السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

তালাকের ধরন ও মুসলিম আইন

| comments

জাহিলিয়াতের যুগে তালাক ছিল পুরুষের জন্য ফ্যাশন। ইচ্ছে হলো পরলাম, না হয় ছুড়ে ফেললাম। কিন্তু ইসলামে তালাক হচ্ছে নিরুপায়ের উপায়। তালাক আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বন্ধন খুলে দেওয়া, পরিত্যাগ করা বা বিচ্ছিন্ন হওয়া। শরিয়তের পরিভাষায় 'তালাক' মানে বিয়ের বন্ধন খুলে দেওয়া বা ছিন্ন করা। এই শব্দটি ইসলামপূর্ব যুগ থেকে এই অর্থে অর্থাৎ ছিন্ন হওয়া মর্মে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইসলামের দৃষ্টিতে তালাক যে আদৌ কোনো পছন্দনীয় কাজ নয়, এ কথা বিভিন্ন হাদিসে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আবু দাউদ, প্রথম খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে, 'রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা তালাকের চেয়ে অধিক ঘৃণ্য কোনো জিনিস হালাল করেননি।'
তালাক আইনের উদ্দেশ্যে : এতদসত্ত্বেও এবং দুঃখজনক হলেও সত্য যে তালাক হয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক যখন এতই খারাপ হয় যে ভালো করার আর কোনো সম্ভাবনা লক্ষ করা যায় না। দাম্পত্য জীবন অটুট রাখার সব চেষ্টা যখন ব্যর্থ হয় তখন উভয়ের স্বতন্ত্র ও ব্যক্তিগত সত্তাকে বাঁচিয়ে রেখে আসন্ন ধ্বংসের হাত থেকে উভয়কে উদ্ধার করাই হচ্ছে তালাক আইনের মূল এবং একমাত্র উদ্দেশ্য।
প্রকারভেদ
পদ্ধতিগত দিক থেকে তালাক দুই প্রকার : ১. সুন্নত তালাক ও
২. বিদঈ তালাক।
ফলাফলের দিক থেকে এটি দুই প্রকার : ১. রাজঈ তালাক ও
২. বাইন তালাক
সুন্নত তালাক আবার দুই প্রকার : ১. আহসান তালাক ও
২. হাসান তালাক
একইভাবে বাইন তালাক দুই প্রকার : ১. বাইন তালাক সুগরা ও ২. বাইন তালাক কুবরা।
সবার বোঝার সুবিধার্থে এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ যে হিন্দু আইনের মূল উৎস স্বর্গ, অর্থাৎ এটি স্বর্গ থেকে প্রাপ্ত (Divine origin), তাতে হাত দেওয়ার বা এর ভুলত্রুটি বিবেচনা করার কোনো ক্ষমতা কোনো মর্ত্যের মানুষের নেই। হিন্দু আইনে রাজা শুধু দেখবেন ওই স্বর্গীয়প্রাপ্ত আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, তার কাজ শুধু তা বলবৎ করা। তিনি হিন্দু আইনের অধীন একজন সেবক মাত্র। তেমনি মুসলিম আইনের মূল উৎস হলো_
১. পবিত্র কোরআন। এটা হজরত জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে প্রাপ্ত এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক উচ্চারিত আল্লাহর বাণীর সংকলন।
২. সুন্নাহ বা হাদিস অর্থাৎ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উপদেশাবলি ও ক্রিয়াকলাপ। এককথায় রাসুলুল্লাহর শিক্ষা।
৩. ইজমা অর্থাৎ আইনবেত্তাদের মতৈক্য।
৪. কিয়াস অর্থাৎ সাদৃশ্যপূর্ণ অবরোহী পদ্ধতি। যখন প্রথমোক্ত উৎস তিনটি কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না, তখন ওইগুলো তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে প্রাপ্ত যে সমানুপাতিক বিয়োগ ব্যবস্থার আশ্রয় গ্রহণ করা হয়। মোটকথা, কিয়াস হলো সমানুপাতিক যুক্তি।
যিনি মুসলিম তার এর বাইরে যাওয়ার বা ভাবার বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই।
সুতরাং 'মুসলিম আইনে তালাক', এ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হলে বা অস্পষ্ট ধারণা স্পষ্ট করতে হলে জানা দরকার যে তালাক সম্পর্কে প্রকৃত ধর্মীয় বিধানাবলি কী। সে জন্য ওপরে বর্ণিত তালাকগুলোর ধর্মীয় অবস্থান যৎকিঞ্চিৎ নিম্নে আলোকপাত করা হলো।
১. সুন্নাত তালাক : রাসুলুল্লাহ (সা.) ঠিক যে সময় এবং পদ্ধতিতে তালাক দিতে শিক্ষা দিয়েছেন তদনুরূপ তালাককে সুন্নাত তালাক বলে।
২. বিদঈ তালাক : স্বামী তার স্ত্রীকে একই তুহুরে অর্থাৎ মাসিক রজঃস্রাবের মধ্যবর্তী সময়ে এক বা একাধিক শব্দে একাধিক তালাক দিলে তাকে বিদঈ তালাক বলে।
৩. রাজঈ তালাক : তালাক শব্দ উচ্চারণপূর্বক স্বামী স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিলে এবং তার সঙ্গে বাইন শব্দ যোগ না করলে তাকে রাজঈ তালাক বলে। যার মধ্যে স্ত্রীর ওপর স্বামীর অধিকার থেকে যায়। স্বামী ইচ্ছা করলে ইদ্দতকাল শেষ হওয়ার আগে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে পারে।
৪. বাইন তালাক : তালাক শব্দের সঙ্গে 'বাইন' শব্দ যোগ করে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিলে তাকে বাইন তালাক বলে। এ ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
৫. আহসান তালাক : যে তুহুরে সহবাস হয়নি এবং এর পরবর্তী তুহুরেও তালাক দেওয়া হয়নি, সে অবস্থায় স্ত্রীকে একটি রাজঈ তালাক প্রদানের পর ইদ্দত পূর্ণ হতে অথবা গর্ভ খালাস হতে দিলে তাকে তালাকে আহসান বলা হয়।
৬. হাসান তালাক : সহবাসবর্জিত তুহুরে স্ত্রীকে একটি রাজঈ তালাক দেওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তুহুরে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তালাক প্রদানকে হাসান তালাক বলে।
৭. খোলা তালাক : অর্থের বিনিময়ে স্ত্রী স্বামীর কাছে বিবাহবন্ধন হতে মুক্তি চাইলে স্বামী তা মঞ্জুর করামাত্র এই খোলা তালাক সংঘটিত হয়। এই তালাক উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে হয়ে থাকে।
তালাক প্রদানকারীর যোগ্যতা এবং কিভাবে প্রদান করা যায় :
একমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থির মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলিম তালাক প্রদান করতে পারেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যক্তির তালাক আইনে সিদ্ধ নয়। যেমন_নিদ্রিত অবস্থায় বা মাতাল অবস্থায় তালাকের শব্দ উচারণ করলে তালাক হয় না।
তালাক মৌখিক অথবা তালাকনামার মাধ্যমে প্রদান করা যেতে পারে। এটা কাজির উপস্থিতিতে কিংবা স্ত্রীর মা-বাবার অথবা সাক্ষীর উপস্থিতিতে দেওয়া যেতে পারে। একইভাবে মৌখিকভাবে উচ্চারণ বা ঘোষণা করতে অক্ষম না হলে লিখিত তালাক বৈধ হবে। সুনি্ন আইনে সাক্ষীর সংখ্যা উল্লেখ নেই। তবে শিয়া আইনে দুজন উপযুক্ত সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে (বেঈলী, ২য় ১১৭)।
তালাকের ইদ্দত : তালাকের প্রসঙ্গ আলোচনা করতে গেলে বারবার একটি বিষয় সামনে উপস্থিত হয়, তা হলো ইদ্দত। তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা নারীকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোথাও গমন না করে কিংবা অন্য কোনো স্বামী গ্রহণ না করে নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করতে হয়। এই নির্দিষ্ট সময়কে ইদ্দত বলা হয়ে থাকে। মুসলিম আইন তথা পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ২২৭ ও ২৩৪ নম্বর আয়াত অনুযায়ী ইদ্দতকাল ক্ষেত্রভেদে ভিন্ন এবং তা হলো নিম্নরূপ :
ক. সঙ্গম বা নির্জনবাসের আগে স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত হলে স্ত্রী ইদ্দত পালন করতে হবে না।
খ. ঋতুবতী স্ত্রীর ইদ্দত, তালাকের পরবর্তী_তিন ঋতু
গ. অল্প বয়স বা বার্ধক্যবশত ঋতু না হলে_ইদ্দত তিন মাস।
ঘ. গর্ভবতীর ইদ্দত_গর্ভ খালাস না হওয়া পর্যন্ত।
ঙ. বিধবা অর্থাৎ স্বামীর মৃত্যু হলে এবং তিনি গর্ভবতী না হলে ইদ্দতকাল_চার মাস ১০ দিন।
বিবাহবিচ্ছেদের উপরিউক্ত বিধানাবলি আলোচনা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত যতটুকু বর্ণনা পাওয়া গেছে, তা যদি গভীর দৃষ্টিকোণ থেকে পরীক্ষা করে দেখি, তাহলে লক্ষ করা যাবে কখন, কী অবস্থায় বা কোন পরিপ্রেক্ষিতে তালাক ঘোষণা করলে মুসলিম আইনে বৈধ বলে গণ্য হবে, শুধু তারই উল্লেখ আছে। সবই মূলত মৌখিক বা ঘোষণামূলক। বস্তুত কোনো documentation বা দালিলিক বিধান লক্ষ করা যায়নি।
একাধিক বিষয় যেমন_বহুবিবাহ, উত্তরাধিকার, তালাক ইত্যাদি দ্ব্যর্থবোধকতা এবং বিদ্যমান বহুধাবিভক্ত মতের ফলে সৃষ্ট ও উদ্ভূত জটিলতা নিরসনে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক সরকার The Commission on Marriage & Family Laws নামে একটি কমিশন গঠন করে। এই কমিশন মুসলিম আইনের মূল উৎসগুলোর বিধান অক্ষুণ্ন রেখে যে প্রতিবেদন পেশ করে তার ওপর ভিত্তি করে ১৯৬১ সালের ২ মার্চ The Muslim Family Laws Ordinance (No. VIII of 1961) জারি এবং তা ১৯৬১ সালের ১৫ জুলাই থেকে কার্যকর হয়। এই আইনের ৭ নম্বর ধারায় মোট ছয়টি উপধারা আছে। ৭ নম্বর ধারার মূল প্রতিপাদ্য বক্তব্য হলো, নিম্নোক্ত বিধানাবলি প্রতিপালিত না হলে যেভাবেই হোক তাকে আইনত তালাক বলা যাবে না।
ক. উপরিউক্ত যেকোনো তালাক প্রদানের ক্ষেত্রে তা ঘোষণার পর যথাশিগগির সম্ভব স্বামী স্থানীয় চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে তালাকের নোটিশ দেবেন এবং এর কপি স্ত্রীকে প্রদান করবেন।
খ. ওই নোটিশ প্রদানের তারিখ থেকে ৯০ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না।
গ. ওই নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পুনর্মিলনের উদ্দেশ্যে সালিস পরিষদ গঠন করবেন।
বর্ণিত মতে, তালাকের নোটিশ প্রদান না করলে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং ৬ উপধারা অনুযায়ী এভাবে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে সেই স্ত্রী এ-জাতীয় তালাক তৃতীয়বার এভাবে কার্যকরী না হলে তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে বিবাহ না করে আবার একই স্বামীকে বিবাহ করতে পারবে।
প্রাসঙ্গিক বিধায় উল্লেখ করা আবশ্যক যে মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১-এর ৮ ধারা অনুযায়ী ৭ ধারায় যা কিছু বলা হোক না কেন The Dissolution of Muslim Marriages Act, 1939-এর ০২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে স্ত্রী কর্তৃক তালাকের জন্য সিভিল কোর্টে যাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন (ouster) করা হয়নি। ফলে অতিসংক্ষেপে হলেও উল্লেখ করতে হচ্ছে যে মুসলিম আইনের ৩২৪ থেকে ৩৩২ ধারানুযায়ী যদি কোনো স্বামী_১. চার বছর ধরে নিরুদ্দেশ থাকে; ২. দুই বছর ধরে খোরপোশ দিতে ব্যর্থ হয়; ৩. সাত বা তদূর্ধ্ব কালের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়; ৪. কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া ক্রমাগত তিন বছর দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়; ৫. পুরুষত্বহীন হয়; ৬. দুই বছর ধরে পাগল বা কুষ্ঠরোগে অথবা ভয়ানক ধরনের ব্যাধিতে আক্রান্ত থাকে; ৭. স্ত্রীর সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহার করে; ৮. ব্যভিচারে লিপ্ত হয়।
তাহলে স্ত্রী সিভিল কোর্টে বর্তমানে পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রির প্রার্থনা করতে পারেন, অর্থাৎ ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৮ ধারানুযায়ী উপরিউক্ত বৈধ কারণের জন্য ডিক্রির প্রার্থনা করার অধিকার থেকে কোনো স্ত্রীকে বঞ্চিত করা হয়নি।
উপরিউক্ত অবস্থা এবং বিধানাবলি ছাড়াও আদব-কায়দা, আচরণ বা কথাবার্তার দ্বারাও তালাক সংঘটিত হতে পারে, তা হলো 'ঈলা' ও 'জিহার'।
মুসলিম আইনের ৩১৭ ধারানুযায়ী ঈলা দ্বারা বিবাহবিচ্ছেদটি একধরনের আনুমানিক তালাক, যা কোনো প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী অন্তত চার মাস পর্যন্ত যৌন মিলন থেকে নিবৃত্ত থাকলে আদালতের মাধ্যমে স্ত্রী তালাক গ্রহণের অধিকারী হয় (বেঈলী, ২৯৬-৩০৪; হেদায়া ১০৯। কোরআন শরিফের ৩৩ নম্বর সুরা ও ৫৮ নম্বর সুরার প্রথমাংশে)।
'জিহার' হলো একধরনের অসমাপ্ত তালাক। স্বামী যদি স্ত্রীকে তার (স্বামীর) মায়ের সঙ্গে অথবা নিষিদ্ধ ধাপের অন্য কোনো মহিলার সঙ্গে তুলনা করে, তাহলে তওবা (প্রায়শ্চিত্ত) না করা পর্যন্ত স্ত্রী তার সঙ্গে সহবাসে অস্বীকৃতি জানাতে পারে এবং মুসলিম আইনের ৩১৮ ধারার আলোকে স্ত্রী তালাক গ্রহণের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।
পরিশেষে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করছি, তালাক দ্বীন ইসলামে বৈধ কর্মগুলোর মধ্যে নিকৃষ্টতম অনুমোদিত একটি কাজ। দাম্পত্য জীবনের মধুর সম্পর্কের মধ্যেও একদিন ভাঙনের সুর রণিত হয়, যা অনেক চেষ্টা করেও রোধ করা বা থামানো সম্ভব হয় না। আর তখনই প্রয়োজন হয়ে পড়ে বিচ্ছেদ বা তালাকের।
তালাক একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এর বিধানও বর্ণনাসাপেক্ষ। তা ছাড়া স্থানকালপাত্রভেদে বক্তব্যের মধ্যে সামান্য হেরফের হলেই এর বিধানগত হুকুমেও আকাশ-পাতাল ব্যবধান নির্ণীত বা প্রযোজ্য হয়। যেহেতু প্রতিটি তালাকের প্রেক্ষাপট, ধরন-প্রকৃতি সম্পূর্ণই ভিন্ন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, সেহেতু এর বিধান ও প্রায়োগিক হুকুমও ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্ন। সুতরাং বাস্তব ঘটনা, প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ ও দালিলিক সাক্ষী এবং পারিপাশ্বর্িক অবস্থা অবলোকন ও অবগত হয়েই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া নিরাপদ, যুক্তিযুক্ত এবং সমীচীন হবে।
লেখক : মোহাম্মদ নূরল হক, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template