জান্নাত থেকে বের করার সময় হজরত আদম ও হাওয়া (আ.)-কে আল্লাহ কী বলেছিলেন?
হজরত আদম (আ.) পৃথিবীর প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী। হজরত হাওয়া (আ.)-ও পৃথিবীর সর্বপ্রথম নারী। জান্নাত থেকে বিদায়কালে হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে আল্লাহ বলে দিয়েছিলেন, 'ইবলিস তোমাদের চিরশত্রু। সব সময় সে তোমাদের ক্ষতির চিন্তা করবে। তোমাদের বিপদে ফেলবে ও ধোঁকা দেবে। তোমরা তার ষড়যন্ত্র ও ধোঁকা থেকে সাবধান থাকবে। তোমাদের কাছে আমি সব রকম আদেশ-নিষেধের বিধান পাঠাব। সেগুলো তোমরা মেনে চলবে। তবেই পুনরায় জান্নাতে পরম সুখ-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
হজরত আদম ও হাওয়া (আ.)-কে আল্লাহ তায়ালা কেন জান্নাত থেকে বের করে দেন?
হজরত আদম (আ.) পৃথিবীর প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী। মহান আল্লাহ মাটি দ্বারা আদম (আ.)-এর দেহের আকৃতি বানালেন। এরপর সেই দেহের মধ্যে 'রুহ' ফুঁকে দিলেন। তাঁর নাম রাখলেন আদম। আল্লাহ তায়ালা হজরত আদম (আ.)-কে অনেক জ্ঞান-বুদ্ধি দান করলেন। তাঁকে সব সৃষ্ট জীবের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব দিলেন। আল্লাহ তায়ালা হজরত আদম ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে থাকতে দিলেন। সেখানে তাঁদের জন্য নানা রকম পানাহার, ফল-ফলাদি ও আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করলেন।
আল্লাহ তায়ালা বললেন, 'তোমরা জান্নাতে থাক, যা খুশি পানাহার করো। কিন্তু সাবধান! এ গাছটির নিকটেও যেও না। তাহলে তোমাদের ভীষণ ক্ষতি হবে।' হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.) আল্লাহর হুকুম মেনে পরম সুখে-শান্তিতে জান্নাতে বসবাস করতে লাগলেন। হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)-এর জান্নাতে এ সুখ-শান্তি ইবলিস সহ্য করতে পারল না। তাই সে কী করে তাঁদের ক্ষতি করতে পারবে, তা ভাবতে লাগল। অবশেষে একদিন ছল-চাতুরির দ্বারা হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)-কে আল্লাহর নির্দেশ ভুলিয়ে দিল। তাঁরা ওই নিষিদ্ধ গাছের কাছে গেলেন এবং তার ফল খেলেন। আল্লাহর হুকুম অমান্য করায় আল্লাহ তায়ালা তাঁদের ওপর নারাজ হলেন। তাঁদের দুইজনকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে দিলেন।
Post a Comment