السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

হযরত ইয়াহিয়া (আঃ)

| comments

একদা হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) এর সাথে ইবলিশের দেখা হয় । ইবলিশের হস্তস্হিত একটি বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহর নবী জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি তোমার হাতে ? ইবলিশ বললো, - এটা শাহওয়াত বা প্রবৃত্তির তাড়না । এটা দিয়ে আমি বনী আদমকে শিকার করে থাকি । হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে শিকার করার জন্য কি তোমার কাছে কিছু আছে ? ইবলিশ বললো , - না; তবে এক রাত্রিতে আপনি পরিতৃপ্ত হয়ে ভোজন করেছিলেন, সেই সুযোগে আমি আপনাকে অবসাদ গ্রস্ত করে নামায হতে উদাসীন করে দিয়েছিলাম । হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) বললেন, 'আজ থেকে আমি আর কোনদিন তৃপ্ত হয়ে আহার করবো না ।' ইবলিশ বললো,- তাহলে আমিও আজ থেকে আর কোনদিন বনী আদমকে নসীহত করবো না ।


হযরত সুলাইমান (আঃ) বলেছেন, 'যে ব্যাক্তি স্বীয় প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, সে দ্বিগ্বিজয়ী সেনাপতির চাইতেও বড় বাহাদুর ।'


মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ' জঠর জ্বালার মাধ্যমে তুমি তোমার অন্তকরণকে জোর্তিময় করে তোল, ক্ষুধা ও তৃষ্ঞার অস্ত্রের মাধ্যমে তুমি তোমার রিপুর বিরুদ্ধে জিহাদে প্রবৃত্ত হও । ক্ষুধার সাহায্যে তুমি সদা বেহেশ্তের দরজায় কষাগাত করতে থাক । কেননা, এতে তোমার আমলনামায় জিহাদের সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে । '


হযরত লোকমান হাকীম (রহঃ) স্বীয় পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, -'অধিক মাত্রায় নিদ্রা ও ভোজন থেকে নিজকে বিরত রাখ । কেননা, অধিক নিদ্রাযাপনকারী ও অধিক ভোজনকারী কিয়ামতের দিন আমল ও ইবাদত শূন্য হবে ।'

সুত্রঃ মুকাশাফাতুল ক্বুলুব । হযরত ইমাম গাজ্জ্বালী (রহঃ)

Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template