السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

জামায়াতবদ্ধ সালাতে দাঁড়ানোর ব্যপারে হাদিস

| comments

বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়,
নামাজের ইকামাত হয়ে গেলে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুসুল্লী দের উদেশ্যে কিছু উপদেশ দিয়ে বলতেন,
- সুও সুফুফাকুম (কাতার গুলো সোজা কর)
- ইসতাও (সোজা হয়ে দাঁড়াও)
- তারাছছু (সেটে সেটে দাঁড়াও)
- ওআয়ালা তা-জালু খুরুজাতিল শায়তান (শয়তানের জন্য ফাঁকা জায়গা রেখোনা)
- সুদ্দুল খালাল (ফাঁকা জায়গা গুলো বন্ধ কর)
- ওআয়ালা তাকতালিফু ফা তাকতালিফু কুলুবুকুম (বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করনা , তাহলে তোমাদের অন্তরে বিচ্ছিন্নতা হবে)

নবী (সা) শুধু উপদেশ দিয়েই শেষ করতেন না। যতক্ষন কাতার সোজা না হচ্ছে এবং মুসল্লীরা গায়ে গায়ে মিশে না দাঁড়াচ্ছে ততক্ষন তিনি নামাজ শুরু করতেন না।

অথচ আমাদের দেশের অধিকাংশ মসজিদের ইমামগণ ইকামতের পর আর কোন কথা বলেন না।
কিছু কিছু মসজিদের ইমাম সাহেব শুধু-
কাতার সোজা করে নিন,
মোবাইল বন্ধ রাখেন এইটুকু বলেই নামাজ শুরু করে দেন।

পিছনে তাকিয়ে দেখেন না যে কাতার সোজা হলো কিনা অথবা দুইজনের মধ্যে ফাঁকা জায়গা থেকে গেল কিনা।

রাসুল (সা) বলেনঃ
“তোমাদের নামাযে কাতারগুলোকে মিলাও এবং পরস্পর নিকটবর্তী হয়ে যাও, আর কাঁধের সাথে কাঁধ মিলাও।
সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, অবশ্য আমি শয়তানকে কাতারের মধ্যে এমনভাবে ঢুকতে দেখি যেমন ছোট ছাগল ঢোকে।"
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template