আমরা মুসলমান। ইসলামকে ধর্ম হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। আমাদের রয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন যা মানবজাতিকে সঠিক পথের দিশা দেয়। গোমরাহী দূর করে আলোর পথ দেখায়। এ কুরআন আমাদের সংবিধান ও জীবন পথের পাথেয়। এর মাধ্যমে কিভাবে সোনালী সমাজ গঠন করতে হবে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন প্রিয় নবীজী (স.)। তিনি এ ধরায় আগমন করলেন রাহমাতুল্লিল আলামীন হিসেবে। এরপর পথহারা মানবজাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। ফলে মানুষ খুঁজে পেয়েছে অনাবিল শান্তির ঠিকানা।
হযরত আবু জার (রা.) বলেন- আমি একদিন রাসুল (স.)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরজ করলাম ইয়া রাসুলুল্লাহ (স.) আমাকে কিছু উপদেশ দিন [যাতে করে আমি তা আমল করে সফল হতে পারি] রাসুল (স.) বললেন, আমি তোমাকে তাক্ওয়া বা আল্লাহ ভীরুতার উপদেশ দিচ্ছি। কেননা তাক্ওয়া তোমার সমস্ত কাজের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিবে।
আমি বললাম, হে রাসুল (স.)! আমাকে আরো কিছু উপদেশ দান করুন। এবার তিনি বললেন- তুমি কুরআন তেলাওয়াত ও আল্লাহর জিকির নিজের জন্য অবধারিত করে নাও। কেননা এ দুই আমলের বদৌলতে আসমানে তোমার (প্রশংসা করে) আলোচনা হবে আর এটা ভূ-পৃষ্ঠে তোমার জন্য নূর হবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল (স.)! আমাকে আরো নসিহত করুন। তিনি বললেন, দীর্ঘ সময় চুপ থাকা নিজের জন্য অবধারিত করে নাও। এতে শয়তান দূরে সরে যাবে। ফলে দ্বীনী বিষয় পালন করা তোমার জন্য সহজ হবে।
আমি আরজ করলাম হে রসুল (স.)! আমাকে আরো নসীহত করুন। এবার রাসুল (স.) বললেন, তুমি বেশি হেসো না। কেননা এতে আত্মা মরে যায় এবং চেহারার জ্যোতি কমে যায়। আমি আবার বললাম, আরো কিছু নসীহত করুন। তিনি বললেন, তুমি সর্বদা সত্যকথা বলবে যদিও তা তোমার জন্যে তিক্ত ও কষ্টকর হয়। আমি আরো কিছু উপদেশ দেয়ার আবেদন জানালাম। তিনি বললেন, আল্লাহর দ্বীন ও তার দাওয়াত প্রকাশ ও তা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তুমি কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় করবে না।
আমি আরো কিছু নসীহত করার আবেদন করলম। তিনি বললেন, তুমি নিজে দোষ-ত্রুটিতে লিপ্ত থেকে অন্যের দোষ-ত্রুটি তালাশ করবে না (বুখারী ও মুসলিম)।
সুতরাং আমরা সকলে রাসুল (স.)-এর উপরোক্ত উপদেশাবলী আমল করে দুনিয়ায় কল্যাণ ও আখেরাতে মুক্তি হাসিল করতে পারি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা আমাদেরকে সেই তাওফিক দান করুন, আমীন।
০০ জিয়াউর রহমান ইবনে আরফান
Post a Comment