السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

সাহারী ও সেহরী শব্দের বিশ্লেষণ

| comments

আরবী সাহরুণ অর্থ রাতের শেষ ভাগ। যেমন আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন নাজ্জাইনাহুম বিসাহারিন অর্থাৎ আমি তাদের (লূত নবীর পরিবারবর্গকে) রাতের শেষ ভাগে মুক্তি দিয়েছিলাম। (সূরা কামার ৫৪ঃ ৩৪ আয়াত, তফসীর ইবনে কাসীর ৪র্থ খণ্ড, ২৬৬ পৃষ্ঠা)

একটি হাদীসে প্রিয় নবী (সা:) বলেন, আমাদের এবং আহলে কিতাবদের সিয়ামের মধ্যে পার্থক্য আকলাতুস সাহারী বা শেষ রাতের খাওয়া। (মুসলিম ১ম খণ্ড, ৩৫০ পৃঃ, তিরমিযী, ১ম খণ্ড, ৮৯ পৃঃ, আবূ দাউদ ১ম খণ্ড ৩২০ পৃঃ মিশকাত, ১৭৫ পৃঃ)। উক্ত আয়াত ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সিয়াম রাখার উদ্দেশ্যে ভোর রাতে যে পানাহার করা হয় তাকে সাহারী বলা হয়। ঐ উচ্চারণটা ‘সেহরী’ কিংবা ‘সাহ্রী’ ঠিক নয়। কারণ সেহরুণ শব্দের অর্থ জাদু, ধোঁকা প্রভৃতি। যেমন কুরআনে আছে, ইয়ালামুনা নাসাস সেহ্রা” তারা লোকদেরকে জাদু শেখাত। সূরা বাকারা ২ঃ ১০২ আয়াত)

আর সাহরুণ শব্দের অর্থ ফুসফুস, বুকের উপর ভাগ, কণ্ঠনালীর নি¤œভাগ প্রভৃতি। যেমন একটি হাদীসে আছে ‘আয়িশা (রা:) বলেন, নবী (সা:) আমার বুক ও কণ্ঠনালীর মাঝে মারা গিয়েছিলেন। (আননিহা-য়াহ ফী গালীবিল হাদীস ওয়াল আ-সার, ২য় খণ্ড, ১৬১ পৃঃ)

আল্লাহর রাসূল (সা:) বলেন, তোমরা সাহারী খাও কারণ সাহারীর মধ্যে বরকত রয়েছে। (বুখারী, মুসলিম)

তিনি (সা:) বলেন, আহলে কিতাব অর্থাৎ ইয়াহূদী-খৃষ্টান ও আমাদের সিয়ামের মধ্যে পার্থক্যই হল সাহারী খাওয়া (মুসলিম, মিশাকাত, ১৭৫ পৃঃ) সিয়াম ও রামাযান

এ দু’টি হাদীস প্রমাণ করে, যারা সাহারী না খেয়ে সিয়াম রাখে তাদের সিয়াম এবং ইয়াহূদী ও নাসারাদের সিয়ামের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। আর যারা সাহারী না খায় সেই সিয়াম পালনকারী ব্যক্তি বরকত থেকেও বঞ্চিত হয়। সুতরাং যারা সিয়াম রাখেন তাদেরকে সাহারী অবশ্যই খেতে হবে। যদি কেউ একথা বলেন যে, ইফতারের পর ভাত খেলে বা অন্য কোন কারণে তার পেট ভরে থাকে তার সাহারী খাবার ইচ্ছা মোটেই হয় না। কিংবা সাহারী খেলে বদ হজম হয় বা অন্য কোন অসুবিধা দেখা দেয় তাহলে তিনি ইয়াহূদী ও নাসারা না হবার স্বার্থে ইফতারের পর কিছু খাবেন না, বরং কেবল সাহারীতে খাবেন। কারো যদি কোন কারণে এক আধ দিন সাহারী খাবার রুচি না হয় তাহলে তিনি অন্ততঃপক্ষে একটা খেজুর ও এক ঢোক পানি সাহারীর নিয়্যাত করে খেয়ে নিবেন। যাতে করে ইয়াহূদী ও নাসারার সাথে মিল না হয় এবং তিনি এ বরকত থেকেও বঞ্চিত না হন।
**হোসাইন আল খালদুন**
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template