মানুষের মর্যাদা : মানুষ ফেরেশতার চেয়েও মর্যাদাবান। তবে মানুষ যদি আল্লাহপাকের নাফরমানী করে, তাহলে সে হিংস্র জানোয়ারের চেয়েও অধম ও নিকৃষ্টতর হয়ে যায়। কোরআনে পাকে এরশাদ করা হয়েছে_
'আর নিশ্চয়ই আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য এমন অনেক জি্বন ও মানুষকে, যাদের রয়েছে এক ধরনের হৃদয়, যা দ্বারা তারা কিছুই বোঝে না এবং যাদের রয়েছে এক প্রকার চোখ, যা দ্বারা তারা কিছুই দেখে না এবং যাদের রয়েছে এক ধরনের কান, যা দ্বারা কিছুই শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো বরং তারা সেগুলোর চেয়েও অনেক বিপথগামী। তারাই পরিপূর্ণ গাফেল।'
যারা আমার দেওয়া অন্তর দ্বারা ভালো চিন্তা করে না; কান দ্বারা ভালো কথা শ্রবণ করে না, চক্ষু দ্বারা ভালো জিনিস দেখে না, তারা হলো চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় বরং আরো অধম। তারা গাফেল। পক্ষান্তরে যাদের অন্তরে আমি ছাড়া অন্য কিছু নেই, যারা আমার নাফরমানীর কোনো কাজ করতে রাজি নয়, তারা হলো আমার প্রিয় বান্দা, আর তারাই শ্রেষ্ঠ মাখলুক।
সালাম প্রসঙ্গ : হজরত আদম (আ.)-এর সালামের জবাবে ফেরেশতাগণ বললেন, ওআলাইকুমুস সালাম। যুগে যুগে দুনিয়াতে নবী রাসূল পরিবর্তন হবে কিন্তু সালামের বিধান পরিবর্তন হবে না। এ সালাম কিয়ামত অবধি জারি থাকবে। এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে দেখে সালাম দিবে, এটা ইসলাম ও মুসলমানদের আলামত হবে। এ নির্দেশ শুধু দুনিয়াতে নয়, কবরে, হাশরে, জান্নাতেও চালু থাকবে। জান্নাতে বান্দাদের সঙ্গে দীদার দেওয়ার সময় আল্লাহপাক প্রথমে বলবেন আস্সালামু আলাইকুম।
লেখক : মাওলানা মাহমূদুল হাসান, খতিব, গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ, ঢাকা।
Post a Comment