আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন অত্যন্ত সুন্দরভাবে। প্রথমে তার সৃষ্টি কর্ম শুরু করেছেন মাটি দিয়ে তারপর তাকে বানিয়েছেন বীর্য তা থেকে জমাট রক্ত। তারপর জমাট রক্তকে গোশত পিন্ডের আকারে নিয়ে এসেছেন। তারপর তাকে হাড়ে পরিণত করেছেন। এরপর হাড়কে গোশত দ্বারা ঢেকে দিয়েছেন। অতঃপর সুন্দর অবয়বে তাকে মানুষের আকার দান করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ سُلَالَةٍ مِنْ طِينٍ (12) ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَكِينٍ (13) ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنْشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ (14)
অর্থাৎ, আর আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মাটির সারাংশ থেকে। অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দুরুপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি। এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তে পরিণত করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি। অবশেষে তাকে একটি নতুনরুপে দাড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টি কর্তা কতই না কল্যাণময়। (সূরা মু'মিনুন: ১২-১৪)
এই আয়াতকেই সুন্দভাবে ব্যাখ্যা করে দেয়া হয়েছে নিচের ছবিতে। ছবিতে মানব সৃষ্টির বিভিন্ন স্তর ধারাবাহিকভাবে চিত্রিত হয়েছে। এখানে সাতটা চিত্র আছে। উপরের লাইন ডানদিক থেকে বামদিকে পড়তে হবে। অনুরুপভাবে নিচের লাইনও ডানদিক থেকে বামদিকে পড়তে হবে।
বর্তমান বিজ্ঞান দ্বারা কুরআনের এ আয়াত সত্য প্রমাণিত হয়েছে। কুরআনের এ আয়াত বিজ্ঞানের সাথে হুবহু মিলে যাওয়ায় বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য হয়ে গেছে। তাদের অনেকে বলেছেন: আজকে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার যুগে অনেক কষ্টে এগুলো আবিস্কৃত হয়েছে। অথচ, মুহাম্মদ (সাঃ)আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে এগুলো জানলেন কেমন করে? তখন তো বিজ্ঞানের কিছুই আবিস্কৃত হয়নি। এছাড়াও একজন অশিক্ষিত লোকের পক্ষে তো এগুলো জানা অসম্ভব!! মুহাম্মদ (সাঃ) তো আক্ষরিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না। তিনি ছিলেন নিরক্ষর। তিনি কেমন করে এগুলো জানতে পারেন?!!!!
লিখেছেন ইসমাইল একেবি
Post a Comment