কুরআন ও হাদিস মনোযোগ দিয়ে অধ্যয়ন করলে তার প্রধান প্রধান কারণগুলো জানা যায়। অর্থাৎ দোযখীদের প্রধান প্রধান অপরাধ সম্পর্কে জানা যায়। যেমন-
(১) আল্লাহ যে সমস্ত নবী ও রাসূলকে ইসলামী জীবন ব্যবস্থাসহ পাঠিয়েছিলেন, সেই জীবন ব্যবস্থাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করা, তাদের সাথে শত্রুতা করা।
(২) জীবনে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লংঘন করা অর্থাৎ আল্লাহর আইন মেনে না চলা।
(৩) অন্যের প্রতি অন্যায় অবিচার ও অত্যাচার করা।
(৪) ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রতি সন্দেহ পোষণ করা।
(৫) অন্যের মনে ইসলামের প্রতি সন্দেহ সৃষ্টির চেষ্টা করা।
(৬) আল্লাহর সাথে শরীক করা।
(৭) যা দেয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহর, তা আল্লাহর কাছে না চেয়ে অন্যের কাছে চাওয়া।
(৮) ইসলামের নামে ভন্ডামী করা।
(৯) অন্যায় কাজে সাহায্য করা।
(১০) আল্লাহকে বেশি ভয় না করে মানুষকে বেশি ভয় করা।
(১১) সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও সমাজে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা না করা।
(১২) নিজের সুবিধা অনুযায়ী ইসলামের কিছু আইন মেনে চলা ও কিছু আইন না মানা।
(১৩) নবী ও রাসূলদের অবর্তমানে যারা অন্যদেরকে ইসলামী জীবন ব্যবস্থার দিকে ডাকে, তাদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ ও শত্রুতা করা।
(১৪) প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর অনুগ্রহে জীবিত থেকে তাঁর দেয়া নিয়ামত ভোগ করেও তাঁর শুকরিয়া আদায় না করে অকৃতজ্ঞ হওয়া।
(১৫) ইসলামী জীবন ব্যবস্থা নিজে গ্রহণ করেনা ও অপরকে গ্রহণ করতে না দেয়া, অপরকে পথভ্রষ্ট করা, ইসলামী আইন যাতে চালু হতে না পারে সেই চেষ্টা করা।
(১৬) আল্লাহ যে ধন সম্পদ দান করেছেন, তা থেকে আল্লাহর পথে খরচ না করা ও মানুষের হক আদায় না করা। সেদিন অপরাধীদেরকে যখন দোযখের সামনে নিয়ে যাওয়া হবে তখন দোযখের দ্বাররক্ষী প্রশ্ন করবে, ‘তোমরা এখানে কেন এলে? তোমরা কি জানতে না, এ স্থান বড় ভয়ঙ্কর? পৃথিবীতে তোমাদের কি কেউ এ ব্যাপারে অবহিত করেনি? ইসলামী বিধান অমান্য করলে এই ধরনের শাস্তি পেতে হবে, তারা কি তোমাদের জানায়নি?’ অপরাধীগণ উত্তরে বলবে, ‘হ্যাঁ, তারা আমাদেরকে ডেকেছিল আল্লাহর পথে। বলেছিল আল্লাহর বিধান অমান্য করলে দোযখে যেতে হবে। কিন্তু তাদের কথা আমরা বিশ্বাস করিনি।’ মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবিশ্বাসী কাফেরদের দলে দলে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। দোযখের রক্ষক দ্বার খুলে দিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে, তোমাদের নিকট কি আল্লাহর রসূলগণ তাঁদের প্রভুর আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনাননি? তোমরা যে এদিনের সম্মুখীন হবে সে সম্পর্কে তারা কি তোমাদেরকে সতর্ক করে দেননি?’ অপরাধিগণ উত্তরে বলবে, হ্যাঁ, তারা তো বলেছেন।’ ‘কিন্তু কাফেরদের জন্য শাস্তির যে ওয়াদা করা হয়েছিল, সেদিন তা পূর্ণ করা হবে। তারপর তাদেরকে বলা হবে, তোমারা দোযখে প্রবেশ করো।’ ‘অহংকারী কাফেরদের জন্য ভয়ানক গর্হিত স্থান এ দোযখ। আর এখানেই তাদেরকে থাকতে হবে চিরকাল।’ (সূরা যুমার-৭০-৭১)
Post a Comment