السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

কোরআন ও হাদিসে সবর-এর মাহাত্ম্য

| comments

কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতায়ালা বলেন, হে মু’মিনগণ! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য কামনা করো। নিশ্চিয়ই আল্লাহ্ ধৈর্য্যশীলদের সঙ্গে রয়েছে। (আল-বাকারা-১৫৩) আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়-ভীতি, ক্ষুধা, সম্পদ ও প্রাণের ক্ষতি ও ফল-ফসলের বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও (সেই সব) সবরকারীদের যখন তারা বিপদে পড়ে, তখল বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তারই কাছে ফিরে যাবো। (আল-বাকারা-১৫৫, ১৫৬) এটা গায়েবের খবর, [হে নূহ (আ.)] আমি আপনার প্রতি ওয়াহী প্রেরণ করছি। ইতিপূর্বে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না। আপনি ধৈর্য ধারণ করুন। যারা ভয় করে চলে, তাদের পরিণাম ভালো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। (সূরা হুদ-৪৯)

তোমরা ধৈর্য্য ধারণ করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পূন্যবানদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না। (সূরা হুদ-১১৫)

অতঃপর সে (ইসমাইল) যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হলো, তখন ইব্রাহীম (আ.) তাকে বললেন, হে আমার ছেলে! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে যবেহ্ করছি, এখন তোমার অভিমত কি? সে বললো, পিতা আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করুন। আল্লাহ্ চাহেনতো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন। (সুরা আস্ সাফফাত-১০২)

অতএব আপনি সবর করুন, যেমন উচ্চ সাহসী রাসুলগণ সবর করেছেন এবং তাদের বিষয়ে তড়িঘড়ি করবেন না। তাদেরকে যে বিষয়ে ওয়াদা দেয়া হতো, তা যেদিন তারা প্রত্যেক্ষ করবে, সেদিন তাদের মনে হবে যেনো তারা দিনের এক মূহুর্তের বেশী পৃথিবীতে অবস্থান করেনি। এটা সুস্পষ্ট অবগতি। পাপাচারী সম্প্রদায় ছাড়া কাউকেও ধ্বংস করা হবে না। (আল-আহকাফ-৩৫)

রসুলুল্লাহ্ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ধৈর্য্য ধারনের চেষ্টা করবে আল্লাহ্ তাকে ধৈর্য্যে অবলম্বনের শক্তি দান করবেন, আর ধৈর্য্য হতে অধিক উত্তম ও ব্যাপক কল্যাণকর বস্তু আর কিছুই কাউকে দান করা হয়নি। (বুখারী ও মুসলিম)

হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, বিপদ ও পরীক্ষা যতো কঠিন হবে তার প্রতিদানও হবে ততো মুল্যবান। (এ শর্তে যে মানুষ বিপদে ধৈর্য্যহারা হয়ে সত্য পথ থেকে যেনো পালিয়ে না যায়।) আর আল্লাহ্ যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন তখন অধিক যাচাই ও সংশোধনের জন্য তাদেরকে বিপদ ও পরীক্ষার সম্মুখিন করেন। অতঃপর যারা আল্লাহ্র সিদ্ধান্তকে খুশী হয়ে মেনে নেয় এবং ধৈর্য্য ধারণ করে, আল্লাহ তাদের ওপর সন্তুষ্ট হন। আর যারা বিপদ ও পরীক্ষায় আল্লাহর ওপর অসন্তুষ্ট হয় আল্লাহও তাদের ওপর অসন্তুষ্ট হন। (তিরমিজী)

সংকলনে

মাওলানা জাকির হোসাইন আজাদী
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template