السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

জামাতে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে

| comments

পবিত্র কোরআনের সূরা আল কলমের ৪২ ও ৪৩ আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'যেদিন কঠিন সময় উপস্থিত হবে এবং লোকদের সিজদা করার জন্য ডাকা হবে, তখন তারা সিজদা করতে পারবে না। তাদের দৃষ্টি হবে নিচু, লাঞ্ছনা-অপমান তাদের ওপর চেপে বসবে। তারা যখন সুস্থ ও নিরাপদ ছিল (দুনিয়াতে), তখন তাদের সিজদা করার জন্য (জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য) ডাকা হতো (কিন্তু তারা তাতে সাড়া দিত না)।' আয়াত দুটিতে কিয়ামতের চিত্র বর্ণিত হয়েছে। হজরত কস্ফাব আল আহ্বার (রা.) বলেন, এ আয়াত কেবল নামাজের জামাতে অনুপস্থিত থাকা লোকদের প্রসঙ্গে নাজিল হয়েছিল। তাবেয়িনদের ইমাম সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহ.) বলেন, তারা আজান শুনত অথচ সুস্থ-সবল থাকা সত্ত্বেও জামাতে হাজির হতো না।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবাররূপী ছোট সাম্রাজ্যের কর্তৃত্ব থাকে নারীদের হাতে। মুসলিম নারীদের কাজকর্মে ইসলামী আদর্শ ফুটে উঠতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'মোমিন নারী ও মোমিন পুরুষরা পরস্পর সহযোগী। তারা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে।' রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, 'স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের জিম্মাদার, তাকে সে জিম্মা সম্পর্কে পরকালে জবাবদিহি করতে হবে' (মিশকাত)। ছেলে, স্বামীসহ পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদমুখী করে দেওয়া, জামাতে নামাজ আদায় নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একজন আদর্শ মুসলিম নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাগতিক সব ব্যাপারে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি স্বামী, সন্তানসহ পুরুষদের ধর্মমুখী করার ব্যাপারে ভূমিকা না রাখলে নারীদের আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা, চেষ্টা-সাধনা থাকতে হবে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। ইচ্ছা করলে উপায় হয় আর আল্লাহও সহায় হন। জামাতে নামাজ আদায়ের গুরুত্বকে মনে-প্রাণে উপলব্ধি করে আপনি যদি ইচ্ছা করেন যে, আমি এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করব ইনশাআল্লাহ। দেখবেন আল্লাহর রহমতে তা আদায়ে আপনি সক্ষম হচ্ছেন। ফজরের কথা চিন্তা করছেন? যত রাতেই আপনি ঘুমাতে যান না কেন, কায়মনোবাক্যে যদি আল্লাহকে বলেন, আল্লাহ দয়া করে আমাকে ফজরের সময় জাগার তওফিক দিও, দেখবেন ঠিকই কোনো না কোনোভাবে আপনি জেগে গেছেন।

-দিদার উল আলম
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template