السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

রোজা তাকওয়া ও বেহেশত

| comments

মুক্তির এই দশকেই রোজাদার লাভ করে বেহেশতের আশ্বাস। এই আশ্বাস বয়ে আনে আল্লাহর ভয়। একজন ঈমানদারের শ্রেষ্ঠ গুণ হলো তাকওয়া। তাকওয়া ও আল্লাহভীতি অর্জনের শুভপ্রহর এই রমজান_ এ কথা জেনেছি আমরা রোজার শুরুতে। তারপর কী বয়ে আনে এই তাকওয়া? আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট করে বলেছেন_ 'তোমরা এগিয়ে যাও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমার প্রতি এবং সেই বেহেশতের প্রতি_ যার বিস্তৃতি আসমান ও জমিনের ন্যায়_ যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য। যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী ও মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল; আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদেরকে ভালোবাসেন।' (আলেইমরান :১৩৩-১৩৪)
তাকওয়ার জন্য রমজান_ এ কথা আমরা জানি। উলি্লখিত আয়াত দুটিতে আল্লাহতায়ালা জানিয়েছেন_ এ গুণে যারা বিভূষিত হবে তাদের নিবাস হবে বেহেশত। অধিকন্তু মুত্তাকী হতে হলে নিজের মধ্যে কী কী গুণ ও চরিত্র ধারণ করতে হয় তাও বলে দিয়েছেন আল্লাহতায়ালা। দান, ধৈর্য ও মানুষের প্রতি সদয়প্রাণ হওয়া তন্মধ্যে অন্যতম। আবু মালিক আশয়ারী (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন_ বেহেশতে এমন অনেক কক্ষ আছে যার ভেতর থেকে বাইরের সবকিছু এবং বাইরে থেকে ভেতরের সবকিছু দেখা যাবে। এর অধিকারী হবে তারাই যারা মানুষকে খেতে দেয়, নিয়মিত রোজা রাখে আর মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তারা তখন থাকে নামাজে মশগুল (মাজমাউয যাওয়াইদ_ আননিহায়া ফিলকিতাব : ইবনে কাছর :৪৭৮ পৃ.)
সুরা যুমার-এ আল্লাহতায়ালা তাকওয়া অর্জনকারীদের পুরস্কার সম্পর্কে বলেছেন_ 'যার ওপর দণ্ডাদেশ অবধারিত হয়েছে; তুমি কি সেই ব্যক্তিকে রক্ষা করতে পারবে যে দোজখে আছে? তবে যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে (মুত্তাকীগণ)_ তাদের জন্য রয়েছে অনেক প্রাসাদ_ যার পাদদেশে প্রবাহিত নদীর পর নদী। এটা আল্লাহর অঙ্গীকার। আল্লাহতায়ালা অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না। (যুমার :১৯-২০)
কী মান ও মর্যাদায় বেহেশতে প্রবেশ করবে এই মুত্তাকীগণ তাও বর্ণিত হয়েছে পাক কোরআনের পবিত্র পাতায়। আল্লাহতায়ালা বলেছেন_ 'যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করত (মুত্তাকীগণ) তাদেরকে দলে দলে বেহেশতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা বেহেশতের কাছে উপনীত হবে এবং তার দ্বারসমূহ খুলে দেওয়া হবে তখন বেহেশতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে_ সালামুন আলাইকুম_ তোমাদের প্রতি সালাম! তোমরা সুখী হও এবং স্থায়ীভাবে থাকার জন্য বেহেশতে প্রবেশ করো। তারা বেহেশতে প্রবেশ করে বলবে : সকল প্রশংসা আল্লাহর_ যিনি আমাদের প্রতি তার অঙ্গীকার পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে অধিকারী করেছেন এই ভূমির_ আমরা বেহেশতের যেখানে খুশি বসবাস করব। সদাচারীদের পুরস্কার কত উত্তম! (যুমার :৭৩-৭৪)।
মানবজীবনের এই তো সফলতা। সফলতা ও সৌভাগ্যের এই রাজ আশীর্বাদ নিয়েই এসেছে রমজান। আজ পঁচিশতম দিন। এই আশীর্বাদ কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি আমি_ এটাই এখন বড় জিজ্ঞাসা! 

Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template