السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

বিশ্ব শান্তি ও ইসলাম

| comments

বিশ্বস্রষ্টা আলস্নাহতায়ালা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতা দিয়েছেন। এই স্বাধীনতাকে কোন্ খাতে প্রয়োগ করলে পার্থিব শান্তি ও পরকালীন মুক্তি পাওয়া যাবে তাও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ প্রায়ই আলস্নাহকে ভুলে যায়। ফলে মানব প্রকৃতি হয়ে ওঠে স্বেচ্ছাচারী। নীতি-নৈতিকতা পরিত্যক্ত হয়। শঠতা, প্রতারণা, দুনর্ীতি ইত্যাদি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ে। রাজনৈতিক জুলুম, অর্থনৈতিক শোষণ, সামাজিক ভেদাভেদ, সাংস্কৃতিক নোংরামি ও অশস্নীলতা, পাপ-পংকিলতা এবং মানবাধিকার দলন অগণিত মানুষের জীবন থেকে শান্তি কেড়ে নেয়।

বঞ্চিত মানুষ অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আলস্নাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পথের কোন বিকল্প নেই।

শান্তি কাকে বলে? শান্তি বলতে বুঝায় স্থিরতা, প্রশান্তি, দুশ্চিন্তাহীনতা, হিংসা-মারামারি ও শত্রুতা না থাকা ইত্যাদি।


ইসলাম শব্দের এক অর্থ শান্তিঃ 'ইসলাম' পরিভাষার মূল শব্দ হলো 'সিলমুন' বা সিন, লাম, মীম। 'সিন' দ্বারা 'সালামত' বা সুস্থতা, শান্তি, স্বস্তি, শালীনতা ইত্যাদি বোঝায়। 'লাম' দ্বারা 'লিনাত' বা নম্রতা, ভদ্রতা, বিনয়, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্য ইত্যাদি বোঝায়। আর 'মীম' দ্বারা বোঝায় ভালবাসা, সম্প্রীতি, প্রেম-প্রীতি ইত্যাদি। কাজেই 'ইসলাম' শব্দের মাঝেই লুকিয়ে আছে শান্তি, স্বস্তি, সুস্থতা, সহমর্মিতা, সৌহার্দ্য, নম্রতা, বিনয়, পারস্পরিক ভালবাসা, সম্প্রীতি ইত্যাদি মানবীয় গুণ, যা মানুষকে প্রকৃত 'মানুষ' হতে শেখায়। (৭) কাজেই ইসলাম নিঃসন্দেহে শান্তির ধর্ম। ইসলাম শান্তি এ অর্থে যে, 'ইসলামহীনতাই অশান্তি।' মানবাধিকারের প্রবক্তা ইসলামঃ মানবাধিকার বলতে সেই অধিকারকে বোঝায় যা নিয়ে মানুষ জন্মায় এবং যা তাকে বিশিষ্টতা দেয় এবং যা হরণ করলে সে আর মনুষ্যত্ব নিয়ে টিকে থাকতে পারে না।

তানজীর আহমাদ
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template