নফল ইবাদত মুমিনদের পরহেজগারীকে পাকাপোক্ত করে। আল্লাহর করুণা পেতে যারা আগ্রহী তারা নফল ইবাদতের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি বিধানে সচেষ্ট হয়।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। যদি সে সঠিক হিসাব দিতে পারে তবে কৃতকার্য হয়ে যাবে, আর যদি ব্যর্থ হয় তবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়ে যাবে। যদি তার ফরজসমূহের মধ্যে কোনো ঘাটতি থাকে তবে বরকতময় মহান আল্লাহ বলবেন : দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল আছে কিনা? যদি থাকে তবে তা দিয়ে তার ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। অতঃপর একইভাবে তার অন্যান্য আমলের হিসাব নেওয়া হবে।
অপর বর্ণনায় আছে, অতঃপর এভাবেই তার যাকাতের হিসাব নেয়া হবে। অতঃপর এই নিয়মে তার অন্যান্য আমলের হিসাব নেওয়া হবে (আবু দাউদ থেকে মিশকাতে)।
নফল ইবাদতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বান্দা মহান প্রভুর সন্তুষ্টি বিধানেই ফরজ ইবাদতের বাইরেও আল্লাহর দিদার লাভের যে প্রয়াস চালায় সেটিই নফল ইবাদত। মহানবী (সা.) সময় পেলেই নফল ইবাদতে নিমগ্ন হতেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে অনুগ্রহ করুন যে রাতে উঠে নামাজ পড়লো এবং নিজের স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললো এবং সেও নামাজ পড়লো। স্ত্রী ঘুম থেকে উঠতে না চাইলে সে তার চেহারায় পানি ছিটিয়ে দিল। আল্লাহ সেই মহিলাকেও রহম করুন যে রাতে উঠে নামাজ পড়লো এবং নিজের স্বামীকেও ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললো এবং সেও নামাজ পড়লো। স্বামী ঘুম থেকে উঠতে না চাইলে সে তার মুখমণ্ডলে পানি ছিটিয়ে দিল (আবু দাউদ থেকে মিশকাতে)।
লেখক : মাওলানা মুহাম্মদ আশরাফ আলী, খতিব, আল আমিন মসজিদ, খুলনা।
Post a Comment