السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

হযরত আদম (আ:)

| comments

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আল্লাহর সৃষ্ট প্রথম মানব হলেন আদম (আ:)।পবিত্র কুরআনের বর্ণিত রয়েছে আল্লাহ বলেন,”নিশ্চয়ই আমি তাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি, তারপর তার দেহে প্রাণ সঞ্চার করেছি”। আদম (আ:) এর পাঁজর থেকে সৃষ্টি করা হয় হাওয়া (আ:) কে। সৃষ্টির পর তাদের আবাস হয় বেহেশত বা জান্নাতে । মানুষ যেহেতু সকল সৃষ্টির সেরা তাই আদমকে সিজদা করার জন্য ফেরেশতাকুল কে আল্লাহ আদেশ দেন। আল্লাহর এই আদেশ সকল ফেরেশতাকুল প্রতিপালন করেন কিন্তু ইবলিশ তা অমান্য করেন। ফলে আল্লাহ ইবলিশকে জান্নাত থেকে বের করে শয়তান বানিয়ে দেন।

আবূ হূরায়রা থেকে বর্ণিত যে, হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, যখন আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেছিলেন তখন তার উচ্চতা ছিল ৬০ কিউবিট বা হাত এবং বেহেশতে প্রবেশকালে আদম (আ:) এর আকার লাভ করবে মানুষ জাতি।


সৃষ্টির পর আদম (আ:) ও হাওয়ার (আ:) অবস্থান ছিল জান্নাতে। তাদের জন্য সেখানে এক ধরনের বিশেষ ফল(গন্দম) খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। আদম এবং হাওয়া উভয়ই শয়তানের প্রোচনায় এসে গন্দম ফল খেয়ে ফেলেন।


এটি মানুষের আদিপাপ বলে পরিগণিত হয়। মহান আল্লাহ এর শাস্তি স্বরূপ তাদেরকে বেহেশ্ত থেকে বিতাড়িত করেন এবং পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন। আদম (আ:)পৃথিবীতে শত শত বছর আল্লাহর কাছে তওবা করেন তাদের ভুলের জন্য। পবিত্র কুরআনে আছে, আদম আল্লাহর কাছে এই দোয়া করতেন


“রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খাসেরীন”


অর্থাৎ”আল্লাহ ভুল করেছি,গুনা করেছি,অপরাধ করেছি তুমি যদি মাফ না করো মাফ করার কেহ নাই”


এই দোয়া করে তিনি চোখের পানি ফেলে ফেলে আল্লাহর কাছে তওবা করতেন। মহান আল্লাহ তাআলা আদম কে ক্ষমা করে দেন।


আদম (আ:) এবং হাওয়া (আ:) অবতরণ করেন পৃথিবীর ভিন্ন দুটি স্থানে। আদম অবতরণ করেন সিংহলে আর হাওয়া অবতরণ করেন হিজাযে। আরবের আরাফাত নামক প্রান্তরে


দীর্ঘদিন পর পুনর্মিলন হয় তাদের। আল্লাহর তরফ থেকে পৃথিবীতে আগমনের পর আদম (আ:) ও হাওয়া (আ:)কে কাবাগৃহ নির্মাণের আদেশ প্রদান করা হয়। ক্বাবা নির্মিত হয়ে গেলে তাদেরকে তা তাওয়াফ করার আদেশ দেয়া হয়। আদমের নিঃসঙ্গতা দূরীকরণের জন্য হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয় তার বাম পাঁজরের হাড় থেকে। হাওয়া ছিলেন তার স্ত্রী। পৃথিবীতে আগমনের পর ১৪০ জোড়া সন্তান হয় তাদের। ইসলামের ইতিহাসে , ইসলামের শিক্ষায় , ইসলামী জীবনীতে আমার হযরত আদম (আ:) সম্পর্কে আরো অনেক কিছুই জানার আছে।

Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template