এমনই এক দৃষ্টান্ত, যেখানে অমুসলিম আর মুসলিমের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বেঁধেই আছে সেখানে এ দৃষ্টান্তের প্রতি সবারই সেল্যুট দেওয়া দরকার। তিনি উপমহাদেশের চিরবৈরী দুই সম্প্রদায়ের ঐক্যের জন্য নিজে হিন্দু হয়েও মুসলমানদের জন্য নির্মাণ করেন মসজিদ। এর আগে এমন দৃষ্টান্ত তার এলাকায়ই স্থাপিত হয়েছিল প্রায় ১২শ বছর আগে। খ্যাতিমান এ ব্যক্তির নাম চেরিল কৃষ্ণ মেনন, যিনি ২০০৬ সালে 'প্রবাসী ভারতীয় সম্মান' এবং ২০০৯ সালে 'পদ্মশ্রী' খেতাব পেয়েছিলেন। তিনি এটি তৈরি করছেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপনের জন্য। এর আগে অষ্টম শতাব্দীতে চেরা শাসক রাম বর্মা কুলাশাখরা কেরালাতে 'চেরামন মসজিদ' নামে প্রথম ও একমাত্র মসজিদ তৈরি করেছিলেন। প্রস্তাবিত মসজিদটি স্থাপিত হবে ভারতের কেরালার কালকুট নামক স্থানে। আগামী দুই তিন মাসের মধ্যেই এটি তৈরি হয়ে যাবে। এখানে একসঙ্গে ৪০০ মুসলি্ল নামাজ আদায় করতে পারবেন। কৃষ্ণ মেনন বলেন, তিনি এই মসজিদ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন বিখ্যাত ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের সমর্থন পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, 'ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। তাই আমাদের সবার উচিত প্রতিটি ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা রাখা এবং প্রতিটি ধর্ম বিস্তারে সহযোগিতা করা।' এছাড়া তিনি ভগবৎ গীতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরিতে জড়িত রয়েছেন। কেরালায় একটি গির্জা নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে তার। এসব কাজের জন্য ১০০ কোটি রুপি ব্যয় করবেন বলে তিনি জানান। যুগে যুগে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দূর করার জন্য ও মানুষে মানুষে বিভেদ ভেঙে ফেলার জন্য নানা গুণীজন নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চেরিল কৃষ্ণ মেননও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি একজন হিন্দু হয়েও মুসলমানদের জন্য মসজিদ নির্মাণ করে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যকার বিভেদ ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে চান।
-রকমারি
Post a Comment