ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি। মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার জন্য মহানবী (সাঃ)-এর আবির্ভাব হয়েছিল। মহানবী (সাঃ) তাঁর কিশোর জীবন থেকেই সমাজে শান্তি-শৃক্সখলা প্রতিষ্ঠা এবং এক মানুষের সঙ্গে অপর মানুষের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টির জন্য করেছেন। একটি কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এ সমাজের সদস্যদের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন থাকা দরকার। পবিত্র কোরআন এবং হাদিসে রাসূল (সাঃ)-এর মাধ্যমে মুসলমানদের তথা মানবজাতিকে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহ থেকে দূরে থাকার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র কুরআনুল কারীমে এরশাদ করা হয়েছে, 'নিশ্চয়ই সব মুমিন পরস্পর ভাই ভাই। অতএব, তোমরা দুই ভাইয়ের মধ্যে সন্ধি করিয়ে দাও।' এক মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের সংঘাতের অবসান ও ভুল বোঝাবুঝি দূরীকরণের ক্ষেত্রে মহানবী (সাঃ) বারবার তাগিদ দিয়েছেন।
একজন মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের সংঘাত মিটিয়ে দিতে মধ্যস্থতাকারী যাতে বিবদমান এক পক্ষের কাছে অন্য পক্ষের হয়ে এমন বার্তা পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে যা শুনে তার মন নরম হয় এবং প্রতিপক্ষের প্রতি ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি হয়।
ইসলামের আবির্ভাবকালে আরবের মানুষ হানাহানিতে লিপ্ত ছিল। ইসলামের পরশ পাথর তাদের মন থেকে হিংসা ও বিদ্বেষ দূরীভূত করে। পরস্পরকে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে। যে আরবরা ছিল অপরের অধীন ও দুর্বল তারা মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়। শয়তান সবসময় চায় এক মানুষের সঙ্গে অপর মানুষের বিভেদ সৃষ্টি করতে। শয়তানের এ উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে মুমিনরা একে অপরের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবে, একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত হবে এমনটিই কাম্য। এটিই রাসূলে পাক (সাঃ)-এর সুন্নাত। আল্লাহ আমাদের এ সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরার তওফিক দান করুন।
লেখক :মাওলানা শাহাবুদ্দিন, খতিব, আল ইসলাহ মসজিদ, নারায়ণগঞ্জ।
Post a Comment