السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

জুমাবারের আমল সমূহ

| comments

: : : : : : : ১ম পর্ব (জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত আমল): : : : : : :
অন্যদিনের তুলনায় ফযরের সময় ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠা,

পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া। নখ, চুল ও শরীরের অবাঞ্ছিত পশম পরিস্কার করা।

মিসওয়াক করা ।

উত্তমরুপে গোসল করা।

আতর বা খুশবু লাগানো ।

তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া। জুম'আর আযানের আগেই মসজিদে যাওয়া উত্তম। যে যত আগে মসজিদে যাবে সে তত বেশি সওয়াব পাবে।

কোন যানবাহন ব্যবহার না করে পায়ে হেটে মসজিদে যাওয়া।

ইমাম সাহেবের কাছাকাছি বসা ।

অহেতুক কথাবার্তা না বলা বা অন্য কিছু না করা ।

আত্তাহিয়াতু সুরতে মানে নামাযের মধ্যে বৈঠকের সময় যেভাবে বসতে হয়, সেইভাবে বসে মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা।

খুতবার চলাকালীন (যতই প্রয়োজনীয়ই হোক) কথা বলা হারাম। এমনকি ইশারায় কাউকে চুপ করতে বলা বা কোন কিছু করতে বারণ করাও হারাম।

জুমআর দিনে উপরোক্ত আমলগুলো করলে প্রতি কদমে এক বছরের নফল রোযা ও এক বছরের নফল নামাযের সওয়াব পাওয়া যায় ।

[আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসায়ী ও ইবনু মাযা শরীফ]

: : : : : : : ২য় পর্ব (নামাজের পড়ে আমল): : : : : : :

: | : আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম
তাসলীমা : | :

হযরত আবু হুরাইরা রাযি. হতে বর্ণিত : রাসূল পাক সা. ইরশাদ করেন ,
যে ব্যক্তি জুম'আর দিন আসর নামাযের পর না উঠে ঐ স্থানে বসা অবস্থায়
৮০ বার উপরে উল্লেখিত দরুদ শরীফ পাঠ করবে , তার ৮০ বছরের গুনাহ
মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায়
লেখা হবে ।

¤ ¤ সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা:
জুম'আর দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন
আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে ।
¤¤ বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি যিকির
করা মুস্তাহাব ।
¤¤জুম'আর রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুম'আর দিনে নবী করিম সা. এর প্রতি বেশী বেশী দরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে । এমনিতেই যে কোন সময়ে একবার দুরুদ শরীফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা দরুদ শরীফ
পাঠকারীকে দশটা রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার
জন্য দশবার রহমতের দোয়া করেন ।
¤¤ দুই খুতবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা ।
¤¤ সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের
সাথে যিকির , তাসবীহ ও দুআয় লিপ্ত থাকা ।
↓↓↓↓
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় জুম'আ বার খুব গুরত্বপূর্ণ একটি দিন। হাদীসে আরও পাওয়া যায় , জুম'আ বার দিনে বিশেষ করে ফযরের সময় এবং আসরের নামায এর পর দোয়া কবুল হবার সম্ভবনা বেশী ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে জুম'আ বারের গুরুত্ব বোঝার তৌফিক দান করুন এবং যথাযথভাবে জুম'আ বারের আমলগুলো করার তৌফিক দান করুন।আমীন।
↓↓↓↓↓↓↓↓
সেই সাথে কোন ওজরে যেন নামাজ পড়তে ভুলে না যাই। আল্লাহ, আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন। আমীন। জুমা বারের ফজিলত সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে লেখাটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। সেই সাথে পোস্টটি ভালো লাগলে লাইক করে জানাবেন। এতে আমরা আরও ভালো পোস্ট দিতে উৎসাহ পাই।

•• Online-এ "কুরআন ও হাদীস" ••

জুমুআ'র দিনে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি বেশী বেশী দরূদ পাঠ করার জন্য আমাদের সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
...
[নাসাঈ, ১৩৭৭]

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ্‌ তা'আলা তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ্‌ মিটিয়ে দেয়া হবে এবং তার দশটি মর্যাদা উন্নীত করা হবে।

[নাসাঈ, ১৩০০]

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে এই দরূদ পড়তে শিখিয়েছেন-
"আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিমা, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বারাকতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিমা, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ"

[বুখারী, মুসলিম]
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template