السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

সুজা মসজিদ, চাঁদপুর

| comments

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ওয়ালিপুর গ্রামে শাহ সুজা মসজিদটির অবস্থান। ভবনটির অনেক কিছুই এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। তারপরও অতীতের কিছু স্মৃতিচিহ্ন এখনো রয়ে গেছে। তবে মসজিদটির কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি। জানা যায়, শাহ সুজার এক অফিসার শাহরিয়ার আবদুল্লাহ ১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন। শাহরিয়ার তার প্রভুর সম্মানে এর নাম দেন 'সুজা মসজিদ'।
Suza Mosque
সম্পূর্ণ ইটে নির্মিত মসজিদটি আয়তাকার। বাইরের দিক থেকে ১৪.০২ মিটার ী ৬.৮৬ মিটার। চার কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকার, পাশর্্ববুরুজ, যেগুলোর ভিত্তিমূল এখনো ধ্বংসস্তূপে রয়েছে। মসজিদে পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে। তিনটি পূর্বদিকে এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে। পূর্ব পাশ্বর্ের সব প্রবেশ পথই অর্ধ-গম্বুজ ভল্টের নিচে উন্মুক্ত। কেবলা দেয়ালে প্রবেশ পথের অক্ষ বরাবর আছে তিনটি মিহরাব। অর্ধ-অষ্টভুজাকার কেন্দ্রীয় মিহরাবটি অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত এবং পেছনের দিকে প্রক্ষিপ্ত। পাশর্্ববর্তী মিহরাব কুলঙ্গিগুলো আয়তাকার। কেন্দ্রীয় প্রবেশপথ ও মিহরাবটির অভিক্ষিপ্ত ছোট মিনারগুলো বিলীন হয়ে গেছে। মসজিদ অভ্যন্তর দুটি প্রশস্ত খিলান দ্বারা তিন ভাগে বিভক্ত। মাঝের অংশটি বর্গাকার এবং পাশ্বর্বর্তী আয়তাকার অংশ দুটি অপেক্ষা বড়। এগুলো অষ্টভুজাকার ড্রামের ওপর স্থাপিত গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত। মাঝের গম্বুজটি পাশের দুই গম্বুজ অপেক্ষা বড়। পদ্মচূড়া সংবলিত সব গম্বুজের নির্মাণ কৌশল ঢাকার ইসলাম খান মসজিদের (১৬৩৫-৩৯) নির্মাণ পদ্ধতি লক্ষণীয়। মসজিদটি খুবই জরাজীর্ণ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা সম্প্রতি এটি সংস্কার করেছেন।

* শাম্মী শিল্পী তুলতুল
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template