ভিক্ষার কঠোর প্রয়াস চালিয়েছে ?
مَا هَكَذَا الظَّنُّ بِكَ
এ তোমার কাছ থেকে কিছুতেই আশা করা যায় না
وَ لا أُخْبِرْنَا بِفَضْلِكَ عَنْكَ يَا كَرِيمُ
কেননা তোমার থেকে এমন কোন বৈশিষ্ট্য আমরা দেখিনি হে দয়াবান ।
يَا رَبِّ وَ أَنْتَ تَعْلَمُ ضَعْفِي عَنْ قَلِيلٍ مِنْ بَلاءِ الدُّنْيَا وَ عُقُوبَاتِهَا
হে প্রতিপালক! তুমি তো জানো যে এ দুর্বলের জন্য এই দুনিয়ার সামান্য কষ্ট ও শাস্তিই কত অসহনীয়
وَ مَا يَجْرِي فِيهَا مِنَ الْمَكَارِهِ عَلَى أَهْلِهَا
আর সেখানে যা ঘটবে কি ভয়ানক অবস্থা হবে তার অধিবাসীদের উপর
عَلَى أَنَّ ذَلِكَ بَلاءٌ وَ مَكْرُوهٌ قَلِيلٌ مَكْثُهُ يَسِيرٌ بَقَاؤُهُ قَصِيرٌ مُدَّتُهُ
যদিও পৃথিবীর কষ্ট ও আযাব স্বল্পস্থায়ী সামান্য ও দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যায়
فَكَيْفَ احْتِمَالِي لِبَلاءِ الْآخِرَةِ وَ جَلِيلِ [حُلُولِ] وُقُوعِ الْمَكَارِهِ فِيهَا
তাহলে আমি কেমন করে পরকালের কষ্ট আর সেখানকার শাস্তি সইবো
وَ هُوَ بَلاءٌ تَطُولُ مُدَّتُهُ وَ يَدُومُ مَقَامُهُ
যে শাস্তির মেয়াদ দীর্ঘ, যেখানে অনন্তকাল অবস্থান করতে হবে।
وَ لا يُخَفَّفُ عَنْ أَهْلِهِ
যার অধিবাসীদের থেকে শাস্তি কমানো হবে না
لِأَنَّهُ لا يَكُونُ إِلا عَنْ غَضَبِكَ وَ انْتِقَامِكَ وَ سَخَطِكَ
কেননা এ শাস্তি একমাত্র তোমার ক্রোধ ও কঠোর ন্যায়বিচারের পরিণতি
وَ هَذَا مَا لا تَقُومُ لَهُ السَّمَاوَاتُ وَ الْأَرْضُ
যা আসমান ও জমিন সহ্য করতে অক্ষম?
يَا سَيِّدِي فَكَيْفَ لِي [بِي] وَ أَنَا عَبْدُكَ الضَّعِيفُ الذَّلِيلُ
হে প্রভু! তবে আমার কি হবে, যে আমি তোমার দুর্বল হীন বান্দা
الْحَقِيرُ الْمِسْكِينُ الْمُسْتَكِينُ يَا إِلَهِي وَ رَبِّي وَ سَيِّدِي وَ مَوْلايَ
ক্ষুদ্র, নগণ্য ও ম্রিয়মান দাসানুদাস? হে আমার উপাস্য! আমার মালিক! আমার প্রভু! আমার পালনকর্তা!
لِأَيِّ الْأُمُورِ إِلَيْكَ أَشْكُو
কোন্ বিষয়ে আমি তোমার কাছে অভিযোগ জানাবো
وَ لِمَا مِنْهَا أَضِجُّ وَ أَبْكِي
আর কোনটা নিয়ে আমি অশ্রু ঝরাবো, আর বিলাপ করবো
لِأَلِيمِ الْعَذَابِ وَ شِدَّتِهِ أَمْ لِطُولِ الْبَلاءِ وَ مُدَّتِهِ
শাস্তির যাতনা ও তার তীব্রতার জন্য নাকি শাস্তির মেয়াদের দীর্ঘতার জন্যে ?
فَلَئِنْ صَيَّرْتَنِي لِلْعُقُوبَاتِ مَعَ أَعْدَائِكَ
অতএব যদি তুমি আমাকে তোমার শত্রুদের সাথে শাস্তি দিতে নিয়ে যাও
وَ جَمَعْتَ بَيْنِي وَ بَيْنَ أَهْلِ بَلائِكَ
এবং তোমার আযাব ভোগকারী লোকদের সাথে আমাকেও একত্র করো
وَ فَرَّقْتَ بَيْنِي وَ بَيْنَ أَحِبَّائِكَ وَ أَوْلِيَائِكَ
আর তোমার প্রেমিক ও অলী-আওলীয়াদের কাছ থেকে আমাকে পৃথক করে নাও
فَهَبْنِي يَا إِلَهِي وَ سَيِّدِي وَ مَوْلايَ وَ رَبِّي
তাহলে হে আমার উপাস্য! হে আমার মালিক! হে আমার অভিভাবক! হে প্রতিপালক!
صَبَرْتُ عَلَى عَذَابِكَ فَكَيْفَ أَصْبِرُ عَلَى فِرَاقِكَ
আমি তোমার এ শাস্তি সয়ে নেবো, কিন্তু তোমার থেকে এ বিচ্ছিন্নতা আমি কীভাবে সহ্য করবো ?
وَ هَبْنِي [يَا إِلَهِي] صَبَرْتُ عَلَى حَرِّ نَارِكَ
কিংবা ধরা যাক আমি তোমার আগুনের প্রজ্জ্বলন সইতে পারলাম
فَكَيْفَ أَصْبِرُ عَنِ النَّظَرِ إِلَى كَرَامَتِكَ
কিন্তু কেমন করে আমি তোমার ক্ষমা ও দয়ার বঞ্চনা সয়ে নেবো?
أَمْ كَيْفَ أَسْكُنُ فِي النَّارِ وَ رَجَائِي عَفْوُك
কেমন করে আমি আগুনের মাঝে বসবাস করবো যখন তোমার ক্ষমার উপর ভরসা করে আমি আশায় বুক বেঁধেছি?
فَبِعِزَّتِكَ يَا سَيِّدِي وَ مَوْلايَ
হে আমার প্রভু! আমার অভিভাবক! তোমার মহামর্যাদার শপথ
أُقْسِمُ صَادِقا لَئِنْ تَرَكْتَنِي نَاطِقا
আমি বিশ্বস্ত অন্তরের শপথ করে বলছি, তুমি যদি দোজখের আগুনের মধ্যেও আমার বাক্শক্তি রক্ষা কর
لَأَضِجَّنَّ إِلَيْكَ بَيْنَ أَهْلِهَا ضَجِيجَ الْآمِلِينَ [الْآلِمِينَ
তাহলেও আমি সেখান থেকে একজন দৃঢ় আশাবাদীর মতো আশা নিয়েই তোমার কাছে কাতর আকুতি জানাতে থাকবো।
لَأَصْرُخَنَّ إِلَيْكَ صُرَاخَ الْمُسْتَصْرِخِينَ
আমি তোমার কাছে একজন সহায়হীনের মতোই সাহায্য প্রার্থনা করবো
وَ لَأَبْكِيَنَّ عَلَيْكَ بُكَاءَ الْفَاقِدِينَ
একজন নিঃস্ব ব্যক্তির মতোই আমি তোমার কাছে আকুল হয়ে কাঁদবো
وَ لَأُنَادِيَنَّكَ أَيْنَ كُنْتَ يَا وَلِيَّ الْمُؤْمِنِينَ
আর তোমাকে ডাক ছেড়ে বলবো, হে মু'মিনদের অভিভাবক তুমি কোথায় ?
يَا غَايَةَ آمَالِ الْعَارِفِينَ يَا غِيَاثَ الْمُسْتَغِيثِينَ
হে সাধকদের সাধনার চুড়ান্ত লক্ষ্য, হে সাহায্য প্রার্থীদের সাহায্যকারী
يَا حَبِيبَ قُلُوبِ الصَّادِقِينَ وَ يَا إِلَهَ الْعَالَمِينَ
হে সত্যপথিকদের প্রাণপ্রিয় প্রেমিক, হে জগতসমূহের প্রভু, কোথায় তুমি ?
أَ فَتُرَاكَ سُبْحَانَكَ يَا إِلَهِي
হে খোদা! তুমি সমস্তকিছু থেকে অতিশয় পবিত্র
وَ بِحَمْدِكَ تَسْمَعُ فِيهَا صَوْتَ عَبْدٍ مُسْلِمٍ سُجِنَ [يُسْجَنُ] فِيهَا بِمُخَالَفَتِهِ
আর সকল প্রশংসা একমাত্র তোমারই, তুমি কি একবারও ফিরে দেখবে না যে, একজন আত্মসমর্পণকারী দাস তার অবাধ্যতার কারণে দোযখের আগুনে বন্দী
وَ ذَاقَ طَعْمَ عَذَابِهَا بِمَعْصِيَتِهِ
এবং অন্যায় আচরণের কারণে এর শাস্তি ভোগ করছে
وَ حُبِسَ بَيْنَ أَطْبَاقِهَا بِجُرْمِهِ وَ جَرِيرَتِهِ
আর পাপ ও অপরাধের কারণে সে জাহান্নামের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে বন্দী হয়ে আছে
وَ هُوَ يَضِجُّ إِلَيْكَ ضَجِيجَ مُؤَمِّلٍ لِرَحْمَتِكَ
তোমার দয়ার উপর দৃঢ় আস্থা নিয়ে তোমার প্রতি সুতীব্র আবেদন জানাচ্ছে।
وَ يُنَادِيكَ بِلِسَانِ أَهْلِ تَوْحِيدِكَ
তোমার তাওহীদে দৃঢ় বিশ্বাসী ব্যক্তির মতো তোমাকে ডাকছে
وَ يَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِرُبُوبِيَّتِكَ يَا مَوْلايَ
এবং তোমার প্রভুত্বের প্রতি ভরসা করে তোমার প্রতি চেয়ে আছে, হে আমার অধিকর্তা!
فَكَيْفَ يَبْقَى فِي الْعَذَابِ وَ هُوَ يَرْجُو مَا سَلَفَ مِنْ حِلْمِكَ
তোমার অতীত ক্ষমা, অনুকম্পা ও রহমতের উপর পূর্ণ ভরসা রাখার পরও কেমন করে সেই বান্দা কঠিন আযাবের মাঝে নিমজ্জিত থাকবে ?
أَمْ كَيْفَ تُؤْلِمُهُ النَّارُ وَ هُوَ يَأْمُلُ فَضْلَكَ وَ رَحْمَتَكَ
কিংবা কেমন করে দোযখের আগুন তাকে কষ্ট দিবে যখন সে তোমার মহত্ব ও দয়ার প্রতি বুক বেঁধে আছে?
أَمْ كَيْفَ يُحْرِقُهُ لَهِيبُهَا وَ أَنْتَ تَسْمَعُ صَوْتَهُ
কিংবা কেমন করে দোযখের আগুনের লেলিহান শিখায় সে প্রজ্বলিত হবে অথচ তুমি তার আর্তনাদ শুনতে পাবে?
وَ تَرَى مَكَانَهُ أَمْ كَيْفَ يَشْتَمِلُ عَلَيْهِ زَفِيرُهَا
এবং আগুনের মধ্যে তাকে দেখতে পাবে তাহলে কিভাবে আগুনের শিখা তাকে গ্রাস করে নিবে?
وَ أَنْتَ تَعْلَمُ ضَعْفَهُ أَمْ كَيْفَ يَتَقَلْقَلُ بَيْنَ أَطْبَاقِهَا
অথচ তুমি তো জানো সে কি ভীষণ দুর্বল তাহলে কিভাবে সে দোযখের স্তরগুলোর চাপে নিষ্পিষ্ট হতে থাকবে?
وَ أَنْتَ تَعْلَمُ صِدْقَهُ أَمْ كَيْفَ تَزْجُرُهُ زَبَانِيَتُهَا
তুমি তো তার নিষ্ঠার কথা জানো তাহলে কেমন করে দোযখের প্রহরীরা তাকে কষ্ট দেবে
وَ هُوَ يُنَادِيكَ يَا رَبَّهْ
অথচ সে কেবলই ডাকছে ‘ইয়া রব্ব'! ‘ইয়া রব্ব'! বলে ?
أَمْ كَيْفَ يَرْجُو فَضْلَكَ فِي عِتْقِهِ مِنْهَا فَتَتْرُكُهُ [فَتَتْرُكَهُ] فِيهَا
কেমন করে তুমি তাকে ফেলে রাখবে (দোযখের মাঝে) যখন তার দৃঢ় বিশ্বাস যে, তোমার অপার করুণা তাকে এখান থেকে মুক্ত করবে?
هَيْهَاتَ مَا ذَلِكَ الظَّنُّ بِكَ
হায়! এমনটা তোমার কাছে কখনো আশা করা যায় না ।
وَ لا الْمَعْرُوفُ مِنْ فَضْلِكَ
তোমার করুণার রূপও এমনটা নয়
وَ لا مُشْبِهٌ لِمَا عَامَلْتَ بِهِ الْمُوَحِّدِينَ مِنْ بِرِّكَ وَ إِحْسَانِكَ
কিংবা তোমার একত্বে বিশ্বাসীদের প্রতি তুমি যে করুণা ও অনুগ্রহ প্রদর্শন করো তার সাথেও এর কোন মিল নেই
فَبِالْيَقِينِ أَقْطَعُ لَوْ لا مَا حَكَمْتَ بِهِ مِنْ تَعْذِيبِ جَاحِدِيكَ
অতএব আমি নিশ্চিত হয়ে ঘোষণা করছি যে, যদি তুমি অবিশ্বাসীদের জন্য শাস্তি নির্ধারণ না করতে
وَ قَضَيْتَ بِهِ مِنْ إِخْلادِ مُعَانِدِيكَ
এবং তোমার শত্রুদের আবাস হিসাবে দোযখকে নির্ধারিত না করতে
لَجَعَلْتَ النَّارَ كُلَّهَا بَرْدا وَ سَلاما
তাহলে তুমি দোযখকে শীতল ও প্রশান্তিময় করে তুলতে
وَ مَا كَانَ [كَانَتْ] لِأَحَدٍ فِيهَا مَقَرّا وَ لا مُقَاما [مَقَاما]
এবং কোন মানুষকেই দোযখে থাকতে ও বসবাস করতে হতো না ;
لَكِنَّكَ تَقَدَّسَتْ أَسْمَاؤُكَ
অথচ পবিত্র তোমার নামসমূহ
أَقْسَمْتَ أَنْ تَمْلَأَهَا مِنَ الْكَافِرِينَ
তুমি শপথ করেছো যে অবিশ্বাসীদের দিয়ে দোযখ পূর্ণ করবে
مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ أَجْمَعِينَ
জ্বিন ও মানুষের মধ্যে যারা অবিশ্বাসী
وَ أَنْ تُخَلِّدَ فِيهَا الْمُعَانِدِينَ
এবং একে তোমার বিরুদ্ধবাদীদের চিরস্থায়ী নিবাসে পরিণত করবে
وَ أَنْتَ جَلَّ ثَنَاؤُكَ قُلْتَ مُبْتَدِئا وَ تَطَوَّلْتَ بِالْإِنْعَامِ مُتَكَرِّما
আর মহিমান্বিত তোমার গুণাবলী তুমি নিজেই সূচনালগ্নে তোমার অপার অনুগ্রহে তুমি ঘোষণা করেছো, সমগ্র সৃষ্টিকে তুমি নেয়ামত ও করুণা দিয়েছো।
أَ فَمَنْ كَانَ مُؤْمِنا كَمَنْ كَانَ فَاسِقا لا يَسْتَوُونَ
একজন মুমিন আর একজন দুর্নীতিপরায়ণ মানুষ কি সমান? তারা সমান হতে পারে না
إِلَهِي وَ سَيِّدِي فَأَسْأَلُكَ بِالْقُدْرَةِ الَّتِي قَدَّرْتَهَا
হে আমার প্রভু ও অভিভাবক! তোমার কাছে আমি প্রার্থনা করছি তোমার ঐ শক্তির নামে যা সমগ্রবিশ্বের ভাগ্য নির্ধারণ করে
وَ بِالْقَضِيَّةِ الَّتِي حَتَمْتَهَا وَ حَكَمْتَهَا
এবং তোমার চূড়ান্ত ও কার্যকরী শক্তির নামে
وَ غَلَبْتَ مَنْ عَلَيْهِ أَجْرَيْتَهَا
এবং যা দ্বারা তুমি সবকিছুর উপর সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর কর
أَنْ تَهَبَ لِي فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ
দয়া করে আমাকে এই রাতের এই প্রহরে ক্ষমা করে দাও
كُلَّ جُرْمٍ أَجْرَمْتُهُ وَ كُلَّ ذَنْبٍ أَذْنَبْتُهُ
আমি যেসব অপরাধে অপরাধী এবং যেসব পাপে পাপী হয়েছি
وَ كُلَّ قَبِيحٍ أَسْرَرْتُهُ وَ كُلَّ جَهْلٍ عَمِلْتُهُ
সেই সমস্ত ঘৃণ্য কাজের জন্য যা আমি গোপন রেখেছি, সেই সমস্ত প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অপকর্মের জন্য যা আমি করেছি
كَتَمْتُهُ أَوْ أَعْلَنْتُهُ أَخْفَيْتُهُ أَوْ أَظْهَرْتُهُ
অন্ধকারে কিংবা দিবালোকে এবং যা স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেছি
وَ كُلَّ سَيِّئَةٍ أَمَرْتَ بِإِثْبَاتِهَا الْكِرَامَ الْكَاتِبِينَ
এবং সেই সকল মন্দ কাজের জন্য যা লিপিবদ্ধ হয়েছে সম্মানিত লিপিকারদের দ্বারা যাদের তুমি আদেশ করেছো
الَّذِينَ وَكَّلْتَهُمْ بِحِفْظِ مَا يَكُونُ مِنِّي
যাদের তুমি দায়িত্ব দিয়েছো আমার সমস্ত ক্রিয়া-কর্ম লিপিবদ্ধ করতে
وَ جَعَلْتَهُمْ شُهُودا عَلَيَّ مَعَ جَوَارِحِي
এবং তাদেরকে তুমি নিয়োগ করেছো আমার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো আমার কার্যকলাপের সাক্ষী হতে
وَ كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيَّ مِنْ وَرَائِهِمْ
এবং ঐসকল ফেরেশতাদের উর্ধ্বে তুমি নিজেই আমার কার্যকলাপের মহাপর্যবেক্ষক
وَ الشَّاهِدَ لِمَا خَفِيَ عَنْهُمْ وَ بِرَحْمَتِكَ أَخْفَيْتَهُ
এবং তোমার অশেষ করুণায় তুমি যেসব মন্দ কর্ম ওদের কাছে গোপন রাখো তার সবই তো তোমার কাছে পরিষ্কার
وَ بِفَضْلِكَ سَتَرْتَهُ وَ أَنْ تُوَفِّرَ حَظِّي
এবং তোমার মহত্বের দ্বারা পরিবৃত করেছো [আমার অপরাধগুলো] এবং আমাকে একটি বিরাট অংশ দান করো।
مِنْ كُلِّ خَيْرٍ أَنْزَلْتَهُ [تُنْزِلُهُ]
তোমার দেওয়া প্রতিটি কল্যাণ হতে
أَوْ إِحْسَانٍ فَضَّلْتَهُ [تُفَضِّلُهُ]
এবং প্রতিটি সুমহান অনুগ্রহ
أَوْ بِرٍّ نَشَرْتَهُ [تَنْشُرُهُ] أَوْ رِزْقٍ بَسَطْتَهُ [تَبْسُطُهُ]
এবং যেসব কল্যাণ তুমি প্রকাশ ঘটিয়েছো ও প্রতিটি জীবিকা যা তুমি বৃদ্ধি করেছো
] أَوْ ذَنْبٍ تَغْفِرُهُ أَوْ خَطَإٍ تَسْتُرُهُ
এবং যেসব অপরাধ তুমি ক্ষমা করবে ও ত্রুটিসমূহ তুমি গোপন করে রাখবে।
يَا رَبِّ يَا رَبِّ يَا رَبِّ
"ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"!
يَا إِلَهِي وَ سَيِّدِي وَ مَوْلايَ وَ مَالِكَ رِقِّي
হে উপাস্য প্রভু! হে মনিব! হে মাওলা! হে আমার মুক্তির মালিক
يَا مَنْ بِيَدِهِ نَاصِيَتِي
হে যিনি আমার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক
يَا عَلِيما بِضُرِّي [بِفَقْرِي] وَ مَسْكَنَتِي يَا خَبِيرا بِفَقْرِي وَ فَاقَتِي
হে যিনি আমার যাতনা ও নিঃস্বতা সম্পর্কে পরিজ্ঞাত, যিনি আমার দুঃসহায়তা ও অনাহার সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন
يَا رَبِّ يَا رَبِّ يَا رَبِّ
"ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"!
أَسْأَلُكَ بِحَقِّكَ وَ قُدْسِكَ وَ أَعْظَمِ صِفَاتِكَ وَ أَسْمَائِكَ
তোমার মহামর্যাদা ও বিশুদ্ধ সত্তা এবং পরিপূর্ণ নিখুঁত গুণাবলী ও নাম সমূহের উসিলায় আমি তোমার কাছে মিনতি করছি ।
أَنْ تَجْعَلَ أَوْقَاتِي مِنَ [فِي] اللَّيْلِ وَ النَّهَارِ بِذِكْرِكَ مَعْمُورَةً
আমার সমস্ত প্রহর, দিবা ও রাত্রি যেন তোমাকে স্মরণের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়
وَ بِخِدْمَتِكَ مَوْصُولَةً وَ أَعْمَالِي عِنْدَكَ مَقْبُولَةً
এবং একাধারে যেন তোমার উপাসনায় থাকতে পারি এবং আমার সকল কর্মকে তোমার গ্রহণযোগ্য করে তোলো
حَتَّى تَكُونَ أَعْمَالِي وَ أَوْرَادِي [إِرَادَتِي] كُلُّهَا وِرْدا وَاحِدا
যেন আমার আচরণ ও কথোপকথন সবই একই লক্ষ্যে বিশুদ্ধভাবে তোমার জন্যই সম্পাদিত হয়
وَ حَالِي فِي خِدْمَتِكَ سَرْمَدا
এবং আমার সমগ্রজীবন যেন ব্যয়িত হয় তোমার আনুগত্য চর্চায়।
يَا سَيِّدِي يَا مَنْ عَلَيْهِ مُعَوَّلِي يَا مَنْ إِلَيْهِ شَكَوْتُ أَحْوَالِي
হে আমার মালিক! যার উপর আমার সমস্ত ভরসা, যার কাছে আমি আমার সমস্ত দুর্দশার কথা খুলে বলি
يَا رَبِّ يَا رَبِّ يَا رَبِّ
"ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"!
قَوِّ عَلَى خِدْمَتِكَ جَوَارِحِي وَ اشْدُدْ عَلَى الْعَزِيمَةِ جَوَانِحِي
তোমার দাসত্বের জন্য আমার দেহকে শক্তিশালী করে তোলো এবং লক্ষ্যের প্রতি আমার মনোবলকে দৃঢ় রাখো ;
وَ هَبْ لِيَ الْجِدَّ فِي خَشْيَتِكَ
আর আমার মধ্যে প্রদান কর খোদাভীতি
وَ الدَّوَامَ فِي الاتِّصَالِ بِخِدْمَتِكَ
এবং সর্বক্ষণ তোমার খেদমতের তীব্র আকাঙ্ক্ষা
حَتَّى أَسْرَحَ إِلَيْكَ فِي مَيَادِينِ السَّابِقِينَ
যেন আমি তোমাকে আনুগত্যের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তীদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে তোমার পানে অগ্রসর হতে পারি
وَ أُسْرِعَ إِلَيْكَ فِي الْبَارِزِينَ [الْمُبَادِرِينَ]
এবং তোমার দিকে ধাবমান সকল দ্রুতগামীর চেয়ে দ্রুততর তোমার কাছে পৌঁছাতে পারি
وَ أَشْتَاقَ إِلَى قُرْبِكَ فِي الْمُشْتَاقِينَ
আর যারা একাগ্রনিষ্ঠায় তোমার নৈকট্য লাভ করেছে তাদের মতোই যেন আমি নিজেকে তোমার নৈকট্য লাভের সাধনায় নিয়োজিত করতে পারি
وَ أَدْنُوَ مِنْكَ دُنُوَّ الْمُخْلِصِينَ
এবং বিশুদ্ধ ব্যক্তিদের মতোই যেন আমি তোমার নৈকট্যপ্রাপ্ত হতে পারি
وَ أَخَافَكَ مَخَافَةَ الْمُوقِنِينَ
এবং বিশ্বস্ত মনের অধিকারীগণ যেভাবে তোমাকে ভয় করে আমিও যেন সেভাবে ভয়ে চলতে পারি
وَ أَجْتَمِعَ فِي جِوَارِكَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ
এবং আমি যেন মুমিনদের সাথে তোমার অপার করুণার ছায়াতলে থাকতে পারি।
اللَّهُمَّ وَ مَنْ أَرَادَنِي بِسُوءٍ فَأَرِدْهُ
হে আল্লাহ্ ! যে আমার অনিষ্ট চায় তুমি তারই অনিষ্ট কর !
وَ مَنْ كَادَنِي فَكِدْهُ
আর যে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকেই ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত কর !
وَ اجْعَلْنِي مِنْ أَحْسَنِ عَبِيدِكَ نَصِيبا عِنْدَكَ
এবং আমাকে তোমার শ্রেষ্ঠ দাসদের সঙ্গে স্থান দান কর যা তোমার অনুগ্রহ ছাড়া অর্জন সম্ভব নয়
وَ أَقْرَبِهِمْ مَنْزِلَةً مِنْكَ وَ أَخَصِّهِمْ زُلْفَةً لَدَيْكَ
এবং আমাকে দান কর তোমার সর্বনিকটতম দাসদের ও একান্ত বিশেষ বান্দাদের অবস্থান
فَإِنَّهُ لا يُنَالُ ذَلِكَ إِلا بِفَضْلِكَ
নিশ্চয় তোমার অনুগ্রহ ও করুণা ব্যতীত এ স্থান লাভ করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়
وَ جُدْ لِي بِجُودِكَ وَ اعْطِفْ عَلَيَّ بِمَجْدِكَ
তোমার অনুগ্রহ থেকে আমাকে [ক্ষমা] দান কর এবং তোমার নিঃশর্ত করুণা থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না
وَ احْفَظْنِي بِرَحْمَتِكَ وَ اجْعَلْ لِسَانِي بِذِكْرِكَ لَهِجا
এবং তোমার অপার করুণায় আমাকে [দুনিয়া ও আখেরাতে] রক্ষা কর এবং আমার জিহ্বাকে সর্বক্ষণ তোমার গুণকীর্তনে পরিচালিত করো
وَ قَلْبِي بِحُبِّكَ مُتَيَّما
এবং আমার অন্তর যেন তোমার প্রেমে কাতর ও অস্থির হয়ে ওঠে
وَ مُنَّ عَلَيَّ بِحُسْنِ إِجَابَتِكَ
করুণা কর আমার প্রতি একটি দয়ার্দ্র প্রত্যুত্তর দিয়ে
وَ أَقِلْنِي عَثْرَتِي وَ اغْفِرْ زَلَّتِي
আমার পদস্খলনগুলো মুছে দাও এবং আমার ত্রুটিগুলো মার্জনা করে দাও!
فَإِنَّكَ قَضَيْتَ عَلَى عِبَادِكَ بِعِبَادَتِكَ
কেননা তুমিই তো তোমার বান্দাদের জন্য দয়া করে নির্ধারণ করেছো উপাসনাকে
وَ أَمَرْتَهُمْ بِدُعَائِكَ وَ ضَمِنْتَ لَهُمُ الْإِجَابَةَ
আদেশ করেছো প্রার্থনা জানাতে এবং নিশ্চয়তা দিয়েছো এসবের জবাব দানের
فَإِلَيْكَ يَا رَبِّ نَصَبْتُ وَجْهِي
তাই তোমার পানেই হে প্রতিপালক আমি মুখ ফিরিয়েছি
وَ إِلَيْكَ يَا رَبِّ مَدَدْتُ يَدِي
এবং তোমার দিকে ভিক্ষার হাত উঠিয়েছি, হে প্রতিপালক!
فَبِعِزَّتِكَ اسْتَجِبْ لِي دُعَائِي
অতএব তোমার মহামর্যাদার উসিলায় আমার দোয়া কবুল কর
وَ بَلِّغْنِي مُنَايَ وَ لا تَقْطَعْ مِنْ فَضْلِكَ رَجَائِي
এবং আমার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ কর। কিছুতেই আমাকে হতাশ করো না
وَ اكْفِنِي شَرَّ الْجِنِّ وَ الْإِنْسِ مِنْ أَعْدَائِي
এবং তুমি আমায় রক্ষা কর জ্বীন ও মানুষের মধ্যে যারা আমার শত্রু তাদের অনিষ্ট হতে
يَا سَرِيعَ الرِّضَا اغْفِرْ لِمَنْ لا يَمْلِكُ إِلا الدُّعَاءَ
হে [প্রভু ] যে তুমি দ্রুত সন্তুষ্ট হও! তাকে তুমি ক্ষমা কর দোয়া ছাড়া যার অন্য কোন সম্বল নেই
فَإِنَّكَ فَعَّالٌ لِمَا تَشَاءُ يَا مَنِ اسْمُهُ دَوَاءٌ
কেননা তোমার যা ইচ্ছা তুমি তো তাই করতে পার। হে [প্রভু ] যার নামে দূর্গতির মুক্তি
وَ ذِكْرُهُ شِفَاءٌ وَ طَاعَتُهُ غِنًى
যার স্মরণেই সমস্ত কষ্টের প্রতিকার এবং যার আনুগত্যেই সম্পদ
ارْحَمْ مَنْ رَأْسُ مَالِهِ الرَّجَاءُ وَ سِلاحُهُ الْبُكَاءُ
রহম করো তার উপর যার মূলধন শুধু আশা আর অবলম্বন শুধুই কান্না
يَا سَابِغَ النِّعَمِ يَا دَافِعَ النِّقَمِ
হে সমস্ত নেয়ামতের পূর্ণতাদানকারী ও সমস্ত দুর্যোগের ত্রাণকর্তা
يَا نُورَ الْمُسْتَوْحِشِينَ فِي الظُّلَمِ
হে অন্ধকারে পথভ্রান্ত একাকীদের দিশা আলোক!
الظُّلَمِ يَا عَالِما لا يُعَلَّمُ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
হে সর্বজ্ঞ! যাকে কখনো শিখানো হয়নি! মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরদের উপর শান্তি বর্ষণ করো
وَ افْعَلْ بِي مَا أَنْتَ أَهْلُهُ
এবং আমার প্রতি তা-ই করো যা করা তোমাকে মানায়
وَ صَلَّى اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ وَ الْأَئِمَّةِ الْمَيَامِينِ مِنْ آلِهِ [أَهْلِهِ] وَ سَلَّمَ تَسْلِيما [كَثِيرا]
শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর রাসূলের উপর এবং তাঁর বংশধরদের মধ্য হতে পবিত্র ইমামদের উপর এবং তাঁদের দান করো অপার ও অসীম প্রশান্তি ।
মজলিস শেষে কুমাইল হযরত আলীর ঘরে এসে তাঁকে হযরত খিজিরের দোয়া শিখিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। হযরত আলী (আঃ) কুমাইলকে বসিয়ে দোয়াটি আবৃত্তি করেন এবং সেটা লিখে মুখস্থ করে রাখার নির্দেশ দেন।
তারপর হযরত আলী কুমাইলকে পরামর্শ দিলেন, প্রতি শুক্রবারের শুরুতে (অর্থাৎ আগের রাতে ) একবার করে কিংবা অন্ততঃ বছরে একবার এই দোয়াটি পড়তে যাতে করে "আল্লাহ তা'লা শত্রুর অনিষ্ট হতে এবং মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র হতে রক্ষা করেন।" তিনি আরও বলেন, হে কুমাইল! তোমার সাহচর্য এবং উপলব্ধির সম্মানে আমি এই দোয়াটি তোমার হেফাজতে উৎসর্গ করলাম।"
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আল্লাহুমা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মদ।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আকুতি জানাই তোমার ‘রহমত'-এর উসিলায় যা সমস্ত কিছুকে পরিবৃত করে রেখেছে।
وَ بِقُوَّتِكَ الَّتِي قَهَرْتَ بِهَا كُلَّ شَيْءٍ
আর তোমার পরাক্রমের উসিলায় যা দিয়ে তুমি সমস্ত কিছুকে পদানত করো।
وَ خَضَعَ لَهَا كُلُّ شَيْءٍ وَ ذَلَّ لَهَا كُلُّ شَيْءٍ
এবং যার কাছে সমস্ত বস্তুনিচয় আনত হয় ও আনুগত্য প্রদর্শন করে।
وَ بِجَبَرُوتِكَ الَّتِي غَلَبْتَ بِهَا كُلَّ شَيْءٍ
এবং তোমার প্রতাপের উসিলায় যা দিয়ে তুমি সমস্ত কিছুকে বিজিত করেছো।
وَ بِعِزَّتِكَ الَّتِي لا يَقُومُ لَهَا شَيْءٌ
এবং তোমার মহামর্যাদার উসিলায় যার সম্মুখে কোন কিছুই দাঁড়াতে পারে না।
وَ بِعَظَمَتِكَ الَّتِي مَلَأَتْ كُلَّ شَيْءٍ
এবং তোমার অপার মহিমার উসিলায় যা সমস্ত কিছুর উপর প্রাধান্য বিস্তার করে আছে।
وَ بِسُلْطَانِكَ الَّذِي عَلا كُلَّ شَيْءٍ
এবং তোমার শাসনের উসিলায় যা সমস্ত কিছুর উপর কর্তৃত্বশীল।
وَ بِوَجْهِكَ الْبَاقِي بَعْدَ فَنَاءِ كُلِّ شَيْءٍ
এবং তোমার আপন সত্তার উসিলায় যা সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাবার পরও স্থায়ী থাকবে।
وَ بِأَسْمَائِكَ الَّتِي مَلَأَتْ [غَلَبَتْ] أَرْكَانَ كُلِّ شَيْءٍ
এবং তোমার নামসমূহের উসিলায় যা সমস্ত কিছুর উপর তোমার ক্ষমতা প্রকাশ করে।
وَ بِعِلْمِكَ الَّذِي أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ
এবং তোমার মহাজ্ঞানের উসিলায় যা সৃষ্টিজগতকে পরিবৃত করে রেখেছে।
وَ بِنُورِ وَجْهِكَ الَّذِي أَضَاءَ لَهُ كُلُّ شَيْء
এবং তোমার পবিত্র সত্তার নূরের উসিলায় যা সমস্ত কিছুকে আলোকিত করেছে।
يَا نُورُ يَا قُدُّوسُ يَا أَوَّلَ الْأَوَّلِينَ وَ يَا آخِرَ الْآخِرِينَ
হে নুর! হে পবিত্রময়! হে তুমি যে অনাদিকাল হতে বিরাজমান। হে তুমি যিনি সবকিছুর পরিসমাপ্তি।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تَهْتِكُ الْعِصَم
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা (গোনাহ থেকে) সংযমের বাঁধ ভেঙ্গে দেয়।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تُنْزِلُ النِّقَمَ
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা দুর্যোগ ডেকে আনে।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تُغَيِّرُ النِّعَمَ
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা তোমার নেয়ামতসমূহকে (গজবে) পরিবর্তন করে দেয়।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تَحْبِسُ الدُّعَاءَ
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা দোয়া কবুল হওয়ার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيَ الذُّنُوبَ الَّتِي تُنْزِلُ الْبَلاءَ
হে আল্লাহ! আমার ঐ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দাও যা বিপদ (বা কষ্ট) ডেকে আনে।
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي كُلَّ ذَنْبٍ أَذْنَبْتُهُ
হে আল্লাহ! আমি যত গোনাহ করেছি সব ক্ষমা করে দাও।
وَ كُلَّ خَطِيئَةٍ أَخْطَأْتُهَا
এবং ভুল বশত: করা সকল ত্রুটি ক্ষমা করে দাও।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَتَقَرَّبُ إِلَيْكَ بِذِكْرِكَ
হে আল্লাহ! আমি তোমাকে স্মরণের (জিক্র) মাধ্যমে তোমার নৈকট্য লাভের সাধনা করি।
وَ أَسْتَشْفِعُ بِكَ إِلَى نَفْسِكَ
আমি তোমাকেই তোমার কাছে শাফায়াতের জন্য উপস্থিত করছি।
وَ أَسْأَلُكَ بِجُودِكَ أَنْ تُدْنِيَنِي مِنْ قُرْبِكَ
এবং আমি তোমার অনুগ্রহ নিয়ে তোমার কাছেই প্রার্থনা করছি আমাকে তোমার নৈকট্যেরও নিকটবর্তী করে নাও।
وَ أَنْ تُوزِعَنِي شُكْرَكَ وَ أَنْ تُلْهِمَنِي ذِكْرَكَ
এবং তোমাকে কিভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবো আমাকে শিখিয়ে দাও এবং তোমার প্রতি মনোযোগ ও স্মরণকে আমার অন্তরে উদ্ভাসিত করো।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ سُؤَالَ خَاضِعٍ مُتَذَلِّلٍ خَاشِعٍ
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে নিবেদন জানাই পূর্ণ আনুগত্যে, বিনয়াবনত চিত্তে ও ভীত-বিহ্বল অন্তরে ।
أَنْ تُسَامِحَنِي وَ تَرْحَمَنِي وَ تَجْعَلَنِي بِقِسْمِكَ رَاضِيا قَانِعا
যেন আমার প্রতি তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ার্দ্র হও এবং তোমার দেয়া বরাদ্দে খুশী ও পরিতৃপ্ত রাখো।
وَ فِي جَمِيعِ الْأَحْوَالِ مُتَوَاضِعا
এবং আমাকে যে কোন পরিস্থিতিতে বিনম্র ও বিনয়ী রাখো।
اللَّهُمَّ وَ أَسْأَلُكَ سُؤَالَ مَنِ اشْتَدَّتْ فَاقَتُهُ
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা জানাই এমন এক ব্যক্তির মতো যে চরম সংকটে নিপতিত হয়েছে।
وَ أَنْزَلَ بِكَ عِنْدَ الشَّدَائِدِ حَاجَتَهُ
এবং একমাত্র তোমার দরবারে তার যন্ত্রণা নিবারণের জন্য ভিক্ষা চাচ্ছে।
وَ عَظُمَ فِيمَا عِنْدَكَ رَغْبَتُهُ
এবং তোমার কাছে যে অনন্তকালীন নেয়ামত আছে তা তার আশাকে বহুগুণ বর্ধিত করেছে।
اللَّهُمَّ عَظُمَ سُلْطَانُكَ وَ عَلا مَكَانُكَ وَ خَفِيَ مَكْرُكَ
হে আল্লাহ! বিশাল তোমার সাম্রাজ্য এবং মহিমান্বিত তোমার মর্যাদা এবং তোমার পরিকল্পনা দৃশ্যাতীত।
وَ ظَهَرَ أَمْرُكَ وَ غَلَبَ قَهْرُكَ وَ جَرَتْ قُدْرَتُكَ
অস্তিত্বজগতে তোমার ক্ষমতা স্পষ্ট, তোমার শক্তি সবকিছুর উপর বিজয়ী, তোমার কর্তৃত্ব সর্বব্যাপী।
وَ لا يُمْكِنُ الْفِرَارُ مِنْ حُكُومَتِكَ
এবং অসম্ভব তোমার সাম্রাজ্য থেকে পলায়ন।
اللَّهُمَّ لا أَجِدُ لِذُنُوبِي غَافِرا وَ لا لِقَبَائِحِي سَاتِرا
হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আমার পাপ ক্ষমা করার কিংবা আমার ঘৃণ্য কাজগুলো গোপন করে রাখার আর কেউ নেই।
وَ لا لِشَيْءٍ مِنْ عَمَلِيَ الْقَبِيحِ بِالْحَسَنِ مُبَدِّلا غَيْرَكَ
এবং আমার মন্দ কর্মগুলোকে সদ্গুণে রূপান্তরিত করার জন্যেও তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই।
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ وَ بِحَمْدِكَ
তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই তুমি অতিশয় পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা তোমারই।
ظَلَمْتُ نَفْسِي وَ تَجَرَّأْتُ بِجَهْلِي
আমি আমার নিজের উপর জুলুম করেছি এবং আমার এ ধৃষ্টতা জন্মেছে আমার অজ্ঞতার কারণে ।
وَ سَكَنْتُ إِلَى قَدِيمِ ذِكْرِكَ لِي وَ مَنِّكَ عَلَيَّ
(পাপ করতে গিয়ে) আমি নির্ভর করেছিলাম আমার প্রতি তোমার অতীত দয়া এবং তোমার অনুগ্রহের উপর।
اللَّهُمَّ مَوْلايَ كَمْ مِنْ قَبِيحٍ سَتَرْتَهُ
হে আল্লাহ! আমার কত জঘন্য পাপকে তুমি গোপন করেছো।
وَ كَمْ مِنْ فَادِحٍ مِنَ الْبَلاءِ أَقَلْتَهُ [أَمَلْتَهُ]
এবং আমার কত কঠিন বিপদকে তুমি সহনীয় করে দিয়েছো।
وَ كَمْ مِنْ عِثَارٍ وَقَيْتَهُ وَ كَمْ مِنْ مَكْرُوهٍ دَفَعْتَهُ
এবং কত বিচ্যুতি হতে আমাকে তুমি রক্ষা করেছো, কত নোংরা কাজ হতে আমাকে দুরে রেখেছো।
وَ كَمْ مِنْ ثَنَاءٍ جَمِيلٍ لَسْتُ أَهْلا لَهُ نَشَرْتَهُ
এবং আমার অসংখ্য সুন্দর প্রশংসা তুমি চতুর্দিকে ছড়িয়েছো যার উপযুক্ত আমি ছিলাম না।
اللَّهُمَّ عَظُمَ بَلائِي وَ أَفْرَطَ بِي سُوءُ حَالِي وَ قَصُرَتْ [قَصَّرَتْ] بِي أَعْمَالِي
হে আল্লাহ! আমার যাতনা হয়েছে অসহনীয় এবং দুর্দশা অপরিমেয়, অপরাধপ্রবণতা তীব্র অথচ সৎকর্ম নগণ্য
أَعْمَالِي وَ قَعَدَتْ بِي أَغْلالِي وَ حَبَسَنِي عَنْ نَفْعِي بُعْدُ أَمَلِي [آمَالِي]
এবং [পার্থিব আসক্তির] শিকল আমাকে ধরাশায়ী করে রেখেছে। আর মিথ্যে আশার মরীচিকা আমাকে আমার কল্যাণ থেকে দুরে রেখেছে।
وَ خَدَعَتْنِي الدُّنْيَا بِغُرُورِهَا
এবং দুনিয়া তার মোহন মায়ায় আমাকে আবিষ্ট করেছে।
وَ نَفْسِي بِجِنَايَتِهَا [بِخِيَانَتِهَا] وَ مِطَالِي يَا سَيِّدِي
এবং আমার আপন সত্তা পরিণত হয়েছে বিশ্বাসঘাতকতা ও ছলনাপ্রবণতার শিকারে, হে আমার প্রভু!
فَأَسْأَلُكَ بِعِزَّتِكَ
তোমার মহত্ত্বের নামে আমি কাতর মিনতি জানাই।
أَنْ لا يَحْجُبَ عَنْكَ دُعَائِي سُوءُ عَمَلِي وَ فِعَالِي
আমার পাপ ও অপকর্মগুলো যেন আমার দোয়াকে তোমার দুয়ারে পৌঁছুতে বাধাগ্রস্ত না করে।
وَ لا تَفْضَحْنِي بِخَفِيِّ مَا اطَّلَعْتَ عَلَيْهِ مِنْ سِرِّي
এবং তুমি কিছুতেই তোমার জানা আমার গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ করে দিয়ে আমাকে অপমানিত করো না ।
وَ لا تُعَاجِلْنِي بِالْعُقُوبَةِ عَلَى مَا عَمِلْتُهُ فِي خَلَوَاتِي مِنْ سُوءِ فِعْلِي
এবং সেসব গোপন অপকর্মের কারণে আমার শাস্তি ত্বরান্বিত করো না।
وَ إِسَاءَتِي وَ دَوَامِ تَفْرِيطِي وَ جَهَالَتِي
আমার ঐসব অপরাধ, পাপাচার, মহা অন্যায় ও অজ্ঞাতবশত: কর্মসমূহ।
وَ كَثْرَةِ شَهَوَاتِي وَ غَفْلَتِي
অতিরিক্ত লালসা ও গাফিলতির কারণে।
وَ كُنِ اللَّهُمَّ بِعِزَّتِكَ لِي فِي كُلِّ الْأَحْوَالِ [فِي الْأَحْوَالِ كُلِّهَا] رَءُوفا
হে আল্লাহ! আমি তোমার মহত্ত্বের উসিলায় তোমার কাছে নিবেদন জানাই সর্বাবস্থায় আমার প্রতি করুণাময় হতে।
وَ عَلَيَّ فِي جَمِيعِ الْأُمُورِ عَطُوفا
এবং প্রতিটি বিষয়ে আমার প্রতি সদয় দৃষ্টি দিতে।
إِلَهِي وَ رَبِّي مَنْ لِي غَيْرُكَ
হে আমার প্রভু! হে আমার প্রতিপালক! তুমি ছাড়া কি আর কেউ আছে
أَسْأَلُهُ كَشْفَ ضُرِّي وَ النَّظَرَ فِي أَمْرِي
যার কাছে আমি বিপদ মুক্তির আবেদন করতে কিংবা আমার সমস্যা অনুধাবনের প্রার্থনা জানাতে পারি ?
إِلَهِي وَ مَوْلايَ أَجْرَيْتَ عَلَيَّ حُكْما
হে আমার উপাস্য! হে আমার অভিভাবক! তুমি আমার (জীবনে চলার) জন্য বিধান নির্ধারণ করেছো
اتَّبَعْتُ فِيهِ هَوَى نَفْسِي
কিন্তু তার পরিবর্তে আমি আমার হীন কামনার দাসত্ব করেছি
وَ لَمْ أَحْتَرِسْ فِيهِ مِنْ تَزْيِينِ عَدُوِّي
এবং আমি শত্রুর প্ররোচনার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকিনি।
فَغَرَّنِي بِمَا أَهْوَى وَ أَسْعَدَهُ عَلَى ذَلِكَ الْقَضَاءُ
সে আমাকে নিরর্থক আশার মায়াজালে বেঁধে নিয়েছে যা আমাকে টেনে নিয়েছে অধঃপাতে এবং নিয়তি তাকে সহায়তা দিয়েছে এ কর্মে ।
فَتَجَاوَزْتُ بِمَا جَرَى عَلَيَّ مِنْ ذَلِكَ بَعْضَ [مِنْ نَقْضِ] حُدُودِكَ
এইভাবে আমি তোমার দেয়া ঐবিধানসমূহের কিছু কিছু বিষয়ে সীমালংঘন করেছি ।
وَ خَالَفْتُ بَعْضَ أَوَامِرِكَ
এবং তোমার কিছু কিছু আদেশ অমান্য করেছি ;
فَلَكَ الْحَمْدُ [الْحُجَّةُ] عَلَيَّ فِي جَمِيعِ ذَلِكَ
অতএব ঐ সমস্ত বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে তোমার (যথার্থ) অভিযোগ রয়েছে
وَ لا حُجَّةَ لِي فِيمَا جَرَى عَلَيَّ فِيهِ قَضَاؤُكَ
এবং আমার প্রতি তোমার রায়ের বিরুদ্ধে কোন অজুহাত আমার নেই
وَ أَلْزَمَنِي حُكْمُكَ وَ بَلاؤُكَ
তাই আমি (যথার্থভাবেই) তোমার বিচারের যোগ্য হয়েছি এবং শাস্তির উপযুক্ততা অর্জন করেছি ।
وَ قَدْ أَتَيْتُكَ يَا إِلَهِي بَعْدَ تَقْصِيرِي
এখন আমি অপরাধে অপরাধী হওয়ার পর তোমার দরবারে এসেছি, হে আমার প্রভু!
وَ إِسْرَافِي عَلَى نَفْسِي
আমি আমার উপর জুলুম করেছি।
مُعْتَذِرا نَادِما مُنْكَسِرا مُسْتَقِيلا مُسْتَغْفِرا مُنِيبا
ক্ষমাপ্রার্থী ও অনুতপ্ত হয়ে ভগ্ন হৃদয়ে নত হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি ।
مُقِرّا مُذْعِنا مُعْتَرِفا
তোমার কাছে প্রত্যাবর্তন করছি নতশিরে অপরাধ স্বীকার করে
لا أَجِدُ مَفَرّا مِمَّا كَانَ مِنِّي وَ لا مَفْزَعا
কেননা আমার কৃতকর্মের প্রতিফল ভোগ হতে মুক্তির কোন উপায় আমি দেখছি না । না কোন আশ্রয়স্থল দেখছি
أَتَوَجَّهُ إِلَيْهِ فِي أَمْرِي غَيْرَ قَبُولِكَ عُذْرِي
যেখানে আশ্রয় নেবো। একমাত্র তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না করো
وَ إِدْخَالِكَ إِيَّايَ فِي سَعَةِ [سَعَةٍ مِنْ] رَحْمَتِكَ
এবং তোমার অনন্ত করুণার রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি ব্যতিরেকে আমার কোন পথও নেই।
اللَّهُمَّ [إِلَهِي] فَاقْبَلْ عُذْرِي وَ ارْحَمْ شِدَّةَ ضُرِّي وَ فُكَّنِي مِنْ شَدِّ وَثَاقِي
হে আল্লাহ! আমার তওবা কবুল করো এবং আমার তীব্র যাতনার উপর দয়ার্দ্র হও এবং আমাকে আমার (পাপকাজের) ভারী শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করো।
يَا رَبِّ ارْحَمْ ضَعْفَ بَدَنِي وَ رِقَّةَ جِلْدِي وَ دِقَّةَ عَظْمِي
হে পালনকর্তা! আমার দুর্বল শরীরের উপর দয়ার্দ্র হও এবং আমার কোমল ত্বক ও ভঙ্গুর হাড়গুলোর উপর করুণা করো।
يَا مَنْ بَدَأَ خَلْقِي وَ ذِكْرِي وَ تَرْبِيَتِي وَ بِرِّي وَ تَغْذِيَتِي
যে তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো, আমাকে ব্যক্তিত্ব দিয়েছো এবং আমার সুষ্ঠ প্রতিপালন নিশ্চিত করেছো এবং আমাকে জীবিকা দিয়েছো
هَبْنِي لابْتِدَاءِ كَرَمِكَ وَ سَالِفِ بِرِّكَ بِي
দয়া করে আমার উপর তোমার সেই পরিমাণ রহমত ও বরকত বর্ষণ পুনরারম্ভ করো, যে পরিমাণ ছিলো আমার জীবনের সূচনালগ্নে ।
يَا إِلَهِي وَ سَيِّدِي وَ رَبِّي
হে আমার ইলাহ্! হে আমার মালিক! হে আমার প্রভু!
أَ تُرَاكَ مُعَذِّبِي بِنَارِكَ بَعْدَ تَوْحِيدِكَ
তুমি কি প্রজ্জ্বলিত অগ্নিতে আমাকে দগ্ধ হয়ে শাস্তি পেতে দেখবে যদিও আমি তোমার একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করেছি?
وَ بَعْدَ مَا انْطَوَى عَلَيْهِ قَلْبِي مِنْ مَعْرِفَتِكَ
যদিও আমার অন্তর পরিপূর্ণ তোমার (পবিত্র) জ্ঞানে
وَ لَهِجَ بِهِ لِسَانِي مِنْ ذِكْرِكَ
এবং আমার জিহ্বা বারংবার তোমাকে যিকির করেছে
وَ اعْتَقَدَهُ ضَمِيرِي مِنْ حُبِّكَ
তোমার ভালবাসায় আমার অন্তর হয়েছে প্রেমার্ত ?
وَ بَعْدَ صِدْقِ اعْتِرَافِي
এবং যখন আমি তোমার কর্তৃত্বের কাছে একান্ত হৃদয়ে ভুল স্বীকার করেছি
وَ دُعَائِي خَاضِعا لِرُبُوبِيَّتِكَ
এবং বিনয়ের সাথে আকুল হৃদয়ে তোমাকে প্রতিপালক স্বীকার করেছি
هَيْهَاتَ أَنْتَ أَكْرَمُ مِنْ أَنْ تُضَيِّعَ مَنْ رَبَّيْتَهُ
না, যাকে তুমি নিজেই লালন-পালন করেছো তাকে ধ্বংস করা থেকে তুমি অনেক মহান
أَوْ تُبْعِدَ [تُبَعِّدَ] مَنْ أَدْنَيْتَهُ أَوْ تُشَرِّدَ مَنْ آوَيْتَهُ
কিংবা যাকে তুমি নিজেই রক্ষণাবেক্ষণ করেছো তাকে তোমার থেকে দুরে তাড়িয়ে দেয়া থেকে তুমি অনেক মহান
أَوْ تُسَلِّمَ إِلَى الْبَلاءِ مَنْ كَفَيْتَهُ وَ رَحِمْتَهُ
কিংবা যাকে তুমি আদর-যত্ম করেছো এবং যার প্রতি তুমি দয়ার্দ্র থেকেছো, তাকে যন্ত্রণার মাঝে ত্যাগ করে ফেলে রাখার মতো তুমি নও ।
وَ لَيْتَ شِعْرِي يَا سَيِّدِي وَ إِلَهِي وَ مَوْلايَ
হে আমার মালিক! আমার ইলাহ্ ! আমার প্রভু !
أَ تُسَلِّطُ النَّارَ عَلَى وُجُوهٍ خَرَّتْ لِعَظَمَتِكَ سَاجِدَةً
আমার জানতে ইচ্ছে করে তুমি কি ঐসব মুখকে অগ্নিতে প্রজ্জ্বলিত করবে যেসব মুখ তোমার মহত্ত্বের সম্মুখে সিজদাবনত হয়েছে
وَ عَلَى أَلْسُنٍ نَطَقَتْ بِتَوْحِيدِكَ صَادِقَةً
কিংবা ঐসব জিহ্বাকে যেগুলো একনিষ্ঠভাবে তোমার একত্ব ঘোষণা করেছে
وَ بِشُكْرِكَ مَادِحَةً وَ عَلَى قُلُوبٍ اعْتَرَفَتْ بِإِلَهِيَّتِكَ مُحَقِّقَةً
এবং সব সময় তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে অথবা ঐ সব হৃদয়কে দগ্ধ-বিদগ্ধ করবে যেগুলো দৃঢ়তার সঙ্গে তোমার প্রভুত্বকে মেনে নিয়েছে
وَ عَلَى ضَمَائِرَ حَوَتْ مِنَ الْعِلْمِ بِكَ حَتَّى صَارَتْ خَاشِعَةً
কিংবা ঐ অন্তরসমূহ আগুনে ফেলবে, যেগুলো জ্ঞান ও পরিচিতির কারণে তোমার প্রতি অনুগত হয়েছে
وَ عَلَى جَوَارِحَ سَعَتْ إِلَى أَوْطَانِ تَعَبُّدِكَ طَائِعَةً
কিংবা ঐসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে প্রজ্জ্বলিত করবে যেগুলো তোমার ইবাদতের স্থানগুলোয় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আনুগত্যের জন্য যেতো
وَ أَشَارَتْ بِاسْتِغْفَارِكَ مُذْعِنَةً
এবং তোমার প্রতি আস্থা রেখে তোমার ক্ষমা ভিক্ষার কঠোর প্রয়াস চালিয়েছে ?
مَا هَكَذَا الظَّنُّ بِكَ
এ তোমার কাছ থেকে কিছুতেই আশা করা যায় না
وَ لا أُخْبِرْنَا بِفَضْلِكَ عَنْكَ يَا كَرِيمُ
কেননা তোমার থেকে এমন কোন বৈশিষ্ট্য আমরা দেখিনি হে দয়াবান ।
يَا رَبِّ وَ أَنْتَ تَعْلَمُ ضَعْفِي عَنْ قَلِيلٍ مِنْ بَلاءِ الدُّنْيَا وَ عُقُوبَاتِهَا
হে প্রতিপালক! তুমি তো জানো যে এ দুর্বলের জন্য এই দুনিয়ার সামান্য কষ্ট ও শাস্তিই কত অসহনীয়
وَ مَا يَجْرِي فِيهَا مِنَ الْمَكَارِهِ عَلَى أَهْلِهَا
আর সেখানে যা ঘটবে কি ভয়ানক অবস্থা হবে তার অধিবাসীদের উপর
عَلَى أَنَّ ذَلِكَ بَلاءٌ وَ مَكْرُوهٌ قَلِيلٌ مَكْثُهُ يَسِيرٌ بَقَاؤُهُ قَصِيرٌ مُدَّتُهُ
যদিও পৃথিবীর কষ্ট ও আযাব স্বল্পস্থায়ী সামান্য ও দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যায়
فَكَيْفَ احْتِمَالِي لِبَلاءِ الْآخِرَةِ وَ جَلِيلِ [حُلُولِ] وُقُوعِ الْمَكَارِهِ فِيهَا
তাহলে আমি কেমন করে পরকালের কষ্ট আর সেখানকার শাস্তি সইবো
وَ هُوَ بَلاءٌ تَطُولُ مُدَّتُهُ وَ يَدُومُ مَقَامُهُ
যে শাস্তির মেয়াদ দীর্ঘ, যেখানে অনন্তকাল অবস্থান করতে হবে।
وَ لا يُخَفَّفُ عَنْ أَهْلِهِ
যার অধিবাসীদের থেকে শাস্তি কমানো হবে না
لِأَنَّهُ لا يَكُونُ إِلا عَنْ غَضَبِكَ وَ انْتِقَامِكَ وَ سَخَطِكَ
কেননা এ শাস্তি একমাত্র তোমার ক্রোধ ও কঠোর ন্যায়বিচারের পরিণতি
وَ هَذَا مَا لا تَقُومُ لَهُ السَّمَاوَاتُ وَ الْأَرْضُ
যা আসমান ও জমিন সহ্য করতে অক্ষম?
يَا سَيِّدِي فَكَيْفَ لِي [بِي] وَ أَنَا عَبْدُكَ الضَّعِيفُ الذَّلِيلُ
হে প্রভু! তবে আমার কি হবে, যে আমি তোমার দুর্বল হীন বান্দা
الْحَقِيرُ الْمِسْكِينُ الْمُسْتَكِينُ يَا إِلَهِي وَ رَبِّي وَ سَيِّدِي وَ مَوْلايَ
ক্ষুদ্র, নগণ্য ও ম্রিয়মান দাসানুদাস? হে আমার উপাস্য! আমার মালিক! আমার প্রভু! আমার পালনকর্তা!
لِأَيِّ الْأُمُورِ إِلَيْكَ أَشْكُو
কোন্ বিষয়ে আমি তোমার কাছে অভিযোগ জানাবো
وَ لِمَا مِنْهَا أَضِجُّ وَ أَبْكِي
আর কোনটা নিয়ে আমি অশ্রু ঝরাবো, আর বিলাপ করবো
لِأَلِيمِ الْعَذَابِ وَ شِدَّتِهِ أَمْ لِطُولِ الْبَلاءِ وَ مُدَّتِهِ
শাস্তির যাতনা ও তার তীব্রতার জন্য নাকি শাস্তির মেয়াদের দীর্ঘতার জন্যে ?
فَلَئِنْ صَيَّرْتَنِي لِلْعُقُوبَاتِ مَعَ أَعْدَائِكَ
অতএব যদি তুমি আমাকে তোমার শত্রুদের সাথে শাস্তি দিতে নিয়ে যাও
وَ جَمَعْتَ بَيْنِي وَ بَيْنَ أَهْلِ بَلائِكَ
এবং তোমার আযাব ভোগকারী লোকদের সাথে আমাকেও একত্র করো
وَ فَرَّقْتَ بَيْنِي وَ بَيْنَ أَحِبَّائِكَ وَ أَوْلِيَائِكَ
আর তোমার প্রেমিক ও অলী-আওলীয়াদের কাছ থেকে আমাকে পৃথক করে নাও
فَهَبْنِي يَا إِلَهِي وَ سَيِّدِي وَ مَوْلايَ وَ رَبِّي
তাহলে হে আমার উপাস্য! হে আমার মালিক! হে আমার অভিভাবক! হে প্রতিপালক!
صَبَرْتُ عَلَى عَذَابِكَ فَكَيْفَ أَصْبِرُ عَلَى فِرَاقِكَ
আমি তোমার এ শাস্তি সয়ে নেবো, কিন্তু তোমার থেকে এ বিচ্ছিন্নতা আমি কীভাবে সহ্য করবো ?
وَ هَبْنِي [يَا إِلَهِي] صَبَرْتُ عَلَى حَرِّ نَارِكَ
কিংবা ধরা যাক আমি তোমার আগুনের প্রজ্জ্বলন সইতে পারলাম
فَكَيْفَ أَصْبِرُ عَنِ النَّظَرِ إِلَى كَرَامَتِكَ
কিন্তু কেমন করে আমি তোমার ক্ষমা ও দয়ার বঞ্চনা সয়ে নেবো?
أَمْ كَيْفَ أَسْكُنُ فِي النَّارِ وَ رَجَائِي عَفْوُك
কেমন করে আমি আগুনের মাঝে বসবাস করবো যখন তোমার ক্ষমার উপর ভরসা করে আমি আশায় বুক বেঁধেছি?
فَبِعِزَّتِكَ يَا سَيِّدِي وَ مَوْلايَ
হে আমার প্রভু! আমার অভিভাবক! তোমার মহামর্যাদার শপথ
أُقْسِمُ صَادِقا لَئِنْ تَرَكْتَنِي نَاطِقا
আমি বিশ্বস্ত অন্তরের শপথ করে বলছি, তুমি যদি দোজখের আগুনের মধ্যেও আমার বাক্শক্তি রক্ষা কর
لَأَضِجَّنَّ إِلَيْكَ بَيْنَ أَهْلِهَا ضَجِيجَ الْآمِلِينَ [الْآلِمِينَ
তাহলেও আমি সেখান থেকে একজন দৃঢ় আশাবাদীর মতো আশা নিয়েই তোমার কাছে কাতর আকুতি জানাতে থাকবো।
لَأَصْرُخَنَّ إِلَيْكَ صُرَاخَ الْمُسْتَصْرِخِينَ
আমি তোমার কাছে একজন সহায়হীনের মতোই সাহায্য প্রার্থনা করবো
وَ لَأَبْكِيَنَّ عَلَيْكَ بُكَاءَ الْفَاقِدِينَ
একজন নিঃস্ব ব্যক্তির মতোই আমি তোমার কাছে আকুল হয়ে কাঁদবো
وَ لَأُنَادِيَنَّكَ أَيْنَ كُنْتَ يَا وَلِيَّ الْمُؤْمِنِينَ
আর তোমাকে ডাক ছেড়ে বলবো, হে মু'মিনদের অভিভাবক তুমি কোথায় ?
يَا غَايَةَ آمَالِ الْعَارِفِينَ يَا غِيَاثَ الْمُسْتَغِيثِينَ
হে সাধকদের সাধনার চুড়ান্ত লক্ষ্য, হে সাহায্য প্রার্থীদের সাহায্যকারী
يَا حَبِيبَ قُلُوبِ الصَّادِقِينَ وَ يَا إِلَهَ الْعَالَمِينَ
হে সত্যপথিকদের প্রাণপ্রিয় প্রেমিক, হে জগতসমূহের প্রভু, কোথায় তুমি ?
أَ فَتُرَاكَ سُبْحَانَكَ يَا إِلَهِي
হে খোদা! তুমি সমস্তকিছু থেকে অতিশয় পবিত্র
وَ بِحَمْدِكَ تَسْمَعُ فِيهَا صَوْتَ عَبْدٍ مُسْلِمٍ سُجِنَ [يُسْجَنُ] فِيهَا بِمُخَالَفَتِهِ
আর সকল প্রশংসা একমাত্র তোমারই, তুমি কি একবারও ফিরে দেখবে না যে, একজন আত্মসমর্পণকারী দাস তার অবাধ্যতার কারণে দোযখের আগুনে বন্দী
وَ ذَاقَ طَعْمَ عَذَابِهَا بِمَعْصِيَتِهِ
এবং অন্যায় আচরণের কারণে এর শাস্তি ভোগ করছে
وَ حُبِسَ بَيْنَ أَطْبَاقِهَا بِجُرْمِهِ وَ جَرِيرَتِهِ
আর পাপ ও অপরাধের কারণে সে জাহান্নামের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে বন্দী হয়ে আছে
وَ هُوَ يَضِجُّ إِلَيْكَ ضَجِيجَ مُؤَمِّلٍ لِرَحْمَتِكَ
তোমার দয়ার উপর দৃঢ় আস্থা নিয়ে তোমার প্রতি সুতীব্র আবেদন জানাচ্ছে।
وَ يُنَادِيكَ بِلِسَانِ أَهْلِ تَوْحِيدِكَ
তোমার তাওহীদে দৃঢ় বিশ্বাসী ব্যক্তির মতো তোমাকে ডাকছে
وَ يَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِرُبُوبِيَّتِكَ يَا مَوْلايَ
এবং তোমার প্রভুত্বের প্রতি ভরসা করে তোমার প্রতি চেয়ে আছে, হে আমার অধিকর্তা!
فَكَيْفَ يَبْقَى فِي الْعَذَابِ وَ هُوَ يَرْجُو مَا سَلَفَ مِنْ حِلْمِكَ
তোমার অতীত ক্ষমা, অনুকম্পা ও রহমতের উপর পূর্ণ ভরসা রাখার পরও কেমন করে সেই বান্দা কঠিন আযাবের মাঝে নিমজ্জিত থাকবে ?
أَمْ كَيْفَ تُؤْلِمُهُ النَّارُ وَ هُوَ يَأْمُلُ فَضْلَكَ وَ رَحْمَتَكَ
কিংবা কেমন করে দোযখের আগুন তাকে কষ্ট দিবে যখন সে তোমার মহত্ব ও দয়ার প্রতি বুক বেঁধে আছে?
أَمْ كَيْفَ يُحْرِقُهُ لَهِيبُهَا وَ أَنْتَ تَسْمَعُ صَوْتَهُ
কিংবা কেমন করে দোযখের আগুনের লেলিহান শিখায় সে প্রজ্বলিত হবে অথচ তুমি তার আর্তনাদ শুনতে পাবে?
وَ تَرَى مَكَانَهُ أَمْ كَيْفَ يَشْتَمِلُ عَلَيْهِ زَفِيرُهَا
এবং আগুনের মধ্যে তাকে দেখতে পাবে তাহলে কিভাবে আগুনের শিখা তাকে গ্রাস করে নিবে?
وَ أَنْتَ تَعْلَمُ ضَعْفَهُ أَمْ كَيْفَ يَتَقَلْقَلُ بَيْنَ أَطْبَاقِهَا
অথচ তুমি তো জানো সে কি ভীষণ দুর্বল তাহলে কিভাবে সে দোযখের স্তরগুলোর চাপে নিষ্পিষ্ট হতে থাকবে?
وَ أَنْتَ تَعْلَمُ صِدْقَهُ أَمْ كَيْفَ تَزْجُرُهُ زَبَانِيَتُهَا
তুমি তো তার নিষ্ঠার কথা জানো তাহলে কেমন করে দোযখের প্রহরীরা তাকে কষ্ট দেবে
وَ هُوَ يُنَادِيكَ يَا رَبَّهْ
অথচ সে কেবলই ডাকছে ‘ইয়া রব্ব'! ‘ইয়া রব্ব'! বলে ?
أَمْ كَيْفَ يَرْجُو فَضْلَكَ فِي عِتْقِهِ مِنْهَا فَتَتْرُكُهُ [فَتَتْرُكَهُ] فِيهَا
কেমন করে তুমি তাকে ফেলে রাখবে (দোযখের মাঝে) যখন তার দৃঢ় বিশ্বাস যে, তোমার অপার করুণা তাকে এখান থেকে মুক্ত করবে?
هَيْهَاتَ مَا ذَلِكَ الظَّنُّ بِكَ
হায়! এমনটা তোমার কাছে কখনো আশা করা যায় না ।
وَ لا الْمَعْرُوفُ مِنْ فَضْلِكَ
তোমার করুণার রূপও এমনটা নয়
وَ لا مُشْبِهٌ لِمَا عَامَلْتَ بِهِ الْمُوَحِّدِينَ مِنْ بِرِّكَ وَ إِحْسَانِكَ
কিংবা তোমার একত্বে বিশ্বাসীদের প্রতি তুমি যে করুণা ও অনুগ্রহ প্রদর্শন করো তার সাথেও এর কোন মিল নেই
فَبِالْيَقِينِ أَقْطَعُ لَوْ لا مَا حَكَمْتَ بِهِ مِنْ تَعْذِيبِ جَاحِدِيكَ
অতএব আমি নিশ্চিত হয়ে ঘোষণা করছি যে, যদি তুমি অবিশ্বাসীদের জন্য শাস্তি নির্ধারণ না করতে
وَ قَضَيْتَ بِهِ مِنْ إِخْلادِ مُعَانِدِيكَ
এবং তোমার শত্রুদের আবাস হিসাবে দোযখকে নির্ধারিত না করতে
لَجَعَلْتَ النَّارَ كُلَّهَا بَرْدا وَ سَلاما
তাহলে তুমি দোযখকে শীতল ও প্রশান্তিময় করে তুলতে
وَ مَا كَانَ [كَانَتْ] لِأَحَدٍ فِيهَا مَقَرّا وَ لا مُقَاما [مَقَاما]
এবং কোন মানুষকেই দোযখে থাকতে ও বসবাস করতে হতো না ;
لَكِنَّكَ تَقَدَّسَتْ أَسْمَاؤُكَ
অথচ পবিত্র তোমার নামসমূহ
أَقْسَمْتَ أَنْ تَمْلَأَهَا مِنَ الْكَافِرِينَ
তুমি শপথ করেছো যে অবিশ্বাসীদের দিয়ে দোযখ পূর্ণ করবে
مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ أَجْمَعِينَ
জ্বিন ও মানুষের মধ্যে যারা অবিশ্বাসী
وَ أَنْ تُخَلِّدَ فِيهَا الْمُعَانِدِينَ
এবং একে তোমার বিরুদ্ধবাদীদের চিরস্থায়ী নিবাসে পরিণত করবে
وَ أَنْتَ جَلَّ ثَنَاؤُكَ قُلْتَ مُبْتَدِئا وَ تَطَوَّلْتَ بِالْإِنْعَامِ مُتَكَرِّما
আর মহিমান্বিত তোমার গুণাবলী তুমি নিজেই সূচনালগ্নে তোমার অপার অনুগ্রহে তুমি ঘোষণা করেছো, সমগ্র সৃষ্টিকে তুমি নেয়ামত ও করুণা দিয়েছো।
أَ فَمَنْ كَانَ مُؤْمِنا كَمَنْ كَانَ فَاسِقا لا يَسْتَوُونَ
একজন মুমিন আর একজন দুর্নীতিপরায়ণ মানুষ কি সমান? তারা সমান হতে পারে না
إِلَهِي وَ سَيِّدِي فَأَسْأَلُكَ بِالْقُدْرَةِ الَّتِي قَدَّرْتَهَا
হে আমার প্রভু ও অভিভাবক! তোমার কাছে আমি প্রার্থনা করছি তোমার ঐ শক্তির নামে যা সমগ্রবিশ্বের ভাগ্য নির্ধারণ করে
وَ بِالْقَضِيَّةِ الَّتِي حَتَمْتَهَا وَ حَكَمْتَهَا
এবং তোমার চূড়ান্ত ও কার্যকরী শক্তির নামে
وَ غَلَبْتَ مَنْ عَلَيْهِ أَجْرَيْتَهَا
এবং যা দ্বারা তুমি সবকিছুর উপর সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর কর
أَنْ تَهَبَ لِي فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ
দয়া করে আমাকে এই রাতের এই প্রহরে ক্ষমা করে দাও
كُلَّ جُرْمٍ أَجْرَمْتُهُ وَ كُلَّ ذَنْبٍ أَذْنَبْتُهُ
আমি যেসব অপরাধে অপরাধী এবং যেসব পাপে পাপী হয়েছি
وَ كُلَّ قَبِيحٍ أَسْرَرْتُهُ وَ كُلَّ جَهْلٍ عَمِلْتُهُ
সেই সমস্ত ঘৃণ্য কাজের জন্য যা আমি গোপন রেখেছি, সেই সমস্ত প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অপকর্মের জন্য যা আমি করেছি
كَتَمْتُهُ أَوْ أَعْلَنْتُهُ أَخْفَيْتُهُ أَوْ أَظْهَرْتُهُ
অন্ধকারে কিংবা দিবালোকে এবং যা স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেছি
وَ كُلَّ سَيِّئَةٍ أَمَرْتَ بِإِثْبَاتِهَا الْكِرَامَ الْكَاتِبِينَ
এবং সেই সকল মন্দ কাজের জন্য যা লিপিবদ্ধ হয়েছে সম্মানিত লিপিকারদের দ্বারা যাদের তুমি আদেশ করেছো
الَّذِينَ وَكَّلْتَهُمْ بِحِفْظِ مَا يَكُونُ مِنِّي
যাদের তুমি দায়িত্ব দিয়েছো আমার সমস্ত ক্রিয়া-কর্ম লিপিবদ্ধ করতে
وَ جَعَلْتَهُمْ شُهُودا عَلَيَّ مَعَ جَوَارِحِي
এবং তাদেরকে তুমি নিয়োগ করেছো আমার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো আমার কার্যকলাপের সাক্ষী হতে
وَ كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيَّ مِنْ وَرَائِهِمْ
এবং ঐসকল ফেরেশতাদের উর্ধ্বে তুমি নিজেই আমার কার্যকলাপের মহাপর্যবেক্ষক
وَ الشَّاهِدَ لِمَا خَفِيَ عَنْهُمْ وَ بِرَحْمَتِكَ أَخْفَيْتَهُ
এবং তোমার অশেষ করুণায় তুমি যেসব মন্দ কর্ম ওদের কাছে গোপন রাখো তার সবই তো তোমার কাছে পরিষ্কার
وَ بِفَضْلِكَ سَتَرْتَهُ وَ أَنْ تُوَفِّرَ حَظِّي
এবং তোমার মহত্বের দ্বারা পরিবৃত করেছো [আমার অপরাধগুলো] এবং আমাকে একটি বিরাট অংশ দান করো।
مِنْ كُلِّ خَيْرٍ أَنْزَلْتَهُ [تُنْزِلُهُ]
তোমার দেওয়া প্রতিটি কল্যাণ হতে
أَوْ إِحْسَانٍ فَضَّلْتَهُ [تُفَضِّلُهُ]
এবং প্রতিটি সুমহান অনুগ্রহ
أَوْ بِرٍّ نَشَرْتَهُ [تَنْشُرُهُ] أَوْ رِزْقٍ بَسَطْتَهُ [تَبْسُطُهُ]
এবং যেসব কল্যাণ তুমি প্রকাশ ঘটিয়েছো ও প্রতিটি জীবিকা যা তুমি বৃদ্ধি করেছো
] أَوْ ذَنْبٍ تَغْفِرُهُ أَوْ خَطَإٍ تَسْتُرُهُ
এবং যেসব অপরাধ তুমি ক্ষমা করবে ও ত্রুটিসমূহ তুমি গোপন করে রাখবে।
يَا رَبِّ يَا رَبِّ يَا رَبِّ
"ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"!
يَا إِلَهِي وَ سَيِّدِي وَ مَوْلايَ وَ مَالِكَ رِقِّي
হে উপাস্য প্রভু! হে মনিব! হে মাওলা! হে আমার মুক্তির মালিক
يَا مَنْ بِيَدِهِ نَاصِيَتِي
হে যিনি আমার ভাগ্য নিয়ন্ত্রক
يَا عَلِيما بِضُرِّي [بِفَقْرِي] وَ مَسْكَنَتِي يَا خَبِيرا بِفَقْرِي وَ فَاقَتِي
হে যিনি আমার যাতনা ও নিঃস্বতা সম্পর্কে পরিজ্ঞাত, যিনি আমার দুঃসহায়তা ও অনাহার সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন
يَا رَبِّ يَا رَبِّ يَا رَبِّ
"ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"!
أَسْأَلُكَ بِحَقِّكَ وَ قُدْسِكَ وَ أَعْظَمِ صِفَاتِكَ وَ أَسْمَائِكَ
তোমার মহামর্যাদা ও বিশুদ্ধ সত্তা এবং পরিপূর্ণ নিখুঁত গুণাবলী ও নাম সমূহের উসিলায় আমি তোমার কাছে মিনতি করছি ।
أَنْ تَجْعَلَ أَوْقَاتِي مِنَ [فِي] اللَّيْلِ وَ النَّهَارِ بِذِكْرِكَ مَعْمُورَةً
আমার সমস্ত প্রহর, দিবা ও রাত্রি যেন তোমাকে স্মরণের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়
وَ بِخِدْمَتِكَ مَوْصُولَةً وَ أَعْمَالِي عِنْدَكَ مَقْبُولَةً
এবং একাধারে যেন তোমার উপাসনায় থাকতে পারি এবং আমার সকল কর্মকে তোমার গ্রহণযোগ্য করে তোলো
حَتَّى تَكُونَ أَعْمَالِي وَ أَوْرَادِي [إِرَادَتِي] كُلُّهَا وِرْدا وَاحِدا
যেন আমার আচরণ ও কথোপকথন সবই একই লক্ষ্যে বিশুদ্ধভাবে তোমার জন্যই সম্পাদিত হয়
وَ حَالِي فِي خِدْمَتِكَ سَرْمَدا
এবং আমার সমগ্রজীবন যেন ব্যয়িত হয় তোমার আনুগত্য চর্চায়।
يَا سَيِّدِي يَا مَنْ عَلَيْهِ مُعَوَّلِي يَا مَنْ إِلَيْهِ شَكَوْتُ أَحْوَالِي
হে আমার মালিক! যার উপর আমার সমস্ত ভরসা, যার কাছে আমি আমার সমস্ত দুর্দশার কথা খুলে বলি
يَا رَبِّ يَا رَبِّ يَا رَبِّ
"ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"! "ইয়া রব্ব"!
قَوِّ عَلَى خِدْمَتِكَ جَوَارِحِي وَ اشْدُدْ عَلَى الْعَزِيمَةِ جَوَانِحِي
তোমার দাসত্বের জন্য আমার দেহকে শক্তিশালী করে তোলো এবং লক্ষ্যের প্রতি আমার মনোবলকে দৃঢ় রাখো ;
وَ هَبْ لِيَ الْجِدَّ فِي خَشْيَتِكَ
আর আমার মধ্যে প্রদান কর খোদাভীতি
وَ الدَّوَامَ فِي الاتِّصَالِ بِخِدْمَتِكَ
এবং সর্বক্ষণ তোমার খেদমতের তীব্র আকাঙ্ক্ষা
حَتَّى أَسْرَحَ إِلَيْكَ فِي مَيَادِينِ السَّابِقِينَ
যেন আমি তোমাকে আনুগত্যের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তীদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে তোমার পানে অগ্রসর হতে পারি
وَ أُسْرِعَ إِلَيْكَ فِي الْبَارِزِينَ [الْمُبَادِرِينَ]
এবং তোমার দিকে ধাবমান সকল দ্রুতগামীর চেয়ে দ্রুততর তোমার কাছে পৌঁছাতে পারি
وَ أَشْتَاقَ إِلَى قُرْبِكَ فِي الْمُشْتَاقِينَ
আর যারা একাগ্রনিষ্ঠায় তোমার নৈকট্য লাভ করেছে তাদের মতোই যেন আমি নিজেকে তোমার নৈকট্য লাভের সাধনায় নিয়োজিত করতে পারি
وَ أَدْنُوَ مِنْكَ دُنُوَّ الْمُخْلِصِينَ
এবং বিশুদ্ধ ব্যক্তিদের মতোই যেন আমি তোমার নৈকট্যপ্রাপ্ত হতে পারি
وَ أَخَافَكَ مَخَافَةَ الْمُوقِنِينَ
এবং বিশ্বস্ত মনের অধিকারীগণ যেভাবে তোমাকে ভয় করে আমিও যেন সেভাবে ভয়ে চলতে পারি
وَ أَجْتَمِعَ فِي جِوَارِكَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ
এবং আমি যেন মুমিনদের সাথে তোমার অপার করুণার ছায়াতলে থাকতে পারি।
اللَّهُمَّ وَ مَنْ أَرَادَنِي بِسُوءٍ فَأَرِدْهُ
হে আল্লাহ্ ! যে আমার অনিষ্ট চায় তুমি তারই অনিষ্ট কর !
وَ مَنْ كَادَنِي فَكِدْهُ
আর যে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকেই ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত কর !
وَ اجْعَلْنِي مِنْ أَحْسَنِ عَبِيدِكَ نَصِيبا عِنْدَكَ
এবং আমাকে তোমার শ্রেষ্ঠ দাসদের সঙ্গে স্থান দান কর যা তোমার অনুগ্রহ ছাড়া অর্জন সম্ভব নয়
وَ أَقْرَبِهِمْ مَنْزِلَةً مِنْكَ وَ أَخَصِّهِمْ زُلْفَةً لَدَيْكَ
এবং আমাকে দান কর তোমার সর্বনিকটতম দাসদের ও একান্ত বিশেষ বান্দাদের অবস্থান
فَإِنَّهُ لا يُنَالُ ذَلِكَ إِلا بِفَضْلِكَ
নিশ্চয় তোমার অনুগ্রহ ও করুণা ব্যতীত এ স্থান লাভ করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়
وَ جُدْ لِي بِجُودِكَ وَ اعْطِفْ عَلَيَّ بِمَجْدِكَ
তোমার অনুগ্রহ থেকে আমাকে [ক্ষমা] দান কর এবং তোমার নিঃশর্ত করুণা থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না
وَ احْفَظْنِي بِرَحْمَتِكَ وَ اجْعَلْ لِسَانِي بِذِكْرِكَ لَهِجا
এবং তোমার অপার করুণায় আমাকে [দুনিয়া ও আখেরাতে] রক্ষা কর এবং আমার জিহ্বাকে সর্বক্ষণ তোমার গুণকীর্তনে পরিচালিত করো
وَ قَلْبِي بِحُبِّكَ مُتَيَّما
এবং আমার অন্তর যেন তোমার প্রেমে কাতর ও অস্থির হয়ে ওঠে
وَ مُنَّ عَلَيَّ بِحُسْنِ إِجَابَتِكَ
করুণা কর আমার প্রতি একটি দয়ার্দ্র প্রত্যুত্তর দিয়ে
وَ أَقِلْنِي عَثْرَتِي وَ اغْفِرْ زَلَّتِي
আমার পদস্খলনগুলো মুছে দাও এবং আমার ত্রুটিগুলো মার্জনা করে দাও!
فَإِنَّكَ قَضَيْتَ عَلَى عِبَادِكَ بِعِبَادَتِكَ
কেননা তুমিই তো তোমার বান্দাদের জন্য দয়া করে নির্ধারণ করেছো উপাসনাকে
وَ أَمَرْتَهُمْ بِدُعَائِكَ وَ ضَمِنْتَ لَهُمُ الْإِجَابَةَ
আদেশ করেছো প্রার্থনা জানাতে এবং নিশ্চয়তা দিয়েছো এসবের জবাব দানের
فَإِلَيْكَ يَا رَبِّ نَصَبْتُ وَجْهِي
তাই তোমার পানেই হে প্রতিপালক আমি মুখ ফিরিয়েছি
وَ إِلَيْكَ يَا رَبِّ مَدَدْتُ يَدِي
এবং তোমার দিকে ভিক্ষার হাত উঠিয়েছি, হে প্রতিপালক!
فَبِعِزَّتِكَ اسْتَجِبْ لِي دُعَائِي
অতএব তোমার মহামর্যাদার উসিলায় আমার দোয়া কবুল কর
وَ بَلِّغْنِي مُنَايَ وَ لا تَقْطَعْ مِنْ فَضْلِكَ رَجَائِي
এবং আমার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ কর। কিছুতেই আমাকে হতাশ করো না
وَ اكْفِنِي شَرَّ الْجِنِّ وَ الْإِنْسِ مِنْ أَعْدَائِي
এবং তুমি আমায় রক্ষা কর জ্বীন ও মানুষের মধ্যে যারা আমার শত্রু তাদের অনিষ্ট হতে
يَا سَرِيعَ الرِّضَا اغْفِرْ لِمَنْ لا يَمْلِكُ إِلا الدُّعَاءَ
হে [প্রভু ] যে তুমি দ্রুত সন্তুষ্ট হও! তাকে তুমি ক্ষমা কর দোয়া ছাড়া যার অন্য কোন সম্বল নেই
فَإِنَّكَ فَعَّالٌ لِمَا تَشَاءُ يَا مَنِ اسْمُهُ دَوَاءٌ
কেননা তোমার যা ইচ্ছা তুমি তো তাই করতে পার। হে [প্রভু ] যার নামে দূর্গতির মুক্তি
وَ ذِكْرُهُ شِفَاءٌ وَ طَاعَتُهُ غِنًى
যার স্মরণেই সমস্ত কষ্টের প্রতিকার এবং যার আনুগত্যেই সম্পদ
ارْحَمْ مَنْ رَأْسُ مَالِهِ الرَّجَاءُ وَ سِلاحُهُ الْبُكَاءُ
রহম করো তার উপর যার মূলধন শুধু আশা আর অবলম্বন শুধুই কান্না
يَا سَابِغَ النِّعَمِ يَا دَافِعَ النِّقَمِ
হে সমস্ত নেয়ামতের পূর্ণতাদানকারী ও সমস্ত দুর্যোগের ত্রাণকর্তা
يَا نُورَ الْمُسْتَوْحِشِينَ فِي الظُّلَمِ
হে অন্ধকারে পথভ্রান্ত একাকীদের দিশা আলোক!
الظُّلَمِ يَا عَالِما لا يُعَلَّمُ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
হে সর্বজ্ঞ! যাকে কখনো শিখানো হয়নি! মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরদের উপর শান্তি বর্ষণ করো
وَ افْعَلْ بِي مَا أَنْتَ أَهْلُهُ
এবং আমার প্রতি তা-ই করো যা করা তোমাকে মানায়
وَ صَلَّى اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ وَ الْأَئِمَّةِ الْمَيَامِينِ مِنْ آلِهِ [أَهْلِهِ] وَ سَلَّمَ تَسْلِيما [كَثِيرا]
শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর রাসূলের উপর এবং তাঁর বংশধরদের মধ্য হতে পবিত্র ইমামদের উপর এবং তাঁদের দান করো অপার ও অসীম প্রশান্তি ।
একটি ছেলে ও তিনটি প্রশ্ন
| comments (1)
অনেক বছর আগে, তাবেয়ীনদের সময়ে (সাহাবীদের পরের সময়ে). সেই সময়ে বাগদাদ ছিল ইসলামের এক বিখ্যাত শহর. ইসলামিক সাম্রাজ্যের রাজধানী. কারণ বিখ্যাত সব আলেম এখানে বসবাস করতেন. এটি ছিল ইসলামিক জ্ঞানের কেন্দ্র. একদিন রোমের রাজা একজন দূতকে মুসলিমদের উদ্দ্যেশে তিনটি প্রশ্নসহ পাঠালেন; দূত শহরে এসে খলিফাকে জানালেন যে সে রোমের রাজার কাছ থেকে তিনটি প্রশ্ন এনেছেন মুসলিমদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন তার উত্তর দেওয়ার জন্য. খলিফা সকল আলেমদের একত্র হতে বললেন এবং রোমান দূত একটি উচু স্থানে দাড়ালেন এবং বললেন,আমি এসেছি তিনটি প্রশ্ন নিয়ে যদি আপনারা এর উত্তর দিতে পারেন আমি এ স্থান ত্যাগ করব প্রচুর সম্পদ রেখে যা আমাকে রোমের রাজা সংগে দিয়ে দিয়েছেন. প্রশ্নগুলো হল,
সে বলল, হ্যা. তাহলে ১০ থেকে উল্টো দিকে গুনুন. রোমান গুনছে,১০,৯,৮,….১ পর্যন্ত গিয়ে সে গুনা থামাল.
ছেলেটি জিজ্ঞেস করল, ১-এর আগে কি?
১-এর আগে তো কিছুই নেই, জবাবে বলল রোমান.
ঠিক আছে গাণিতিক একের আগে যদি কিছুই না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে আশা করেন কি থাকবে এই ‘এক’-এর আগে যা নিশ্চিত সত্য,শাশ্বত,চিরস্থায়ী,সুস্পষ্ট. ছেলেটির স্পষ্ট উত্তরে লোকটি হতবিম্বল হয়ে গেল কিছু অস্বীকার করতে পারল না.
এরপর সে জিজ্ঞেস করল, তাহলে এখন বল, আল্লাহ কোন দিকে মুখ করে আছেন?
বালকটি বলল, একটা মোমবাতি আনেন তাতে আগুন জ্বালান; মোমবাতি জ্বালানো হল; বালকটি দূতকে জিজ্ঞেস করল, এখন বলুন আগুনের শিখা কোন দিকে মুখ করে আছে?
সে বলল এটাতো চতুর্দিকেই আলো ছড়াচ্ছে; এটা কোন এক দিকে নির্দিষ্ট নেই.
তখন ছেলেটি বলল, যদি এই বস্তু চতুর্দিকেই আলো ছড়াতে পারে; তাহলে আপনি কিভাবে এরকম অনুমান করতে পারেন আল্লাহ সম্পর্কে যিনি আকাশ ও পৃথিবীর অধিপতি; সকল আলোর আলো; আল্লাহ সকল দিকে যেকোন সময় মুখ করে থাকেন.
রোমান দূত বোকা বনে গেল.
তিনি অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হলেন এতটুকু একটি ছেলে তার সব প্রশ্নের এত সাবলীলভাবে উত্তর দিচ্ছে যে তার যুক্তি-প্রমাণের কাছে সে কোনরুপ দ্বিমত পোষণ করতে পারছে না. তাই সে বেপরোয়াভাবে তার শেষ প্রশ্নটি করতে উদ্বত হল. কিন্তু প্রশ্ন করার আগে
ছেলেটি বলল, থামুন এখানে একমাত্র আপনি শুধু প্রশ্ন করছেন আর একমাত্র আমি সে প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি;এটা তখনই স্বচ্ছ হবে যদি আপনি উপর থেকে আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে আসবেন আর আমি আপনার জায়গায় যাই যাতে উত্তরগুলো প্রশ্নগুলোর মত সবাই স্পষ্ট শুনতে পারে.
এ আহবান রোমান দুতের যুক্তিসন্মত মনে হল; তাই সে উপর থেকে নীচে নেমে এল ছেলেটি উচু স্থানে দাড়াল; তখন দূত কয়েকবার জোরে জোরে তার শেষ প্রশ্নটি করল, বল এখন আল্লাহ কি করছেন?
ছেলেটি বলল, এই মুহুর্তে যখন আল্লাহ কোন উচু জায়গায় এক মিথ্যাবাদী খুজে পান, তখন তিনি তাকে নীচে নামিয়ে আনেন; এবং যে আল্লাহর একত্ব বিশ্বাস করে তিনি তাকে উপরে উঠান ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত করেন; প্রতিক্ষণ আল্লাহ মহাবিশ্বময় শক্তির অনুশীলন করেন. (আল কুরআন-৫৫;২৯)
রোমান দুতের আর কিছু বলার থাকল না সেই স্থান ত্যাগ করা ছাড়া. এই ছেলেটি পরবর্তীতে বড় হয়ে ইসলামের এক মহান জ্ঞানী পন্ডিত হিসেবে আবির্ভূত হন; তার নাম ইমাম আবু হানিফা; আল্লাহ তার সহায় হোন.আমীন
- আল্লাহর আগে কি ছিল?
- আল্লাহ কোন দিকে মুখ করে আছেন?
- এই মুহুর্তে আল্লাহ কোন কাজে নিয়োজিত আছেন?
সে বলল, হ্যা. তাহলে ১০ থেকে উল্টো দিকে গুনুন. রোমান গুনছে,১০,৯,৮,….১ পর্যন্ত গিয়ে সে গুনা থামাল.
ছেলেটি জিজ্ঞেস করল, ১-এর আগে কি?
১-এর আগে তো কিছুই নেই, জবাবে বলল রোমান.
ঠিক আছে গাণিতিক একের আগে যদি কিছুই না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে আশা করেন কি থাকবে এই ‘এক’-এর আগে যা নিশ্চিত সত্য,শাশ্বত,চিরস্থায়ী,সুস্পষ্ট. ছেলেটির স্পষ্ট উত্তরে লোকটি হতবিম্বল হয়ে গেল কিছু অস্বীকার করতে পারল না.
এরপর সে জিজ্ঞেস করল, তাহলে এখন বল, আল্লাহ কোন দিকে মুখ করে আছেন?
বালকটি বলল, একটা মোমবাতি আনেন তাতে আগুন জ্বালান; মোমবাতি জ্বালানো হল; বালকটি দূতকে জিজ্ঞেস করল, এখন বলুন আগুনের শিখা কোন দিকে মুখ করে আছে?
সে বলল এটাতো চতুর্দিকেই আলো ছড়াচ্ছে; এটা কোন এক দিকে নির্দিষ্ট নেই.
তখন ছেলেটি বলল, যদি এই বস্তু চতুর্দিকেই আলো ছড়াতে পারে; তাহলে আপনি কিভাবে এরকম অনুমান করতে পারেন আল্লাহ সম্পর্কে যিনি আকাশ ও পৃথিবীর অধিপতি; সকল আলোর আলো; আল্লাহ সকল দিকে যেকোন সময় মুখ করে থাকেন.
রোমান দূত বোকা বনে গেল.
তিনি অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হলেন এতটুকু একটি ছেলে তার সব প্রশ্নের এত সাবলীলভাবে উত্তর দিচ্ছে যে তার যুক্তি-প্রমাণের কাছে সে কোনরুপ দ্বিমত পোষণ করতে পারছে না. তাই সে বেপরোয়াভাবে তার শেষ প্রশ্নটি করতে উদ্বত হল. কিন্তু প্রশ্ন করার আগে
ছেলেটি বলল, থামুন এখানে একমাত্র আপনি শুধু প্রশ্ন করছেন আর একমাত্র আমি সে প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি;এটা তখনই স্বচ্ছ হবে যদি আপনি উপর থেকে আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে আসবেন আর আমি আপনার জায়গায় যাই যাতে উত্তরগুলো প্রশ্নগুলোর মত সবাই স্পষ্ট শুনতে পারে.
এ আহবান রোমান দুতের যুক্তিসন্মত মনে হল; তাই সে উপর থেকে নীচে নেমে এল ছেলেটি উচু স্থানে দাড়াল; তখন দূত কয়েকবার জোরে জোরে তার শেষ প্রশ্নটি করল, বল এখন আল্লাহ কি করছেন?
ছেলেটি বলল, এই মুহুর্তে যখন আল্লাহ কোন উচু জায়গায় এক মিথ্যাবাদী খুজে পান, তখন তিনি তাকে নীচে নামিয়ে আনেন; এবং যে আল্লাহর একত্ব বিশ্বাস করে তিনি তাকে উপরে উঠান ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত করেন; প্রতিক্ষণ আল্লাহ মহাবিশ্বময় শক্তির অনুশীলন করেন. (আল কুরআন-৫৫;২৯)
রোমান দুতের আর কিছু বলার থাকল না সেই স্থান ত্যাগ করা ছাড়া. এই ছেলেটি পরবর্তীতে বড় হয়ে ইসলামের এক মহান জ্ঞানী পন্ডিত হিসেবে আবির্ভূত হন; তার নাম ইমাম আবু হানিফা; আল্লাহ তার সহায় হোন.আমীন
হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ) : ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম নারী
| comments
দশই রমজান ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম নারী ও সর্বশেষ্ঠ নবীর প্রিয়তম সহধর্মিনী হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ)-র মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে আমরা হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ)-র জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা করব।
মক্কাবাসীর কাছে 'তাহিরা' বা 'পবিত্র' নামে খ্যাত খাদিজা (সাঃ আঃ)-র ইন্তেকালের পর রাসূল (সাঃ) আরও একা হয়ে পড়েন। কারণ এর কিছু দিন আগে রাসূল তার প্রিয় চাচা আবু তালিবকে হারান। দুই প্রিয় মানুষকে হারিয়ে রাসূল(সাঃ) এত বেশী শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন যে, ঐ বছরকে তিনি 'শোক বর্ষ' হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। খাজিদা(সাঃআঃ)-র ইন্তেকালের পর রাসূল (সাঃ) ভীষণ কেদেছেন। তিনি কেঁদে কেঁদে বলেছেন, "খাদিজা তুলনাহীন। সবাই যখন আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, সে সময় আমি তার সর্বাত্বক সমর্থন পেয়েছি, পেয়েছি সার্বিক সহযোগিতা। ইসলাম প্রচার ও প্রসারে খাদিজা তার অর্থ-সম্পদ দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে।
আরবের কোরাইশ বংশের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ)। কিন্তু তার পরও খাদিজা (সাঃ আঃ) অত্যন্ত সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। তিনি জন্মের পর থেকেই একত্ববাদী ছিলেন। ইসলাম আবির্ভাবের আগে তিনি ইব্রাহিম (আঃ)-র ধর্মে বিশ্বাস করতেন। তৎকালীন সমাজে সৎকর্ম ও দানশীলতার ক্ষেত্রে হযরত খাদিজার সমকক্ষ কেউ ছিলেন না। তিনি ছিলেন হিজাজের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী। বিজ্ঞ ও সুদূর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গীর অধিকারী খাদিজা (সাঃ আঃ)-র আধ্যাত্মিকতার প্রতি ব্যপক ঝোঁক ছিল। খাদিজা (সাঃ আঃ) সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর আবির্ভাবের অপেক্ষায় ছিলেন এবং তিনি আরবের সচেতন ও শিক্ষিত প্রবীণদের কাছে শেষ নবীর নিদর্শন সম্পর্কে মাঝেমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করতেন। কিন্তু কি সৌভাগ্য নবুয়্যতপ্রাপ্তির আগেই রাসূলের সাথে পরিচয় ঘটল হযরত খাদিজার। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিজের ব্যবসায়িক কাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় পাঠালেন। এরপরই বিবি খাদিজার কাছে রাসূলের সৎ গুণাবলীগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলো। খাদিজা (সাঃআঃ) বুঝতে পারলেন, সমাজের অতুলনীয় ও পবিত্রতম পুরুষ হচ্ছেন মুহাম্মদ (সাঃ)।
হযরত খাদিজা আরও বুঝতে পারলেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানবিক গুণাবলীতে অনন্য এবং তিনি বঞ্চিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠা চান। রাসূলের এসব গুণাবলী হযরত খাদিজাকে আকৃষ্ট করে। এরপরই তিনি রাসূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমার আমানতদারি, সচ্চরিত্র, সত্যবাদিতা, ভদ্রতা ও মর্যাদা আমাকে তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছে। এরপরই তিনি রাসূলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান এবং দু'জনের মধ্যে দাম্পত্য জীবন শুরু হয়।
বিবি খাদিজা জানতেন যে, রাসূলের সাথে বিয়ে হলে তিনি তাকে ঐশী পথে পরিচালিত করবেন। তবে খাদিজা (সাঃ আঃ)-র বিয়েকে তৎকালীন সমাজ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। তৎকালীন অন্ধকার যুগে সামাজিক সম্পর্কের মাপকাঠি ছিল অর্থ-সম্পদ। এ কারণেই খাদিজা (সাঃ আঃ) সম্পদহীন রাসূল (সাঃ)-কে বিয়ে করায় অনেকেই তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে। কুরাইশ বংশের এক দল অহংকারী ও নিন্দুক মহিলা খাদিজা (সাঃ আঃ) কটাক্ষ করে বলতো, তোমার এতো আভিজাত্য ও সম্পদের অধিকারী হবার পরও কেন দরিদ্র এক যুবককে বিয়ে করলে?
খাদিজা (সাঃ আঃ) এর জবাবে বলেছিলেন, "এই সমাজে মুহাম্মদ (সাঃ)-র মতো আর কেউ কি আছে? তার মতো সচ্চরিত্রবান ও মর্যাদাবান দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে কি তোমরা চেন? আমি তার সৎ গুণাবলীর কারণেতাকে বিয়ে করেছি।" কিন্তু সেই সমাজের গোড়া ও মুর্খ মানুষের কাছে বিবি খাদিজার যুক্তি বোধগম্য ছিলো না। এ কারণে হিজাজের জেদি মহিলারা হযরত খাদিজার সাথে শত্রুর মতো আচরণ করেছে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-র নবুয়্যত প্রাপ্তির পর ঐসব মহিলার বিদ্বেষ আরও বেড়ে যায় এবং এই বিদ্বেষের মাত্রা এত বেশি ছিল যে, খাদিজা (সাঃ আঃ)-কে তারা তার সন্তান প্রসবের সময় বিন্দু পরিমাণ সহযোগিতাও করেনি। সবমিলিয়ে হযরত খাদিজা(সাঃআঃ) ঐ সমাজে একা হয়ে পড়েছিলেন। তৎকালীন সমাজের নারীরা তাকে সহযোগিতা না করলেও আল্লাহ তার সহযোগিতায় পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত মহিলাদেরকে পাঠিয়েছিলেন।
বিপুল সম্পদের মালিক এবং সমাজে ব্যাপক প্রভাবশালী হবার পরও রাসূলের সাথে খাদিজা (সাঃ আঃ)-র ব্যবহার ছিল অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ। তার আচার-ব্যবহারে অহমিকার লেশ মাত্র ছিল না। আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীর প্রতি রাসূলের ব্যাপক আগ্রহের বিষয়ে তিনি ভালো ভাবে অবহিত ছিলেন। একারণে বিবি খাদিজা তার সাথে এমন ভাবে আচরন করতেন যে, রাসূলের ইবাদত-বন্দেগীতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে। নবুয়্যত লাভের আগে রাসূল (সাঃ) প্রতিমাসে কয়েক বার করে নূর পাহাড়ের চূড়ায় হেরা গুহায় যেতেন। আর মহিয়সী নারী বিবি খাদিজা হাসি মুখে রাসূলকে বিদায় জানাতেন। হযরত আলী (আঃ)-কে দিয়ে তিনি গুহায় নিয়মিত খাবার পাঠাতেন। কখনো কখনো তিনি নিজেও আলী (আঃ)-র সাথে হেরা গুহায় যেতেন। নবুয়্যত লাভের পর রাসূলের অনেক আত্মীয়-স্বজন তাকে প্রত্যাখ্যান করলেও বিবি খাদিজা, রাসূল (সাঃ)-কে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন। হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ) বিনা বাক্যে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি শুধু মুখে ঈমান আনেননি সমগ্র অস্তিত্ব দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত হন। তিনি ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তার সকল সম্পদ রাসূলকে উপহার দিয়েছিলেন। শোয়াবে আবু তালিব নামক উপত্যকায় মুসলমানরা যখন বিচ্ছিন্ন ও অবরোধের শিকার হয়েছিল, তখন বিবি খাদিজার আর্থিক সহযোগিতা মুসলমানদের টিকে থাকতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। অর্থনৈতিক সংকট দূর হবার পরও হযরত খাদিজার সহযোগিতা মুসলমানদের পথ চলতে সহযোগিতা করেছে।
খাদিজা (সাঃ আঃ) ছিলেন অত্যন্ত ধৈয্যশীল ও সহিষ্ণু। মানব মুক্তির দূত সর্বশেষ নবী রাসূল (সাঃ)-র প্রতি তার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। এ কারণে নবুয়্যত প্রাপ্তির আগে ও পরে রাসূলের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে তিনি সর্বদায় সচেষ্ট ছিলেন। কোন কারণে রাসূল (সাঃ)-র মন খারাপ থাকলে তিনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিতেন। রাসূলের সকল কাজে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। বলতে গেলে হযরত খাদিজা ছিলেন, রাসূলের এক যোগ্য উপদেষ্টা। মুসলিম ইতিহাসবিদ ইবনে হেশাম লিখেছেন, হযরত খাদিজা রাসূলের প্রতি ঈমান আনেন। রাসূলের বক্তব্যকে সমর্থন করেন এবং তাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা দেন। আল্লাহতায়ালা হযরত খাদিজার মাধ্যমে রাসূলকে প্রশান্তি দিতেন। রাসূলের কানে কখনোই দু:সংবাদ পৌছানো হতো না যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহ খাদিজার মাধ্যমে ঐ খবর শ্রবনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতেন।
ইতিহাসে এসেছে মক্কার মুশরিকরা একদিন পাথর নিক্ষেপ করে রাসূলকে আহত করে এবং তারা পেছনে পেছনে হযরত খাদিজার বাড়ী পর্যন্ত আসে। এর পর খাদিজা (সাঃ আঃ)-র ঘরেও পাথর নিক্ষেপ করে। এ সময় খাদিজা (সাঃ আঃ) ঘর থেকে বেরিয়ে মুশরিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, "লজ্জা করেনা তোমরা তোমাদের বংশের সবচেয়ে মহানুভব মহিলার ঘরে পাথর নিক্ষেপ করছো? এ কথা শুনে মুশরিকরা লজ্জিত হয়ে চলে যায়। এরপর বিবি খাদিজা রাসূলের জখমের চিকিৎসা করেন। এ সময় রাসূল (সাঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত খাদিজার প্রতি সালাম পৌছান এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করার সুসংবাদ দেন। হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ)-কে বেহেশতের মধ্যে কারুকার্যখচিত একটি বিরাট অট্রালিকা দেয়া হবে বলে আল্লাহতায়ালা জানিয়ে দেন, যেখানে কোন দুঃখ-কষ্টের অস্তিত্ব থাকবে না ।
আসলে মুসলমানদের উপর অবরোধ আরোপিত হবার পর হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ) অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। এ সময় সম্পদ ও আভিজাত্যের মধ্যে বেড়ে উঠা বিবি খাদিজা দীর্ঘ দিন ধরে শুষ্ক এক উপত্যকায় কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করেছেন। ইসলামের জন্য তার অঢেল সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছিলেন। ঐ উপত্যকায় কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করার কারণে হযরত খাদিজার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। তিনি মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর ফলেই তার মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়।
হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) মৃত্যুশয্যায় সর্বশেষ যে কথাটি রাসূল (সাঃ)কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন তা হলো, "হে রাসূল আমি আপনার সব অধিকার পরিপূর্ণ ভাবে রক্ষা করতে পারিনি, আমাকে ক্ষমা করে দিন।" আল্লাহর রাসূল ও ইসলামের জন্য এত ত্যাগ-তিতিক্ষার পরও যেন তার মনে ভরেনি। তিনি ইসলাম ও রাসূলের জন্য আরও কষ্ট করতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু মানুষের আয়ু তো নির্দিষ্ট। কাজেই রাসূলকে ছেড়ে তার চলে যেতেই হয়েছে। ইসলামের এই মহীয়সী নারী ৬১৭ খ্রিস্টাব্দের ১০ই রমজান ৬৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
মক্কাবাসীর কাছে 'তাহিরা' বা 'পবিত্র' নামে খ্যাত খাদিজা (সাঃ আঃ)-র ইন্তেকালের পর রাসূল (সাঃ) আরও একা হয়ে পড়েন। কারণ এর কিছু দিন আগে রাসূল তার প্রিয় চাচা আবু তালিবকে হারান। দুই প্রিয় মানুষকে হারিয়ে রাসূল(সাঃ) এত বেশী শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন যে, ঐ বছরকে তিনি 'শোক বর্ষ' হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। খাজিদা(সাঃআঃ)-র ইন্তেকালের পর রাসূল (সাঃ) ভীষণ কেদেছেন। তিনি কেঁদে কেঁদে বলেছেন, "খাদিজা তুলনাহীন। সবাই যখন আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, সে সময় আমি তার সর্বাত্বক সমর্থন পেয়েছি, পেয়েছি সার্বিক সহযোগিতা। ইসলাম প্রচার ও প্রসারে খাদিজা তার অর্থ-সম্পদ দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে।
আরবের কোরাইশ বংশের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ)। কিন্তু তার পরও খাদিজা (সাঃ আঃ) অত্যন্ত সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। তিনি জন্মের পর থেকেই একত্ববাদী ছিলেন। ইসলাম আবির্ভাবের আগে তিনি ইব্রাহিম (আঃ)-র ধর্মে বিশ্বাস করতেন। তৎকালীন সমাজে সৎকর্ম ও দানশীলতার ক্ষেত্রে হযরত খাদিজার সমকক্ষ কেউ ছিলেন না। তিনি ছিলেন হিজাজের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী। বিজ্ঞ ও সুদূর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গীর অধিকারী খাদিজা (সাঃ আঃ)-র আধ্যাত্মিকতার প্রতি ব্যপক ঝোঁক ছিল। খাদিজা (সাঃ আঃ) সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর আবির্ভাবের অপেক্ষায় ছিলেন এবং তিনি আরবের সচেতন ও শিক্ষিত প্রবীণদের কাছে শেষ নবীর নিদর্শন সম্পর্কে মাঝেমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করতেন। কিন্তু কি সৌভাগ্য নবুয়্যতপ্রাপ্তির আগেই রাসূলের সাথে পরিচয় ঘটল হযরত খাদিজার। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিজের ব্যবসায়িক কাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় পাঠালেন। এরপরই বিবি খাদিজার কাছে রাসূলের সৎ গুণাবলীগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলো। খাদিজা (সাঃআঃ) বুঝতে পারলেন, সমাজের অতুলনীয় ও পবিত্রতম পুরুষ হচ্ছেন মুহাম্মদ (সাঃ)।
হযরত খাদিজা আরও বুঝতে পারলেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানবিক গুণাবলীতে অনন্য এবং তিনি বঞ্চিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠা চান। রাসূলের এসব গুণাবলী হযরত খাদিজাকে আকৃষ্ট করে। এরপরই তিনি রাসূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমার আমানতদারি, সচ্চরিত্র, সত্যবাদিতা, ভদ্রতা ও মর্যাদা আমাকে তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছে। এরপরই তিনি রাসূলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান এবং দু'জনের মধ্যে দাম্পত্য জীবন শুরু হয়।
বিবি খাদিজা জানতেন যে, রাসূলের সাথে বিয়ে হলে তিনি তাকে ঐশী পথে পরিচালিত করবেন। তবে খাদিজা (সাঃ আঃ)-র বিয়েকে তৎকালীন সমাজ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। তৎকালীন অন্ধকার যুগে সামাজিক সম্পর্কের মাপকাঠি ছিল অর্থ-সম্পদ। এ কারণেই খাদিজা (সাঃ আঃ) সম্পদহীন রাসূল (সাঃ)-কে বিয়ে করায় অনেকেই তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে। কুরাইশ বংশের এক দল অহংকারী ও নিন্দুক মহিলা খাদিজা (সাঃ আঃ) কটাক্ষ করে বলতো, তোমার এতো আভিজাত্য ও সম্পদের অধিকারী হবার পরও কেন দরিদ্র এক যুবককে বিয়ে করলে?
খাদিজা (সাঃ আঃ) এর জবাবে বলেছিলেন, "এই সমাজে মুহাম্মদ (সাঃ)-র মতো আর কেউ কি আছে? তার মতো সচ্চরিত্রবান ও মর্যাদাবান দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে কি তোমরা চেন? আমি তার সৎ গুণাবলীর কারণেতাকে বিয়ে করেছি।" কিন্তু সেই সমাজের গোড়া ও মুর্খ মানুষের কাছে বিবি খাদিজার যুক্তি বোধগম্য ছিলো না। এ কারণে হিজাজের জেদি মহিলারা হযরত খাদিজার সাথে শত্রুর মতো আচরণ করেছে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-র নবুয়্যত প্রাপ্তির পর ঐসব মহিলার বিদ্বেষ আরও বেড়ে যায় এবং এই বিদ্বেষের মাত্রা এত বেশি ছিল যে, খাদিজা (সাঃ আঃ)-কে তারা তার সন্তান প্রসবের সময় বিন্দু পরিমাণ সহযোগিতাও করেনি। সবমিলিয়ে হযরত খাদিজা(সাঃআঃ) ঐ সমাজে একা হয়ে পড়েছিলেন। তৎকালীন সমাজের নারীরা তাকে সহযোগিতা না করলেও আল্লাহ তার সহযোগিতায় পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত মহিলাদেরকে পাঠিয়েছিলেন।
বিপুল সম্পদের মালিক এবং সমাজে ব্যাপক প্রভাবশালী হবার পরও রাসূলের সাথে খাদিজা (সাঃ আঃ)-র ব্যবহার ছিল অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ। তার আচার-ব্যবহারে অহমিকার লেশ মাত্র ছিল না। আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীর প্রতি রাসূলের ব্যাপক আগ্রহের বিষয়ে তিনি ভালো ভাবে অবহিত ছিলেন। একারণে বিবি খাদিজা তার সাথে এমন ভাবে আচরন করতেন যে, রাসূলের ইবাদত-বন্দেগীতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে। নবুয়্যত লাভের আগে রাসূল (সাঃ) প্রতিমাসে কয়েক বার করে নূর পাহাড়ের চূড়ায় হেরা গুহায় যেতেন। আর মহিয়সী নারী বিবি খাদিজা হাসি মুখে রাসূলকে বিদায় জানাতেন। হযরত আলী (আঃ)-কে দিয়ে তিনি গুহায় নিয়মিত খাবার পাঠাতেন। কখনো কখনো তিনি নিজেও আলী (আঃ)-র সাথে হেরা গুহায় যেতেন। নবুয়্যত লাভের পর রাসূলের অনেক আত্মীয়-স্বজন তাকে প্রত্যাখ্যান করলেও বিবি খাদিজা, রাসূল (সাঃ)-কে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন। হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ) বিনা বাক্যে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি শুধু মুখে ঈমান আনেননি সমগ্র অস্তিত্ব দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত হন। তিনি ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তার সকল সম্পদ রাসূলকে উপহার দিয়েছিলেন। শোয়াবে আবু তালিব নামক উপত্যকায় মুসলমানরা যখন বিচ্ছিন্ন ও অবরোধের শিকার হয়েছিল, তখন বিবি খাদিজার আর্থিক সহযোগিতা মুসলমানদের টিকে থাকতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। অর্থনৈতিক সংকট দূর হবার পরও হযরত খাদিজার সহযোগিতা মুসলমানদের পথ চলতে সহযোগিতা করেছে।
খাদিজা (সাঃ আঃ) ছিলেন অত্যন্ত ধৈয্যশীল ও সহিষ্ণু। মানব মুক্তির দূত সর্বশেষ নবী রাসূল (সাঃ)-র প্রতি তার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। এ কারণে নবুয়্যত প্রাপ্তির আগে ও পরে রাসূলের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে তিনি সর্বদায় সচেষ্ট ছিলেন। কোন কারণে রাসূল (সাঃ)-র মন খারাপ থাকলে তিনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিতেন। রাসূলের সকল কাজে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। বলতে গেলে হযরত খাদিজা ছিলেন, রাসূলের এক যোগ্য উপদেষ্টা। মুসলিম ইতিহাসবিদ ইবনে হেশাম লিখেছেন, হযরত খাদিজা রাসূলের প্রতি ঈমান আনেন। রাসূলের বক্তব্যকে সমর্থন করেন এবং তাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা দেন। আল্লাহতায়ালা হযরত খাদিজার মাধ্যমে রাসূলকে প্রশান্তি দিতেন। রাসূলের কানে কখনোই দু:সংবাদ পৌছানো হতো না যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহ খাদিজার মাধ্যমে ঐ খবর শ্রবনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতেন।
ইতিহাসে এসেছে মক্কার মুশরিকরা একদিন পাথর নিক্ষেপ করে রাসূলকে আহত করে এবং তারা পেছনে পেছনে হযরত খাদিজার বাড়ী পর্যন্ত আসে। এর পর খাদিজা (সাঃ আঃ)-র ঘরেও পাথর নিক্ষেপ করে। এ সময় খাদিজা (সাঃ আঃ) ঘর থেকে বেরিয়ে মুশরিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, "লজ্জা করেনা তোমরা তোমাদের বংশের সবচেয়ে মহানুভব মহিলার ঘরে পাথর নিক্ষেপ করছো? এ কথা শুনে মুশরিকরা লজ্জিত হয়ে চলে যায়। এরপর বিবি খাদিজা রাসূলের জখমের চিকিৎসা করেন। এ সময় রাসূল (সাঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত খাদিজার প্রতি সালাম পৌছান এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করার সুসংবাদ দেন। হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ)-কে বেহেশতের মধ্যে কারুকার্যখচিত একটি বিরাট অট্রালিকা দেয়া হবে বলে আল্লাহতায়ালা জানিয়ে দেন, যেখানে কোন দুঃখ-কষ্টের অস্তিত্ব থাকবে না ।
আসলে মুসলমানদের উপর অবরোধ আরোপিত হবার পর হযরত খাদিজা (সাঃ আঃ) অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। এ সময় সম্পদ ও আভিজাত্যের মধ্যে বেড়ে উঠা বিবি খাদিজা দীর্ঘ দিন ধরে শুষ্ক এক উপত্যকায় কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করেছেন। ইসলামের জন্য তার অঢেল সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছিলেন। ঐ উপত্যকায় কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করার কারণে হযরত খাদিজার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। তিনি মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর ফলেই তার মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়।
হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) মৃত্যুশয্যায় সর্বশেষ যে কথাটি রাসূল (সাঃ)কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন তা হলো, "হে রাসূল আমি আপনার সব অধিকার পরিপূর্ণ ভাবে রক্ষা করতে পারিনি, আমাকে ক্ষমা করে দিন।" আল্লাহর রাসূল ও ইসলামের জন্য এত ত্যাগ-তিতিক্ষার পরও যেন তার মনে ভরেনি। তিনি ইসলাম ও রাসূলের জন্য আরও কষ্ট করতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু মানুষের আয়ু তো নির্দিষ্ট। কাজেই রাসূলকে ছেড়ে তার চলে যেতেই হয়েছে। ইসলামের এই মহীয়সী নারী ৬১৭ খ্রিস্টাব্দের ১০ই রমজান ৬৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
রাসূল সাঃ-এর শেষ ভাষণ
| comments
দশম হিজরি। জিলহজ মাস। ২৩ বছর আগে হেরাগুহায় জ্বলে উঠেছিল সত্যের আলো। আজ তা পূর্ণতায় উপনীত। এক কঠিন দায়িত্ব নিয়ে তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন এ পৃথিবীতে। ২৩ বছর কঠিন পরিশ্রম, সংগ্রাম, অপরীসীম কোরবানি ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল। তা আজ সমাপ্তির পথে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন মানুষের কাছে দূত হিসেবে তা আজ পূর্ণতার পথে। দীর্ঘ ২৩ বছর তিনি সাধনা করে একটি রাষ্ট্র গঠন করলেন। গঠন করলেন শোষণমুক্ত জুলুমহীন ন্যায়বিচারের সমাজ। গড়ে তুললেন তাওহিদভিত্তিক নব সভ্যতার এক নতুন জাতি মুসলিম উম্মাহ।
তাই নবী করীম সাঃ সঙ্গীসাথীসহ হজের উদ্দেশ্যে মক্কা নগরীতে গমন করেন এবং হজ সম্পাদন করেন। আজ লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে ইব্রাহীম আঃ ও ইসমাইল আঃ যেখানে দাঁড়িয়ে কাবার প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে এক মুসলিম উম্মাহ গঠনের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেছিলেন। মুসলমানরা আজ মাকামে ইবরাহীমে সমবেত। ৯ জিলহজ রাসূল সাঃ সব মানুষের সামনে দাঁড়ালেন। মহানবী সাঃ প্রথমে আল্লাহ তা’য়ালার প্রশংসা করলেন। এরপর তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ পেশ করলেন তিনি বললেন, সমবেত জনতা
১. আজ সকল প্রকার কুসংস্কার অন্ধ বিশ্বাস এবং সকল প্রকার অনাচার আমার পদতলে দলিত-মথিত হয়ে গেল।
২. তোমরা তোমাদের দাসদাসীদের সাথে ভালো ব্যবহার করো। তাদের সাথে তোমরা খারাপ ব্যবহার কোরো না। তাদের ওপর নির্যাতন করবে না। তোমরা যা খাবে তাদেরকে তোমরা তাই খেতে দিবে। তোমরা যে বস্ত্র পরিধান করবে তাদেরকে তাই পরিধান করতে দিবে। মনে রেখো তারাও মানুষ তোমরাও মানুষ। এরাও একই আল্লাহর সৃষ্টি।
৩. সাবধান! নারীদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে। তাদের ওপর কখনো অন্যায়-অত্যাচার করবে না। কেননা তারা হলো অবলা। কেননা তাদের দায়িত্ব তোমাদের ওপরই। তোমাদের যেমন নারীদের ওপর অধিকার আছে। তেমনি তোমাদের ওপরও নারীদের অধিকার আছে। দয়া ও ভালোবাসার মাধ্যমে তাদের সাথে আচরণ করবে।
৪. আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না। কারণ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে সে কুফুরি করল।
৫. সুদ ঘুষ রক্তপাত অন্যায় অবিচার জুলুম নির্যাতন কোরো না। কারণ এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। আর মুসলমান পরস্পর ভ্রাতৃসমাজ।
৬. তোমরা মিথ্যা বোলো না। কারণ মিথ্যা সব পাপ কজের মূল। কারণ মিথ্যাই বিপদ ডেকে আনে।
৭. চুরি কোরো না। ব্যভিচার কোরো না। সর্বপ্রকার মলিনতা হতে দূরে থেকো। পবিত্রভাবে জীবনযাপন করো। সাবধান! শয়তান থেকে তোমরা দূরে থেকো। তোমরা কোনো একটি কাজকে খুব সামান্য মনে করবে, কিন্তু শয়তান এসবের মাধ্যমে তোমাদের সর্বনাশ করিয়ে ছাড়বে।
৮. তোমরা তোমাদের আমীরের আদেশ অমান্য করবে না। যদিও হাবশি নাক কাটা গোলাম হয়। তোমরা তার আনুগত্য করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সে আল্লাহর দীনের ওপর থাকবে।
৯. ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি কোরো না। কারণ তোমাদের পূর্ব-পুরুষেরা এই কারণে ধ্বংস হয়েছে।
১০. বংশের গৌরব কোরো না। যে ব্যক্তি নিজ বংশকে হেয় প্রতিপন্ন করে অপর বংশের পরিচয় দেয় তার ওপর আল্লাহর অভিশাপ।
১১. তোমরা তোমাদের প্রভুর এবাদত করবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে। রোজা রাখবে, তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, তবেই তোমরা জান্নাতি হতে পারবে।
১২. আমি আমার পরে তোমাদের জন্য যা রেখে যাচ্ছি তা তোমরা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে রাখবে। তার ওপর আমল করবে। তাহলে তোমাদের পতন ঘটবে না। আর তা হচ্ছে আল্লাহর কুরআন ও নবীর সুন্নত।
১৩. তোমরা ভালোভাবে জেনে রাখো আমিই সর্বশেষ নবী আমার পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আমিই আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। আমার এই সকল বাণী তোমরা যারা শুনেছ তারা যারা অনুপস্থিত তাদের নিকট পৌঁছে দিবে।
মহানবী সাঃ ভাষণ শেষ করলেন। এবং তাঁর চেহারা মোবারক উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তিনি করুণ স্বরে করুণভাবে আকাশ পানে তাকালেন এবং তিনি বললেন, ‘হে মহান প্রভু! হে পরওয়ার দিগার! আমি কি তোমার দীনের দাওয়াত পরিপূর্ণভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। তখন উপস্থিত জনতা সবাই সম্মিলিতভাবে বললেন, নিশ্চয়ই আপনি আপনার দীন পরিপূর্ণভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন। তখন তিনি আবার বললেন যে, ‘হে প্রভু! আপনি শুনুন, আপনি সাক্ষী থাকুন, এরা বলেছ আমি আপনার দীনকে লোকদের নিকট পৌঁছাতে পেরেছি। আমি আমার কর্তব্য পালন করতে পেরেছি।
ভাবের অতিশয্যে নবী নীরব হলেন। জান্নাতি নূরে তাঁর চেহারা আলোকদীপ্ত হয়ে উঠল। এই মুহূর্তে কুরআনের শেষ আয়াতটি নাজিল হয়। ‘আজকের এই দিনে তোমাদের দীনকে পূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের ওপর আমার নিয়ামত পূর্ণ করে দিলাম। ইসলামকেই তোমাদের ওপর দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’
হজরত রাসূল সাঃ কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। জনতা নীরব। কিছুক্ষণ পর হজরত সাঃ জনতার দিকে তাকালেন এবং করুণ গম্ভীর কণ্ঠে বললেন বিদায় বন্ধুগণ, বিদায়।
তাই নবী করীম সাঃ সঙ্গীসাথীসহ হজের উদ্দেশ্যে মক্কা নগরীতে গমন করেন এবং হজ সম্পাদন করেন। আজ লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে ইব্রাহীম আঃ ও ইসমাইল আঃ যেখানে দাঁড়িয়ে কাবার প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে এক মুসলিম উম্মাহ গঠনের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেছিলেন। মুসলমানরা আজ মাকামে ইবরাহীমে সমবেত। ৯ জিলহজ রাসূল সাঃ সব মানুষের সামনে দাঁড়ালেন। মহানবী সাঃ প্রথমে আল্লাহ তা’য়ালার প্রশংসা করলেন। এরপর তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ পেশ করলেন তিনি বললেন, সমবেত জনতা
১. আজ সকল প্রকার কুসংস্কার অন্ধ বিশ্বাস এবং সকল প্রকার অনাচার আমার পদতলে দলিত-মথিত হয়ে গেল।
২. তোমরা তোমাদের দাসদাসীদের সাথে ভালো ব্যবহার করো। তাদের সাথে তোমরা খারাপ ব্যবহার কোরো না। তাদের ওপর নির্যাতন করবে না। তোমরা যা খাবে তাদেরকে তোমরা তাই খেতে দিবে। তোমরা যে বস্ত্র পরিধান করবে তাদেরকে তাই পরিধান করতে দিবে। মনে রেখো তারাও মানুষ তোমরাও মানুষ। এরাও একই আল্লাহর সৃষ্টি।
৩. সাবধান! নারীদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে। তাদের ওপর কখনো অন্যায়-অত্যাচার করবে না। কেননা তারা হলো অবলা। কেননা তাদের দায়িত্ব তোমাদের ওপরই। তোমাদের যেমন নারীদের ওপর অধিকার আছে। তেমনি তোমাদের ওপরও নারীদের অধিকার আছে। দয়া ও ভালোবাসার মাধ্যমে তাদের সাথে আচরণ করবে।
৪. আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না। কারণ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে সে কুফুরি করল।
৫. সুদ ঘুষ রক্তপাত অন্যায় অবিচার জুলুম নির্যাতন কোরো না। কারণ এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। আর মুসলমান পরস্পর ভ্রাতৃসমাজ।
৬. তোমরা মিথ্যা বোলো না। কারণ মিথ্যা সব পাপ কজের মূল। কারণ মিথ্যাই বিপদ ডেকে আনে।
৭. চুরি কোরো না। ব্যভিচার কোরো না। সর্বপ্রকার মলিনতা হতে দূরে থেকো। পবিত্রভাবে জীবনযাপন করো। সাবধান! শয়তান থেকে তোমরা দূরে থেকো। তোমরা কোনো একটি কাজকে খুব সামান্য মনে করবে, কিন্তু শয়তান এসবের মাধ্যমে তোমাদের সর্বনাশ করিয়ে ছাড়বে।
৮. তোমরা তোমাদের আমীরের আদেশ অমান্য করবে না। যদিও হাবশি নাক কাটা গোলাম হয়। তোমরা তার আনুগত্য করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সে আল্লাহর দীনের ওপর থাকবে।
৯. ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি কোরো না। কারণ তোমাদের পূর্ব-পুরুষেরা এই কারণে ধ্বংস হয়েছে।
১০. বংশের গৌরব কোরো না। যে ব্যক্তি নিজ বংশকে হেয় প্রতিপন্ন করে অপর বংশের পরিচয় দেয় তার ওপর আল্লাহর অভিশাপ।
১১. তোমরা তোমাদের প্রভুর এবাদত করবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে। রোজা রাখবে, তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, তবেই তোমরা জান্নাতি হতে পারবে।
১২. আমি আমার পরে তোমাদের জন্য যা রেখে যাচ্ছি তা তোমরা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে রাখবে। তার ওপর আমল করবে। তাহলে তোমাদের পতন ঘটবে না। আর তা হচ্ছে আল্লাহর কুরআন ও নবীর সুন্নত।
১৩. তোমরা ভালোভাবে জেনে রাখো আমিই সর্বশেষ নবী আমার পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আমিই আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। আমার এই সকল বাণী তোমরা যারা শুনেছ তারা যারা অনুপস্থিত তাদের নিকট পৌঁছে দিবে।
মহানবী সাঃ ভাষণ শেষ করলেন। এবং তাঁর চেহারা মোবারক উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তিনি করুণ স্বরে করুণভাবে আকাশ পানে তাকালেন এবং তিনি বললেন, ‘হে মহান প্রভু! হে পরওয়ার দিগার! আমি কি তোমার দীনের দাওয়াত পরিপূর্ণভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। তখন উপস্থিত জনতা সবাই সম্মিলিতভাবে বললেন, নিশ্চয়ই আপনি আপনার দীন পরিপূর্ণভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন। তখন তিনি আবার বললেন যে, ‘হে প্রভু! আপনি শুনুন, আপনি সাক্ষী থাকুন, এরা বলেছ আমি আপনার দীনকে লোকদের নিকট পৌঁছাতে পেরেছি। আমি আমার কর্তব্য পালন করতে পেরেছি।
ভাবের অতিশয্যে নবী নীরব হলেন। জান্নাতি নূরে তাঁর চেহারা আলোকদীপ্ত হয়ে উঠল। এই মুহূর্তে কুরআনের শেষ আয়াতটি নাজিল হয়। ‘আজকের এই দিনে তোমাদের দীনকে পূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের ওপর আমার নিয়ামত পূর্ণ করে দিলাম। ইসলামকেই তোমাদের ওপর দীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’
হজরত রাসূল সাঃ কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। জনতা নীরব। কিছুক্ষণ পর হজরত সাঃ জনতার দিকে তাকালেন এবং করুণ গম্ভীর কণ্ঠে বললেন বিদায় বন্ধুগণ, বিদায়।
ডাঃ জাকির নায়েকের ভিডিও ডাউনলোড করুন
| comments
ডাঃ জাকির নায়েকের ভিডিও লেকচারসমূহ ডাউনলোড করুন……….
এই লিংক হতে
http://www.worldmuslimmedia.com/readislam/zakir/
এই লিংক হতে
http://www.worldmuslimmedia.com/readislam/zakir/
Shk. Ahmad Deedat, Dr. Zakir Naik, Dr. Jamal Badawi, Dr. Monqith AlSaqqar এর সকল লেকচারসমূহের ভিডিও ডাউনলোড করুন
| comments
Shk. Ahmad Deedat, Dr. Zakir Naik, Dr. Jamal Badawi, Dr. Monqith AlSaqqar এর সকল লেকচার ভিডিও সমূহ ডাউনলোড করুন।
হাই কোয়ালিটি এবং রিজিউম সাপোরটেড।
from TRUTHWAY TV
ভাষা:
১.Arabic
২.English
৩.français
৪.Italiano
৫.Türkçe
সাইটটিতে সব চায়তে বেশী collection আছে “আহমাদ দিদাত”এর বই ও ভিডিও লেকচার।
হাই কোয়ালিটি এবং রিজিউম সাপোরটেড।
from TRUTHWAY TV
ভাষা:
১.Arabic
২.English
৩.français
৪.Italiano
৫.Türkçe
সাইটটিতে সব চায়তে বেশী collection আছে “আহমাদ দিদাত”এর বই ও ভিডিও লেকচার।
আমল ৩: কবর আজাব থেকে মুক্তির আমল
| comments
প্রত্যহ শুধু মাত্র ৭ বার ইয়া বারিউ (البارئ) পাঠ করলে কবর আজাব থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
সূত্র: শাহসুফী মোজাদ্দেদে হজরত মাওলানা আবদুর রব ছিদ্দিকী সাহেব প্রণীত 'নাফিউল খালায়েক' ও
মৌলভী মোহ: শামসুল হুদার গ্রন্থীত ‘নেয়ামুল কোরআন’ ।
সূত্র: শাহসুফী মোজাদ্দেদে হজরত মাওলানা আবদুর রব ছিদ্দিকী সাহেব প্রণীত 'নাফিউল খালায়েক' ও
মৌলভী মোহ: শামসুল হুদার গ্রন্থীত ‘নেয়ামুল কোরআন’ ।
আমল ২: আয়াতুল কুরছি পাঠের ফযীলত
| comments
সহীহ্ বোথারী শরীফে লিখিত আছে, যে ব্যাক্তি প্রভাতে ও শয়নকালে আয়াতুল কুরছি পড়িয়া থাকে, আল্লাহ তায়ালা তার স্বয়ং রক্ষক হন। সুতরাং সমস্ত দিবাবাত্রিতে শয়তান তার নিকটে আসতে পারেনা। কারণ, শয়তান ওয়াদা করেছে যে, যে ব্যাক্তি আয়াতুল কুরছি পড়বে আমি তার কাছে যাব না।
শুক্রবার আছরের নামাযের পর নির্জন স্থানে বসে এই আয়াত ৭ বার পাঠ করলে মনে এক আশ্চর্যভাবের উদয় হয় এ ঔ সময় পাঠকারীর দোয়া কবুল হয়।
ক্রমান্নয়ে ৩১৩ বার পড়লে ইনশাল্লাহ্ সকল কাজে জয়লাভ করা যায়।
যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর ১ বার পড়বে তার রিযিক বৃদ্ধি পাবে।
হযরত রাসূল (স:) এর ইন্তেকালের সময় হযরত আযরাইল (আ:) বলেছেন, আপনার উম্মতের মধ্যে যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর ১ বার পড়বে, আমি তার রূহ (আত্মা) অতি সহজে কবয করিব।
নাসায়ী শরিফে বর্নিত আছে, নবী (স:) বলেন, যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর নিয়মিত ১ বার আয়াতুল কুরছি পড়বে তার জন্য বেহেস্তে প্রবেশের পথে মৃত্যু ব্যতিত আর কোন বাধা থাকবে না।
ঘর হতে বাহির হওয়ার সময় এই আয়াত পড়ে বের হলে কারো মুখাপেক্ষী হইবে না।
আবু হুরায়রা (র:) বর্ননা করেন, রাসূল (স:) ইরশাদ করেছেন এ আয়াতটি যে ঘরে পাঠ করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পালায়ন করে।
রাতে একাকী পথ চলার সময় এই আয়াত পাঠ করতে থাকলে দেও, জীন, পরী, ভূত, প্রেত ইত্যাদি কাছে আসতে পারেনা।
দৈনিক ৫০ বা ১৭০ বার পড়লে মনের বাসনাপূর্ন হয়।
৫০বার পড়ে বৃষ্টির পানির উপর ফুক দিয়ে খেলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
ঘর, বাগান ও দোকানের প্রবেশ দরজায় এই দোয়া লিখে ঝুলিয়ে রাখলে রিযিক বৃদ্ধি পায়, চোর-ডাকাত সেখানে প্রবেশ করতে পারেনা ও অগ্নিদাহ হয় না
ডাউনলোড করুন
আরও জানতে পড়ুন
শুক্রবার আছরের নামাযের পর নির্জন স্থানে বসে এই আয়াত ৭ বার পাঠ করলে মনে এক আশ্চর্যভাবের উদয় হয় এ ঔ সময় পাঠকারীর দোয়া কবুল হয়।
ক্রমান্নয়ে ৩১৩ বার পড়লে ইনশাল্লাহ্ সকল কাজে জয়লাভ করা যায়।
যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর ১ বার পড়বে তার রিযিক বৃদ্ধি পাবে।
হযরত রাসূল (স:) এর ইন্তেকালের সময় হযরত আযরাইল (আ:) বলেছেন, আপনার উম্মতের মধ্যে যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর ১ বার পড়বে, আমি তার রূহ (আত্মা) অতি সহজে কবয করিব।
নাসায়ী শরিফে বর্নিত আছে, নবী (স:) বলেন, যে ব্যাক্তি প্রতেক ফরয নামাযের পর নিয়মিত ১ বার আয়াতুল কুরছি পড়বে তার জন্য বেহেস্তে প্রবেশের পথে মৃত্যু ব্যতিত আর কোন বাধা থাকবে না।
ঘর হতে বাহির হওয়ার সময় এই আয়াত পড়ে বের হলে কারো মুখাপেক্ষী হইবে না।
আবু হুরায়রা (র:) বর্ননা করেন, রাসূল (স:) ইরশাদ করেছেন এ আয়াতটি যে ঘরে পাঠ করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পালায়ন করে।
রাতে একাকী পথ চলার সময় এই আয়াত পাঠ করতে থাকলে দেও, জীন, পরী, ভূত, প্রেত ইত্যাদি কাছে আসতে পারেনা।
দৈনিক ৫০ বা ১৭০ বার পড়লে মনের বাসনাপূর্ন হয়।
৫০বার পড়ে বৃষ্টির পানির উপর ফুক দিয়ে খেলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
ঘর, বাগান ও দোকানের প্রবেশ দরজায় এই দোয়া লিখে ঝুলিয়ে রাখলে রিযিক বৃদ্ধি পায়, চোর-ডাকাত সেখানে প্রবেশ করতে পারেনা ও অগ্নিদাহ হয় না
ডাউনলোড করুন
আরও জানতে পড়ুন
আমল – ১:অসম্ভবকে (বৈধবিষয়ে) সম্ভব করার দু’য়া
| comments
সূরা আত্ব-ত্বালাক্বের ২ ও ৩ নং আয়াত নিম্নলিখিত নিয়ম অনুযায়ী পাঠ করলে তা অসম্ভব (বৈধবিষয়ে) হলেও সম্ভব হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। সূত্র: ওযীফাতুল মুসলিমীন ও ইসমে আযম [অব্যর্থ দুয়া ও আমল] – অধ্যাপক ড. এ. আর. এম. আলী হায়দার
নিয়ম: প্রতিদিন ১১বার হতে ১১১ বার পর্যন্ত পাঠ করলে যে নিয়তে পাঠ করবে তা অসম্ভব (বৈধবিষয়ে) হলেও সম্ভব হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
ফযীলত: রুজি বৃদ্ধি, চাকুরী হওয়া, চাকরীর উন্নতি হওয়া, যাদু, বান, হিংসুকের হিংসা, জ্বিনের আছর, দুশমনের দুশমনি প্রবৃত্তি হতে মুক্তি পেতে এ দুয়া দ্রুত কাজ করে।
নিয়ম: প্রতিদিন ১১বার হতে ১১১ বার পর্যন্ত পাঠ করলে যে নিয়তে পাঠ করবে তা অসম্ভব (বৈধবিষয়ে) হলেও সম্ভব হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
ফযীলত: রুজি বৃদ্ধি, চাকুরী হওয়া, চাকরীর উন্নতি হওয়া, যাদু, বান, হিংসুকের হিংসা, জ্বিনের আছর, দুশমনের দুশমনি প্রবৃত্তি হতে মুক্তি পেতে এ দুয়া দ্রুত কাজ করে।
আরবী | বাংলা তর্জমা | উচ্চারন |
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا | আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। | ওয়া মাই-ইয়াত্তাকিল্লাহা ইয়াজ আল্লাহু মাখরাজা। |
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا | এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। | ওয়া ইয়ারযুকহু মিন হাইসু লা ইয়াহ তাসিব।ওয়া মান ইয়া তা ওয়াক্কাল আলাল্লাহি ফাহু ওয়া হাসবুহু ইন্নাল্লাহা বালিগু আমরিহি কাদযায়াল্লাহু লিকুল্লি শাইয়িন কাদির। |
Azan in 3 language (Arabic, Bangla & English)
| comments (2)
Recital | আজান | বাংলা অর্থ | English Translation | أَذَان |
4 | আল্লাহু আকবার | আল্লাহ্ মহান | Allah is the Greatest | الله أكبر |
2 | আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহ্ | আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই | I bear witness that there is no God besides Allah | أشهد أن لا اله إلا الله |
2 | আশহাদু আন্নামুহাম্মাদার রাসুল্লাহ | আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রেরিত দূত | I bear witness that, Muhammd (S) is the Messenger of Allah | أشهد أن محمدا رسول الله |
2 | হাইয়া আলাস্ সালাহ | নামাজের জন্য এসো | Come to Salah | حي على الصلاة |
2 | হাইয়া আলাল্ ফালাহ | সাফল্যের জন্য এসো | Come to Success. | حي على الفلاح |
Only @ Fajr 2 | আস সালাতু খাইরুম মিনান্নাওম | ঘুম হতে নামাজ উত্তম | Prayer is better then sleeping | الصلاة خير من النوم |
2 | আল্লাহু আকবার | আল্লাহ সর্বশক্তিমান | Allah is the Greatest | الله أكبر |
1 | লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ | আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই | There is no deity except Allah | لا إله إلا الله |
Azan's Answer in Bangla
| comments
আজান | জবাব |
আল্লাহু আকবার-আল্লাহু আকবার | আল্লাহু আকবার-আল্লাহু আকবার |
আল্লাহু আকবার-আল্লাহু আকবার | আল্লাহু আকবার-আল্লাহু আকবার |
আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহ | আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহ |
আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহ | আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহ |
আশহাদু আন্নামুহাম্মাদার রাসুল্লাহ | আশহাদু আন্নামুহাম্মাদার রাসুল্লাহ |
আশহাদু আন্নামুহাম্মাদার রাসুল্লাহ | আশহাদু আন্নামুহাম্মাদার রাসুল্লাহ |
হাইয়া আলাস্ সালাহ | লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম |
হাইয়া আলাস্ সালাহ | লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম |
হাইয়া আলাল্ ফালাহ | লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম |
হাইয়া আলাল্ ফালাহ | লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিইল আজিম |
আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম | আসসাদ্দাকতা ও বারাতা |
আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম | আসসাদ্দাকতা ও বারাতা |
আল্লাহু আকবার-আল্লাহু আকবার | আল্লাহু আকবার-আল্লাহু আকবার |
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ | লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ |
একাধিক স্বামী প্রশ্নঃ একজন পুরুষ যদি একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পায়, তাহলে ইসলাম একজন নারীকে কেন একাধিক স্বামী রাখতে নিষেধ করে?
| comments
ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব
লিখেছেন ডা: জাকির নায়েক
Thursday, 31 July 2008
ক. একজন পুরুষের একধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তার পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের মাতা-পিতার পরিচয় খুব সহজেই পাওয়া যায়। শিশুর পিতা কে আর মাতা কে। অপরদিকে একজন নারী যদি একাধিক স্বামী গ্রহণ করে তবে এ পরিবার জন্ম নেয়া শিশুর শুধু মায়ের পরিচয় পাওয়া যাবে-বাবার নয়। পিতা ও মাতার সুস্পষ্ট পরিচয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম আপোসহীন। আধুনিক মনোবিজ্ঞানিরা বলেন, যে শিশু তার মাতা-পিতার পরিচয় জানে না, বিশেষ করে পিতার- সে শিশু তীব্র মানসিক জটিলতা ও হীনমন্যতায় ভোগে। এ শিশুদের শৈশব নিকৃষ্টতর এবং আনন্দহীন । দেহপসারিণী বা বেশ্যাদের সন্তানরা এর জলন্ত প্রমাণ। এদের শিশুকাল ও কৈশোর মর্মান্তিক। বহু স্বামী গ্রহণকারী পরিবারে জন্ম পাওয়া শিশুকে নিয়ে কোনো স্কুলে ভর্তী করতে গেলে যদি মাকে প্রশ্ন করা হয় শিশুর পিতার নাম? তা হলে সে মাকে দু’জন অথবা তার বেশি পুরুষের নাম বলতে হবে। বিজ্ঞানের অগ্রগতি এখন জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে মাতা ও পিতা উভয়কে সনাক্ত করার কৌশল আবিষ্কার করেছে। কাজেই যে বিষয়টা অতীতে অসম্ভব ছিল বর্তমানে তা খুব সহজেই হতে পারে।
খ. প্রকৃতি প্রদত্ত যোগ্যতা ও বৈশিষ্ট, বহুগামীতায় নারীর চাইতে পুরুষের বেশি।
গ.শারীরিক যোগ্যতায় একজন পুরুষের পক্ষে কয়েকজন স্ত্রীর স্বামীর দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন সহজ। একজন নারী সেই একই অবস্থানে, অর্থাৎ যার কয়েকজন স্বামী আছে,
২.একাধিক স্বামী
প্রশ্নঃ একজন পুরুষ যদি একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পায়, তাহলে ইসলাম একজন নারীকে কেন একাধিক স্বামী রাখতে নিষেধ করে?
জবাব
অসংখ্য মানুষ যার মধ্যে অনেক মুসলমানও রয়েছে, প্রশ্ন করেন-মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পাচ্ছে অথচ নারীর ক্ষেত্রে সে অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে, এর যৌক্তিকতা কি? অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে যে কথাটি প্রথমেই আমাকে বলে নিতে হবে, তা হলো ভারসাম্যপূর্ণ ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তির ওপরেই একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত। মানুষ হিসেবে আল্লাহ তা’আলা নারী ও পুরুষকে সমান মান দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু সাথে সাথে সামর্থ ও যোগ্যতার ভিন্নতা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব কর্তব্যের বিভিন্নতা দিয়ে। শারিরীক ও মানসিক ভাবে নারী ও পুরুষ সম্পূর্ন ভিন্ন। জীবনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব-কর্তব্যও বিভিন্ন। ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান কিন্তু একই রকম নয়।
সূরায়ে নিসার ২২ থেকে ২৪ আয়াতে একটি তালিকা দেয়া হয়েছে যে, মুসলিম পুরুষ কোন কোন নারীকে বিবাহ করতে পারবে না। এর পরে ২৪ আয়াতে আলাদা করে বলা হয়েছে সেই সব নারীও (নিষিদ্ধ) যারা অন্যের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ আছে- অর্থাৎ অন্যের বউ।
ইসলামে নারীর জন্য বহু-স্বামী গ্রহণ নিষিদ্ধ কেন, নিম্নোদ্ধৃত বিষয়গুলো তা পরিষ্কার করে দেবে।
তাদের স্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তার ওপর বর্তায় তা পালন করা তার পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। কেননা মাসিক ঋতুচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মানসিক ও আচরণগত বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে তাকে পড়তে হয়।
ঘ. একজন নারী যার একাধিক স্বামী থাকবে-তাকে তো একই সাথে কয়েকজনের যৌন-সঙ্গী হতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমূহ সম্ভাবনা থাকবে যৌন রোগের এবং যৌনতার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার। উপরন্তু তার মাধ্যমেই সে সব রোগে তার স্বামীর আক্রান্ত হবে। এমনকি যদি তার স্বামীদের কারো অন্য কোনো নারীর সাথে বিবাহ বহির্র্ভূত যৌন সম্পর্ক নাও থাকে। পক্ষান্তরে একজন পুরুষ- যার একাধিক স্ত্রী রয়েছে, স্ত্রীদের কারো যদি বিবাহ বহির্ভূত অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক না থাকে তাহলে যৌনতা সংক্রান্ত কোনো রোগে আক্রান্ত হবার আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই।
উপরোল্লেখিত কারণগুলো এমন যা যে কারো পক্ষে চেনা এবং বুঝে নেয়া সম্ভব। এছাড়া হয়তো আরো অসংখ্য কারণ থাকতে পারে যে কারণে অন্তহীন জ্ঞানের আধার সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলা নারীদের জন্য বহু স্বামী বরণ নিষিদ্ধ করেছেন
ইসরাম.নেট. এর কাছে কৃতজ্ঞ।
লিখেছেন ডা: জাকির নায়েক
Thursday, 31 July 2008
ক. একজন পুরুষের একধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তার পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের মাতা-পিতার পরিচয় খুব সহজেই পাওয়া যায়। শিশুর পিতা কে আর মাতা কে। অপরদিকে একজন নারী যদি একাধিক স্বামী গ্রহণ করে তবে এ পরিবার জন্ম নেয়া শিশুর শুধু মায়ের পরিচয় পাওয়া যাবে-বাবার নয়। পিতা ও মাতার সুস্পষ্ট পরিচয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম আপোসহীন। আধুনিক মনোবিজ্ঞানিরা বলেন, যে শিশু তার মাতা-পিতার পরিচয় জানে না, বিশেষ করে পিতার- সে শিশু তীব্র মানসিক জটিলতা ও হীনমন্যতায় ভোগে। এ শিশুদের শৈশব নিকৃষ্টতর এবং আনন্দহীন । দেহপসারিণী বা বেশ্যাদের সন্তানরা এর জলন্ত প্রমাণ। এদের শিশুকাল ও কৈশোর মর্মান্তিক। বহু স্বামী গ্রহণকারী পরিবারে জন্ম পাওয়া শিশুকে নিয়ে কোনো স্কুলে ভর্তী করতে গেলে যদি মাকে প্রশ্ন করা হয় শিশুর পিতার নাম? তা হলে সে মাকে দু’জন অথবা তার বেশি পুরুষের নাম বলতে হবে। বিজ্ঞানের অগ্রগতি এখন জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে মাতা ও পিতা উভয়কে সনাক্ত করার কৌশল আবিষ্কার করেছে। কাজেই যে বিষয়টা অতীতে অসম্ভব ছিল বর্তমানে তা খুব সহজেই হতে পারে।
খ. প্রকৃতি প্রদত্ত যোগ্যতা ও বৈশিষ্ট, বহুগামীতায় নারীর চাইতে পুরুষের বেশি।
গ.শারীরিক যোগ্যতায় একজন পুরুষের পক্ষে কয়েকজন স্ত্রীর স্বামীর দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন সহজ। একজন নারী সেই একই অবস্থানে, অর্থাৎ যার কয়েকজন স্বামী আছে,
২.একাধিক স্বামী
প্রশ্নঃ একজন পুরুষ যদি একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পায়, তাহলে ইসলাম একজন নারীকে কেন একাধিক স্বামী রাখতে নিষেধ করে?
জবাব
অসংখ্য মানুষ যার মধ্যে অনেক মুসলমানও রয়েছে, প্রশ্ন করেন-মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পাচ্ছে অথচ নারীর ক্ষেত্রে সে অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে, এর যৌক্তিকতা কি? অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে যে কথাটি প্রথমেই আমাকে বলে নিতে হবে, তা হলো ভারসাম্যপূর্ণ ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তির ওপরেই একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত। মানুষ হিসেবে আল্লাহ তা’আলা নারী ও পুরুষকে সমান মান দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু সাথে সাথে সামর্থ ও যোগ্যতার ভিন্নতা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব কর্তব্যের বিভিন্নতা দিয়ে। শারিরীক ও মানসিক ভাবে নারী ও পুরুষ সম্পূর্ন ভিন্ন। জীবনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব-কর্তব্যও বিভিন্ন। ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান কিন্তু একই রকম নয়।
সূরায়ে নিসার ২২ থেকে ২৪ আয়াতে একটি তালিকা দেয়া হয়েছে যে, মুসলিম পুরুষ কোন কোন নারীকে বিবাহ করতে পারবে না। এর পরে ২৪ আয়াতে আলাদা করে বলা হয়েছে সেই সব নারীও (নিষিদ্ধ) যারা অন্যের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ আছে- অর্থাৎ অন্যের বউ।
ইসলামে নারীর জন্য বহু-স্বামী গ্রহণ নিষিদ্ধ কেন, নিম্নোদ্ধৃত বিষয়গুলো তা পরিষ্কার করে দেবে।
তাদের স্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তার ওপর বর্তায় তা পালন করা তার পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। কেননা মাসিক ঋতুচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মানসিক ও আচরণগত বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে তাকে পড়তে হয়।
ঘ. একজন নারী যার একাধিক স্বামী থাকবে-তাকে তো একই সাথে কয়েকজনের যৌন-সঙ্গী হতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমূহ সম্ভাবনা থাকবে যৌন রোগের এবং যৌনতার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার। উপরন্তু তার মাধ্যমেই সে সব রোগে তার স্বামীর আক্রান্ত হবে। এমনকি যদি তার স্বামীদের কারো অন্য কোনো নারীর সাথে বিবাহ বহির্র্ভূত যৌন সম্পর্ক নাও থাকে। পক্ষান্তরে একজন পুরুষ- যার একাধিক স্ত্রী রয়েছে, স্ত্রীদের কারো যদি বিবাহ বহির্ভূত অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক না থাকে তাহলে যৌনতা সংক্রান্ত কোনো রোগে আক্রান্ত হবার আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই।
উপরোল্লেখিত কারণগুলো এমন যা যে কারো পক্ষে চেনা এবং বুঝে নেয়া সম্ভব। এছাড়া হয়তো আরো অসংখ্য কারণ থাকতে পারে যে কারণে অন্তহীন জ্ঞানের আধার সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলা নারীদের জন্য বহু স্বামী বরণ নিষিদ্ধ করেছেন
ইসরাম.নেট. এর কাছে কৃতজ্ঞ।