السلام عليكم

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার (তওবা) করবে আল্লাহ তাকে সব বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা: ৩৮১৯]

হজ্বের মাহাত্ম্যপূর্ণ দোয়া সমূহ

| comments

ঘর হতে বের হওয়ার সময় বলবেনঃ

বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলালস্নাহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইলস্না বিলস্নাহ্।
অর্থঃ আলস্নাহ্র নামে তাঁরই উপর নির্ভর করে বের হচ্ছি। তাঁর সাহায্য ছাড়া কোন সৎ কাজই সমাধা হয় না এবং অসৎ কাজ হতেও বেঁচে থাকা যায় না। মক্কায় হারাম শরীফে প্রবেশকালে পড়বেনঃ
আলস্নাহুম্মা হাযা আম্নুকা ওয়া হারামুকা ওয়ামান দাখালাহু কানা আমিনা। ফাহার্রিম লাহ্মী ওয়া দামী ওয়া আযামী ওয়া বাশারী আলান্নার।

অর্থঃ হে আলস্নাহ্! ইহা তোমার সুরৰিত পবিত্র স্থান। এখানে যে-ই প্রবেশ করে, সে-ই তোমার আইনে নিরাপত্তা পায়। সুতরাং আমার রক্ত, গোশ্ত, অস্থি ও চর্মকে দোযখের আগুনের জন্য হারাম করে দাও।

কা'বা শরীফ দৃষ্টিগোচর হওয়ামাত্র এ দো'আ পাঠ করবেনঃ
লাব্বাইকা আলস্নাহুম্মা লাব্বাইক; লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক; ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক লা শারিকা লাক্। আলস্নাহুম্মার যুক্নী বিহা কারারান্; ওয়ার যুকনী ফীহা রিয্ক্বান হালাল।

অর্থঃ আমি হাজির, হে আলস্নাহ! আমি হাজির, আমি হাজির, কোন শরীক নাই তোমার, আমি হাজির, নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই, আর সকল সাম্রাজ্যও তোমার, কোন শরীক নাই তোমার। হে আলস্নাহ! এখানে আমাকে স্থিতি এবং হালাল রম্নযী দাও।

মাকামে ইব্রাহীমের নিকটে গিয়ে পড়বেন
আলস্নাহুম্মা ইন্নাকা তা'লামু সিররী ওয়া আলানিয়্যাতী ফাআক্বীল মা'যিরাতি, ওয়া তা'লামু হাজাতী, ফাতিনী সু'আলী ওয়া তা'লামু মা ফী নাফসী ফাগফির্লী যুনুবী। আলস্নাহুম্মা ইনি্ন আসআলুকা ঈমানাই ইউবাশিরম্ন ক্বাবলী ওয়া ইকীনান্ সাদিকান্ হাত্তা আ'লামা আন্নাহু লাইউসিবুনী ইলস্না মা কাতাবতা লী ওয়া রিযাআমমিনকা বিমা কাস্সামতালী, আনতা ওয়ালিয়্যী ফিদ্ দুনইয়া ওয়াল আখেরাহ, তাওয়াফ্ফানী মুসলিমান ওয়াআলহিকনী বিস্সালিহীন।

অর্থঃ হে আলস্নাহ! তুমি আমার গোপন ও প্রকাশ্য সবই জান। সুতরাং আমার অনুসূচনা গ্রহণ কর। তুমি আমার চাহিদা সম্পর্কে সম্যক অবগত, সুতরাং আমার আবেদন কবুল কর, তুমি আমার অনত্দরের কথা জান, সুতরাং আমার গুনাহসমূহ মোচন কর। হে আলস্নাহ্! আমি তোমার কাছে চাচ্ছি এমন ঈমান- যা আমার অনত্দরে স্থান লাভ করবে এবং সাচ্চা ইয়াকীন- যাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে আমার জন্য যা তুমি নির্ধারিত করে রেখেছো।
তা-ই আমার জীবনে ঘটবে তুমি যা আমার ভাগ্যে রেখেছ, তাতে যেন আমি রাযী থাকতে পারি। ইহ-পরকালে তুমিই আমার সহায়। আমাকে মুসলমান হিসাবে মৃতু্য দিও এবং সৎকর্মশীলগণের সাথী করো।

মুলতাযামের দো'আঃ
আলস্নাহুম্মা ইয়া রাব্বাল্ বায়তিল আতিক, রিকাবানা ওয়া রিকাবা আবা-ইনা ওয়া উম্মাহাতিনা ওয়া ইখওয়ানিনা ওয়া আওলাদিনা মিনান্নার, ইয়া জাল জুদি ওয়াল কারামী ওয়াল ফাদলী ওয়াল মান্নী ওয়াল আতায়ী ওয়াল ইহ্সান। আলস্নাহুম্মা আহসিন আকিবাতান না ফিল উমুরী কুলিস্নহা ওয়া আজির্না মিন খিয্য়ীদ দুন্ইয়া ওয়া আযাবীল আখিরাহ্।

অর্থঃ হে আলস্নাহ্! হে প্রাচীনতম ঘরের মালিক! আমদিগকে, আমাদের পিতা-মাতাকে, আমাদের ভাই-বোনদিগকে, সনত্দান-সনত্দতিকে জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দাও। হে দয়ালু দাতা, করম্নণাময়! মঙ্গলময়! হে আলস্নাহ্! আমাদের সকল কর্মের শেষ ফলকে সুন্দর করে দাও। ইহকালের অপমান ও পরকালের শাসত্দি হতে আমাদিগকে বাঁচাও।

যমযমের পানি পান করার দো'আঃ
আলস্নাহুম্মা ইনি্ন আস্আলুকা ইলমান্ নাফিয়ান্ ওয়া রিযকান্ ওয়াসিয়ান্ ওয়া শিফায়ান্ মিন কুলিস্ন দাইন্।
অর্থঃ হে আলস্নাহ্! আমি তোমার নিকট ফলপ্রসূ ইল্ম সচ্ছল জীবিকা এবং সকল রোগের নিরাময় কামনা করছি।

সায়ীর দো'আসমূহ
সাফা পাহাড়ে উঠতে উঠতে পড়বেনঃ
ইন্নাস্সাফা ওয়াল মারওতা মিন শা'আ-ইরিলস্নাহ ফামান হাজ্বাল বায়তা আবি' তামারা ফালা জুনাহা আলাইহি আইয়াঁত্তাওয়াফা বিহিমা, ওয়ামান তাতাওওয়াআ খায়রান ফাইন্নালস্নাহা শাকিরম্নন আলীম।
অর্থঃ নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আলস্নাহর নিদর্শনসমূহের অনত্দভর্ুক্ত। সুতরাং যে ব্যক্তি বায়তুলস্নায় হজ্ব্ব কিংবা ওমরা করবে এ দু'টির তাওয়াফ-এ (সায়ীতে) তার জন্য দোষ নাই, কেউ স্বেচ্ছায় ভাল কাজ করলে নিশ্চয় আলস্নাহ পুরস্কারদাতা সর্বজ্ঞ।

সাফা মারওয়ায় সায়ী করার সময় সবুজ পিলারদ্বয়ের মাঝে দ্রম্নত চলার সময়ের দো'আঃ
রাবি্বগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতাল আ'আয্যুল আকরাম।
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ৰমা কর, দয়া কর, তুমি মহা পরাক্রমশীল, মহাসম্মানী।

আলস্নাহু আকবারম্ন কাবীরান ওয়াল হামদু লিলস্নাহি কাসীরান। ওয়া সুবহানালস্নাহিল অযীমি ওয়া বিহামদিহিল কারীমি বুকরাতা ওঁয়াআসীলা ওয়া মিনাল লাইলি ফাসজুদ লাহু ওয়া সাবি্বহ্হু লাইলান তাবিলা। লা ইলাহা ইলস্নালস্নাহু ওয়াহদাহু আনজাযা ওয়াহদাহু ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহ্দাহু লা শাইআ কাবলাহু ওয়া বায়দাহ্ ইউহ্য়ী ওয়া ইউমিতু ওয়া হাইয়ুন দাইমুন লা-ইয়ামূতু বিয়াদিহিল খায়রম্ন ওয়া ইলাইহিল মাসীর, ওয়া আলা কুলিস্ন শায়্যিন কাদির। রাবি্বগফির ওয়ারহাম ওয়া'ফু ওয়া তাকাররাম ওয়া তাজাওয়াজা আম্মা তা'লাম ইন্নাকালস্নাহু তা'লামু মালা না'লাম ইন্নাকা আনতাল আআয্যুল আকরাম।
অর্থঃ আলস্নাহ্ অতি মহান আর অগণিত প্রশংসা তারই প্রাপ্য। মহান আলস্নাহ্র পবিত্রতা বয়ান করছি, দয়ালু আলস্নাহর প্রশংসা বর্ণনার সাহায্যে সন্ধ্যা ও সকালে, (হে মানব) রাতের কোন সময়ে উঠে তার দরবারে সিজদা কর। আর দীর্ঘ রাত ধরে পবিত্রতা বয়ান কর। আলস্নাহ ছাড়া আর কেউ মাবুদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়। (অতীতে) তিনি ওয়াদা পালন করেছেন, তাঁর বান্দা [মুহাম্মদ (সা:)]-কে একাই তিনি সাহায্য করেছেন আর পরাজিত করেছেন কাফিরদের দলগুলোকে। তিনি অনাদি, অননত্দ, তিনিই জীবন দেন এবং নেন, তিনি চিরঞ্জীব, অৰয়, অমর, তিনি কল্যাণময় ফিরে যেতে হবে তাঁরই নিকট সকলকে আর সব কিছুর উপর তাঁর ৰমতা অপ্রতিহত। প্রভু ৰমা কর, দয়া কর, গুনাহ্ মাফ কর, অনুগ্রহ কর, আর তুমি যা জান, তা মার্জনা কর। হে আলস্নাহ! তুমি সবই জান, যা আমরা জানি না তাও জান, তোমার শক্তি আর অনুগ্রহের তুলনা নেই।
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. ইসলামী কথা - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Premium Blogger Template