السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

খাজা শাহবাজ মসজিদ

| comments

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে তিন নেতার মাজারের পেছনে খয়েরি রঙের বেশ পুরনো একটি মসজিদ ও সমাধিসৌধ রয়েছে। মোগল স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করে হাজি খাজা শাহবাজ (র.)-এর নামে এক ব্যবসায়ী ৩০০ বছর আগে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। সুবেদার শাহ আজমের সময় (১৬৭৭-৭৮) খাজা শাহবাজ কাশ্মীর থেকে ঢাকায় এসে ব্যবসা শুরু করেন। অচিরেই তিনি বিপুল ধনসম্পত্তির মালিক হন। মিতব্যয়ী এ ব্যক্তি থাকতেন টঙ্গী। প্রতিদিন হেঁটে যাওয়া-আসা করতেন। তিনি রমনা এলাকায় একটি চিত্তাকর্ষক মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। ১৬৭৯ সালে তিনি রমনায় তিন গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। রমনার পূর্ব দিকে ছিল খাজা শরফুদ্দিন চিশতি (র.)-এর মাজার এবং মাঠের মাঝখানে ছিল ৫০০ বছরের পুরনো কালীমন্দির। এমন স্থানে মসজিদটি নির্মিত হওয়ার পরে এ এলাকার সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসত নামাজ পড়তে। খাজা শাহবাজও টঙ্গী যাওয়া-আসার পথে নামাজ পড়তেন এ মসজিদে। ভূমি থেকে তিন ফুট উঁচুতে নির্মিত এ মসজিদটি প্রায় এক বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। এর দক্ষিণ ও পূর্ব দিক নিচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এবং পশ্চিম ও উত্তর প্রান্তটি লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা। মসজিদে প্রবেশের জন্য পাঁচটি আকর্ষণীয় দরজা রয়েছে। এর প্রতি কোণে একটি বড় মিনার ও দুটি ছোট মিনার রয়েছে। মসজিদের ২০ গজ দূরে এক গম্বুজবিশিষ্ট সমাধিসৌধে শায়িত আছেন খাজা শাহবাজ (র.)। মৃত্যুর আগেই তিনি এটি নির্মাণ করেন।

গ্রন্থনা : মাহমুদুল হাসান
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template