السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

রমজানের মহিমা

| comments

সময়ের সমষ্টিই জীবন; আর জীবনের যাত্রা জš§লগ্ন থেকে শুরু বলে মনে করা হলেও এর সূচনা ‘রুহের জগতে’ সংরক্ষিত রুহুদের সৃষ্টি থেকে। মৃত্যুকে ঘিরে জীবনের সমাপ্তিকাল টানার রীতি প্রচলিত থাকলেও মূলত আত্মার মৃত্যু হয়না কখনও। জীবন চাকা চলছে এবং চলবে অবিরাম। তবে নামের পরিবর্তন ঘটাবে ঘূর্ণায়মান দিনের মত; সকাল, দুপুর, বিকাল, রাত্রি কিংবা আলমে আরওয়াহ, মাতৃগর্ভ, পৃথিবী, কবর, হাশর, জান্নাত বা জাহান্নাম। এ রীতির ভিত্তিতে বলতে হয় ‘মানুষের শেষ নিবাস জান্নাত বা জাহান্নাম’ আর তার নির্ণয়কারী সময় পৃথিবীর স্বল্পকালীন জীবন; তবু বালেগ হওয়া থেকে বৃদ্ধ অবস্থা পর্যন্ত ক্ষণিকের পর্ব। এজন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) দুনিয়ার জীবনকে মুসাফিরের মত পথ চলতে চলতে গাছের ছায়ায় ক্ষণিকের বিশ্রামের সাথে তুলনা করেছেন। এর মাধ্যমেই অসীম চাওয়ার আকাক্সক্ষা। এ সিঁড়ির কোন নির্দিষ্ট মাপ নেই, স্বপ্ন সাগরের কোন নির্দিষ্ট গভীরতা কিংবা ব্যাস-ব্যাসার্ধ নেই; শুধু সামনে চলার ডাকে যেতে হবে, সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হবে, উপরে, আরো উপরে। এর মাধ্যমেই অনন্তকালের পুঁজি সংগ্রহ করতে হবে; আর রোজা তার অন্যতম প্রধান সিঁড়ি। রোজা মুসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক মহান নিয়ামত। মানুষের কল্যাণের জন্যই রোজার বিধান চালু করা হয়েছে। রোজার মাস কল্যাণ ও সৌভাগ্যে পরিপূর্ণ। তাক্বওয়া ও আর্দশভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের পয়গাম নিয়ে রমজান এসেছে। মানুষের দেহ ও মনকে সংযমের শাসনে রেখে ইসলামী জীবনের পরিপন্থী যাবতীয় অসামাজিক ও অমানবিক কার্যাবলী বর্জনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়লার সন্তুষ্টি লাভ ও তাক্বওয়া অর্জনই রমজানের মূলকথা।

রমজানের ফার্সি প্রতিশব্দ রোজা। এর আরবী প্রতিশব্দ আস্সাওম, এর অর্থ; আত্মসংযম, কঠোর সাধনা, অবিরাম চেষ্টা ও বিরত থাকা।

রমজানের এই মর্যাদা ও গুরুত্ব সর্ম্পকে মহাগ্রন্থ আল কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, রমজান মাস হতে কুরআন নাজিল করা হয়েছে, মানুষের জন্য পথনির্দেশ, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী হিসাবে। (বাকারা:১৮৫) এই আয়াতে দু’টি বিষয় নির্দেশিত হয়েছে। আল-কুরআন নাজিল হয়েছে রমজান মাসে। মানবজাতির পথ নির্দেশিকা হচ্ছে আল-কুরআন। রাসুল (সাঃ) বলেছেন- সকল আসমানী কিতাবসমূহ রমজান মাসে নাজিল হয়েছে। (মুসনাদে আহমাদ) আল-কুরআন রাসুল (সাঃ)-এর উপর নাজিল হয়েছে ক্বদরের রাত্রিতে। পরিপূর্ণ কুরআন নাজিল হতে সময় লাগে দীর্ঘ ২৩ বছর। মূলত: রমজানের গুরুত্ব কুরআনের কারণে।

মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template