১। দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্ পাক এর বন্ধু, যদিও সে ফাসিক(কিছু ভুল ভ্রান্তি যুক্ত মোসলমান) হয় আর বখীল ব্যক্তি আল্লাহ পাক এর শত্রু যদিও সে আবিদ(যে মোসলমান অনেক এবাদৎ করে) হোক না কেন।
-আল হাদিছ
২। মানুষ চার প্রকার।দয়াবান,দাতা,বখীল ও কৃপন।দয়াবান নিজে না খেয়ে অপরকে খাওয়ায়,দাতা নিজেও খায় অপরকেও খাওয়ায়,বখিল নিজে খায় কিন্তু অপরকে খেতে দেয় না, আর কৃপন নিজেও খায় না এবং
অপরকেও খেতে দেয় না।
৩। দুইটি দোষ মুমিন চরিত্রে কখনো স্হান পাইতে পারে না- কার্পন্যতা
ও রুক্ষতা। – তিরমিজি শরীফ
৪। মুমিনের সাহায্যকারী তিনজন।আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত যবান,শোকর-
গোযার অন্তর এবং পূন্যশীলা স্ত্রী। – তিরমিজি শরীফ
৫। কৃপন কোনদিন ধন সম্পদের মালিক হতে পারে না বরং ধনসম্পদই কৃপনের মালিক হইয়া বসে। – ইয়াহইয়া বারমকি
৬। কৃপনের দরজা শুধু একজন মেহমানের জন্যই খোলা থাকে, তিনি
মালাকুল-মউত। – মা আন
৭। প্রকৃত বড় মানুষ সেই ব্যক্তি , যে ধন সম্পদকে মোটেও বড় মনে করে না । – বোসতী
৮। কৃপন তিন শ্রেনীর লোকের জন্য সম্পদ সন্চয় করিয়া থাকে।এক, তাহার মৃত্যুর পর স্ত্রী যদি অন্য স্বামী গ্রহন করিয়া তবে তাহার জন্য।
দুই, কন্নার জামাতার জন্য। তিন, পুত্রবধুদের জন্য।-আবু দারদা
৯। কৃপন ঐ গর্ধবের ন্যায় যার পীঠে থাকে মনিমানিক্কের বোঝা এবং পেটে থাকে শুধু শুকনা খড়। – ফজল বীন রবি
১০। কৃপন তার ধন সম্পদের হেফাযত করে সত্য তবে মান সম্ভ্রম হেফাযত
করা তার পক্ষে সম্ভব হয়না। – আবুল বোখতারী
১১। তিন বস্তু তিন প্রকার লোককে ধ্বংস করে। কৃপন তার সম্পদে,কান্ডঞ্জানহীন যুবক তার দেহের অহংকারে,এবং জ্ঞানীকে তার সবজান্তা ধরনের অহমিকায়।
১২। মানুষের মধ্যে যতগুলি মারাত্নক দোষের সমাবেশ ঘটে, এর মধ্যে কার্পন্য দোষটি উল্লেখযোগ্য। – ইমাম গাজ্জালি(রঃ)
পরিশেষে মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে কৃপনতা, অপব্যয়ীতা ,অহংকার এবং অন্নান্য সব খারাপ গুন থেকে হেফাযত করুন এবং সমস্ত ভালো গুন অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমিন..।
Post a Comment